ISRO | তৃতীয়বারের মতো সফল অবতরণ করলো ইসরোর পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান ‘পুষ্পক‘ !
ভারতীয় বায়ুসেনার চিনুক হেলিকপ্টার থেকে ৪. কিলোমিটার উচ্চতায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল ‘পুষ্পক’ নামের এই মহাকাশযানটি। রবিবার সকালে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় ক্ষেত্রের বাইরে পাঠানো পুষ্পককে সফলভাবে অবতরণক্ষেত্রে ফিরিয়ে আনা হয়। ইসরোর দাবি, পুষ্পকের এই সফল পরীক্ষা সস্তায় মহাকাশ অভিযান এবং মহাকাশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় পদক্ষেপ। কারণ পুষ্পকের মতো আরএলভি-কে মহাকাশ থেকে মাটিতে ফেরত আনার প্রযুক্তি এসে গিয়েছে ভারতের হাতে।
ফের ইসরোর মুকুটে সাফল্যর পালক! তৃতীয়বারের মত সফল অবতরণ করল ' পুষ্পক '। ২৩সে জুন, রবিবার সকালে তৃতীয়বারের মতো সফল অবতরণ করেছে ‘পুষ্পক’। RLV LEX-03 নামে পরিচিত মিশনটি কর্ণাটকের চিত্র দুর্গার অ্যারোনটিক্যাল টেস্ট রেঞ্জে পরিচালনা করা হয়।
ভারতীয় বায়ুসেনার চিনুক হেলিকপ্টার থেকে ৪. কিলোমিটার উচ্চতায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল ‘পুষ্পক’ নামের এই মহাকাশযানটি।
রবিবার সকালে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় ক্ষেত্রের বাইরে পাঠানো পুষ্পককে সফলভাবে অবতরণক্ষেত্রে ফিরিয়ে আনা হয়। ইসরোর দাবি, পুষ্পকের এই সফল পরীক্ষা সস্তায় মহাকাশ অভিযান এবং মহাকাশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় পদক্ষেপ। কারণ পুষ্পকের মতো আরএলভি-কে মহাকাশ থেকে মাটিতে ফেরত আনার প্রযুক্তি এসে গিয়েছে ভারতের হাতে।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, দ্রাঘিমা এবং পার্শ্বীয় সমতল ত্রুটি সংশোধনের জন্য উন্নত নির্দেশিকা যুক্ত অ্যালগোরিদম ব্যবহার করা হয়েছে এই মিশনটির জন্য। এবারের মিশনে আগেরবারের মিশন RLV LEX-02 থেকে উইং বডি এবং ফ্লাইট সিস্টেমগুলিকে পুনরায় ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও এই মিশনটি মহাকাশ থেকে ফিরে আসা যানবাহনের জন্য অ্যাপ্রোট এবং ল্যান্ডিং ইন্টারফেস এবং উচ্চ-গতির অবতরণ অবস্থার স্ক্যান করেছে।
প্রসঙ্গত, ইসরোর এই মহাকাশযানকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘রিইউজেবল লঞ্চ ভেহিকল’। কারণ এটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য মাহাকাশযান। পৌরাণিক আখ্যানের সঙ্গে যোগসূত্র রেখে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা এর নাম দেন ‘পুষ্পক’। এই মহাকাশযানটি পুনঃব্যবহারযোগ্য। অর্থাৎ একবার এটি মহাকাশে পাঠিয়ে ফের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যাবে এবং ব্যবহার করা যাবে। মহাকাশ থেকে ফিরিয়ে আনার পর আবার সেটিকে নতুন করে মহাকাশে ফেরত পাঠাতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। এতে মহাকাশ যাত্রার খরচও একধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে। এর ফলে মহাকাশ অভিযানের খরচও কমবে এবং মহাকাশ বর্জ্যের পরিমাণও কমবে। ফলে এই মিশন ভারতের মহাকাশ গবেষণার জন্য এক বড় পদক্ষেপ।