অন্যান্য

Most Expensive Mango | একটি আমের দাম ১২০০ টাকা! এই বিশেষ প্রজাতির আমের গাছ রয়েছে মাত্র ৩টি! বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমের মধ্যে ২টিই ভারতের!

Most Expensive Mango | একটি আমের দাম ১২০০ টাকা! এই বিশেষ প্রজাতির আমের গাছ রয়েছে মাত্র ৩টি! বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমের মধ্যে ২টিই ভারতের!
Key Highlights

সারা দেশ তো বটেই, বিশ্বজুড়েও আমের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। মূলত, আলফোনসো এবং হাপুস ভারতের সবচেয়ে দামি আম বলে বিবেচিত হয়। তবে এই তালিকায় রয়েছে আরও বহু আম।

মাছে-ভাতে বাঙালির গরমকাল অপছন্দ হলেও গরমকালের ফল কিন্তু সবচেয়ে প্রিয়। আমবাঙালির অন্যতম বৈশিষ্ট্যও আম। মিষ্টি আম (sweet mango) এর দিকেই সারা বছর ছাতক দৃষ্টিতে বসে থাকে বাঙালি। এই আমের আবার ধরণ, পছন্দও রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদে নানা প্রজাতির আম চাষ হয়ে থাকে। যার মধ্যে মালদার আম তো বিশ্ব বিখ্যাত! তবে সারা পৃথিবীতে আরও অনেক আম পাওয়া যায় যেগুলি স্বাদে অতুলনীয়। ফলে, পাল্লা দিয়ে দামও আকাশছোঁয়া এই আমগুলির।

বহুমূল্য দামের আম । Expensive Mangoes :

গ্রীষ্মের মরসুম আসার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন জাতের আম বাজারে আসতে শুরু করে। শুরু শুরুতে কেউ বিক্রি করেন প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে, কেউ বা আবার ২০০ টাকা। সারা দেশ তো বটেই, বিশ্বজুড়েও আমের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। মূলত, আলফোনসো এবং হাপুস ভারতের সবচেয়ে দামি আম (most expensive mango in india) বলে বিবেচিত হয়। তবে এই তালিকায় রয়েছে আরও বহু আম।

নূরজাহান । Noorjahan Mango :

ভারতের সবচেয়ে দামি আম (most expensive mango in india) দেশের কেন্দ্রস্থলে অর্থাৎ মধ্যপ্রদেশে চাষ করা হয়। এই আম এক কেজি দামেও বিক্রি হয় না। এই জাতের একটি আমের দাম ১২০০ টাকা। মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুরে এই বিশেষ প্রজাতির আমের চাষ হয়। আশ্চর্যের বিষয় হল, এখানে এই আমের গাছ আছে মাত্র ৩টি। ২০২৩ সালে ভোপালে আয়োজিত আম উৎসবে অনেক জাতের আম রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে সুন্দরজা, চৌসা, ল্যাংড়া, দশেরী, মল্লিকা এবং আম্রপালি ইত্যাদি আম ছিল। ওই প্রদর্শনীতেই আলিরাজপুরে উৎপাদিত নূরজাহান আমও প্রদর্শন করা হয়। এই আমের একটির ওজন প্রায় দুই কেজি। এই আম গাছ এসেছে আফগানিস্তান থেকে৷ মধ্যপ্রদেশ ছাড়া সারাদেশে নূরজাহান আম কোথাও পাওয়া যায় না। এ আমের উৎপাদক রুমাল বাঘেল জানান, বছরে মাত্র একশত আম উৎপাদন হয়। মুম্বাই, দিল্লিসহ অনেক বড় শহর থেকে এই আম কেনার চাহিদা রয়েছে। রুমাল বাঘেলের মতে, নূরজাহান আম আফগানিস্তানে জন্মে। জানা যায়, ১৫৭৭ থেকে ১৬৪৫ সালের মধ্যে ভারতে আনা হয় এই আম। নামকরণ করা হয় মল্লিকা নূরজাহানের নামে। এই আমের কিছু চারা মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুরে আনা হয়েছিল।

মিয়াজাকি । Miyazaki Mango :

জাপানের মিয়াজাকিতে এক বিশেষ ধরনের মিষ্টি আম (sweet mango) এর ফলন হয়। এই আমের মিষ্টত্ব সাধারণ আমের চেয়ে অন্তত ১৫ শতাংশ বেশি। এই আমের ফলনের জন্য প্রতিটি আমগাছে বিশেষ এক ধরনের জাল বিছিয়ে রাখেন কৃষকরা যাতে সব গাছে সমান ভাবে সূর্যের আলো পৌঁছায়। মিয়াজাকি আমের ১ কেজির দাম ভারতীয় মুদ্রায় কমপক্ষে ২.৫ লাখ থেকে ৩ লাখ।

হাকুগিন নো তাকিয়ো । Hakugin no Taiyo Mango :

জাপানি ভাষায় হাকুগিন নো তাকিয়ো কথার অর্থ বরফের সূর্য। জাপানের তাকাচি প্রদেশে ফলানো এই আম চাষ করেন হিরোয়ুকি নাকাগাওয়া নামে এক ব্যক্তি। ২০১১ সালে ভারতীয় মুদ্রায় ১৯,০০০ টাকা দাম উঠেছিল এই আমের।

সিন্ধ্রি আম । Sindhi Mango :

পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে ফলানো হয় সিন্ধ্রি আম। সেখানেই  রয়েছে এই আম গাছের খামার (mango tree farm)। বিশ্ব বাজারে এই আমের বিপুল চাহিদা রয়েছে। আমের রানি বলে পরিচিত সিন্ধ্রি আম।

কোহিতুর আম । Kohitur Mango :

ভারতের সেরা আম কোহিতুর আম (Kohitur mango) পাওয়া যায় মুর্শিদাবাদে। এটি স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। পাশাপাশি এই আমের প্রতিটি পিসের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ১৫,০০০ টাকা।

ম্যানিলা আম । Manila Mango :

ফিলিপিন্সের ম্যানিলাতে পাওয়া যায় বিশেষ ধরনের এই আম। এর দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২,০০০ টাকা। ১৯৯৫ সালে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে স্বাদের জন্য জায়গা করে নিয়েছিল এই আম।

প্রসঙ্গত, বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় ফল আম। বাংলায় বিভিন্ন প্রজাতির আম পাওয়া যায় ভিন্ন ভিন্ন জেলায়। মালদহ জেলার পাশাপাশি নদিয়া জেলার শান্তিপুর, কৃষ্ণগঞ্জ, আমঘাটা ইত্যাদি এলাকাতেও একাধিক আমবাগান রয়েছে যেখান থেকে জনপ্রিয় হিমসাগর আম রফতানি করা হয় রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে। তবে এ বছরের প্রথম দিকেই আমের ফলন খুব বেশি গাছে দেখা যায়নি বলে খবর। গত বছরের পরিসংখ্যানে তুলনায় এ বছর আমের ফলন অনেকটাই কম হবে বলে জানিয়েছিলেন কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা। এ প্রধান কারণ হিসেবে কৃষি বিজ্ঞানীরা জানান, অনেক সময় দেখা যায় এক-দু’বছর ফলন দেওয়ার পরে পরবর্তী বছরে বিশ্রাম নেয়। অর্থাৎ সেই গাছে কোনও নতুন পাতা অথবা মুকুল আসে না। এ বছরটা বেশিরভাগ গাছেরই বিশ্রামের বছর। তার উপর যে কিছু সংখ্যক গাছে মুকুল ধরেছিল তীব্র দাবদাহে এবং বৃষ্টিপাতের অভাবে সেই সমস্ত মুকুলের বেশিরভাগই রোদে পুড়ে গিয়েছে কিংবা মুকুল থেকে আমের কুড়ি হওয়ার পরে তা আর বাড়েনি।