‘ভারতকে একসময় মহাকাশ প্রযুক্তি দিতে চায়নি কোনও দেশ’, ISRO বন্দনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

Sunday, October 30 2022, 10:16 pm
highlightKey Highlights

গত সপ্তাহে শনিবার ‘ওয়ানওয়েব ইন্ডিয়া-১’ নামে পরিচিত LVM3 M2 রকেটে করে প্রায় ৩৬টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে ইসরো।


গত সপ্তাহেই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ব্রিটেনের ৩৬টি উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেয় ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের একটি রকেট। আর আজ ‘মন কি বাত’-এর ৯৪তম সংস্করণে মোদীর গলায় ইসরোর বন্দনা শোনা গেল। মোদী আজ বলেন, ‘আমি সেই সময়ের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই যখন ভারতকে ক্রায়োজেনিক রকেট প্রযুক্তি দিতে চায়নি অন্য দেশগুলি। এর পরে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা কেবল মহাকাশ প্রযুক্তি তৈরি করেননি, ইসরো কয়েক ডজন স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে।’ 

মোদী এদিন বলেন, ‘ভারত সৌরশক্তি ক্ষেত্রের পাশাপাশি মহাকাশ ক্ষেত্রেও অভাবনীয় কাজ করে চলেছে। যেদিন থেকে এদেশের মহাকাশ ক্ষেত্র তরুণদের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হয়েছে, সেদিন থেকে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। ভারত মহাকাশে একসঙ্গে ৩৬টি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে। দিওয়ালিতে দেশকে এই উপহার দিয়েছে তরুণরা। এর ফলে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, কচ্ছ থেকে কোহিমা, অর্থাৎ দেশের সব জায়গায় ডিজিটাল সংযোগ আরও শক্তিশালী হল। গোটা বিশ্বই ভারতের এই সাফল্য দেখে অভিভূত।’

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে শনিবার ‘ওয়ানওয়েব ইন্ডিয়া-১’ নামে পরিচিত LVM3 M2 রকেটে করে ৩৬টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে ইসরো। লন্ডনের ওয়ানওয়েব একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন কোম্পানি। এই সংস্থায় সিংহভাগ বিনিয়োগ রয়েছে ইন্ডিয়া ভারতী গ্লোবালের। ২৪ ঘণ্টার কাউন্টডাউন শেষে শনিবার রাত ১২টা ৭ মিনিট নাগাদ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে আকাশে উড়ে যায় রকেটটি। ৪৩.৫ মিটার লম্বা এবং ৬৪৪ টন ওজনের এই LVM3 M2 রকেট। এই উপগ্রহগুলির সম্মিলিত ওজন ৫ হাজার ৭৯৬ কেজি অথবা ৫.৭ টন। এই রকেটটি ৪ হাজার কেজি পর্যন্ত ভার বহন করতে পারে।





পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File