126th Netaji Jayanti: দেশনায়ক নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ।

Monday, January 23 2023, 7:47 am
highlightKey Highlights

Parakram Diwas 2023: নেতাজির ১২৬ তম জন্মদিনে অপরাজেয় বঙ্গসন্তানের সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নেওয়া যাক, আসুন।


যুব সমাজের অনুপ্রেরণা সুভাষ চন্দ্র বসু, যিনি নেতাজি নামে পরিচিত, তিনি ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, দেশপ্রেমিক এবং এক জঙ্গি। ১৮৯৭ সালের ২৩শে জানুয়ারী উড়িষ্যার কটক শহরে শ্রী জানকীনাথ বসু ও শ্রীমতি প্রভাবতী দেবীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জানকী নাথ বসু ছিলেন সেই সময়ের একজন সুপরিচিত আইনজীবী এবং তাঁর মা প্রভাবতী দেবী একজন ধার্মিক মহিলা ছিলেন।

তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু

ছোটবেলা থেকেই সুভাষ পড়াশোনায় খুবই মনোযাগী ছিলেন। তিনি তাঁর শিক্ষাজীবনে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। অল্প বয়সে, তিনি স্বামী বিবেকানন্দ এবং রামকৃষ্ণ সম্পর্কে পড়তে শুরু করেছিলেন এবং তাদের শিক্ষা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। বোস তার বিএ সম্পন্ন করেছেন। ১৯১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে অনার্স করেন। পরবর্তীতে তিনি পরবর্তী শিক্ষার জন্য ১৯১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডে যান।

যদি জীবনে সংগ্রাম, ঝুঁকি না থাকে, তাহলে বেঁচে থাকাই অনেকটা ফিকে হয়ে যায়।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু
Netaji's 'Courageous' Resignation Letter to Indian Civil Services 
Netaji's 'Courageous' Resignation Letter to Indian Civil Services 

তিনি ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কিন্তু তিনি ইংল্যান্ডে থেকে ব্রিটিশ সরকারের সেবা করতে চাননি। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের অধীনে চাকরি করতে না চাওয়ায়  ১৯২১ সালে, একবছর পরই ইস্তফা দেন অকুতোভয় এই বঙ্গসন্তান।

নেতাজির বৈবাহিক জীবন | Netaji's Marital Life

১৯৩৭ সালে সুভাষচন্দ্র বসুর তাঁর সেক্রেটারি তথা অস্ট্রেলিয়ান যুবতী এমিলির সঙ্গে বিয়ে হয়। এরপর ১৯৪২ সালের ২৯ নভেম্বর তাঁদের একমাত্র কন্যার অনিতা বসুর জন্ম হয়। বর্তমানে জার্মানিতে থাকেন নেতাজি-কন্যা অনিতা বসু পাফ।

বাস্তবতা বোঝা কঠিন। তবে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে সত্যের পথে। সত্যকে মেনে নিতে হবে।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু

নেতাজির রাজনৈতিক জীবন | Netaji's Political Life

দেশবন্ধুর মতো নেতাজিও ছিলেন স্বরাজ অর্থাৎ পূর্ণ স্বাধীনতার সমর্থক। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন চরমপন্থীদের নায়ক। তাই কংগ্রেসের মধ্যপন্থীদের সাথে তার চরমপন্থী চিন্তাধারার সংঘর্ষ হয়। এমনকি কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে মধ্যপন্থীরা যখন অস্বস্তিতে পড়েন, তখনও সুভাষ অসন্তুষ্ট হয়ে কংগ্রেস ছেড়ে দেন। তার পর নেতাজির হাত ধরেই তৈরি হয় ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’। সুভাষ চন্দ্র বসু নতুন দলের হয়ে স্বাধীনতা অর্জনে দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন।

কোনও আলোচনার মাধ্যমে ইতিহাসের কোনও আসল পরিবর্তন হয়নি।

Subhas Chandra Bose

কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করার পর, ক্ষমতাসীন ব্রিটিশ সরকার তাকে গৃহবন্দী করে রাখে কিন্তু ১৯৪০ সালে ভারত থেকে পালাতে সক্ষম হয়। পালিয়ে যাওয়ার পর, ১৯৪১ সালে তিনি জার্মানিতে চলে যান, যেখানে তিনি নাৎসি পার্টির সহানুভূতি ও সাহায্য পান। ব্রিটিশ দখলকে উৎখাত করার তার পরিকল্পনা।

মনে রাখবেন সবচেয়ে বড় অপরাধ অন্যায় সহ্য করা এবং ভুলের সঙ্গে সমঝোতা করা।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু

জার্মানির মিত্র জাপানের সহায়তায়, বোস ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (INA) এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যা ভারতের কিছু অংশ "জয়" করার চেষ্টা করেছিল, যার ফলে সেই এলাকাগুলিকে ব্রিটিশ দখল থেকে মুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু, এই প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় এবং ১৯৪৫ সালে, আইএনএ ব্রিটিশ বাহিনীর হাতে পরাজিত হয়।

Relation between Netaji & Gandhi
Relation between Netaji & Gandhi

ব্রিটিশ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সামরিক বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও, বসু অন্য একটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল ছিলেন। ১৯৪১ সালে, জার্মানির সাহায্যে ফ্রি ইন্ডিয়া রেডিও স্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে বসু নিয়মিতভাবে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন সম্পর্কে কথা বলতেন।

টাকা পয়সা দিয়ে কখনো স্বাধীনতা জয় করা যায়না। স্বাধীনতার জন্য দরকার সাহস, যা সাহসী পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু
The Rani of Jhansi Regiment was the women's regiment of the Indian National Army
The Rani of Jhansi Regiment was the women's regiment of the Indian National Army

নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যজনক | Netaji's disappearance is mysterious:

১৯৪৫ সালের ১৮ই আগস্ট তাইপেইতে একটি বিমান দুর্ঘটনার পর পর্যন্ত নেতাজিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপর থেকে, নেতাজির মৃত্যু এবং নিখোঁজ হওয়ার চারপাশে একাধিক রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সত্যতা জানতে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে শাহনওয়াজ কমিশন, খোসলা কমিশন, মুখার্জি কমিশন উল্লেখযোগ্য।

Netaji's last photo
Netaji's last photo

একদিকে শাহনওয়াজ এবং খোসলা কমিশন দাবি করেছে যে সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনার পরে নেতাজি মারা গেছেন। অন্যদিকে মুখার্জি কমিশনের মতে, দুর্ঘটনার পরেও নেতাজি বেঁচে ছিলেন। এমনকি নেতাজির মৃত্যু নিয়ে বোস পরিবারের সদস্যরাও বিভক্ত।

যে ব্যক্তির ইচ্ছাশক্তি নেই, সে কখনো মহান হতে পারে না।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু



পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File