দেশ

International Women's Day | আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন জানুন বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের সমস্ত 'প্রথম' মহিলাদের সম্পর্কে!

International Women's Day | আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন জানুন বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের সমস্ত 'প্রথম' মহিলাদের সম্পর্কে!
Key Highlights

আন্তর্জাতিক নারী দিবস সারা বিশ্বে নারীত্বের একটি মহান উদযাপন। এই দিনটি বিশেষ করে মহিলাদের কৃতিত্বকে সম্মান করে এবং লিঙ্গ বৈষম্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায়। প্রতি বছর ৮ই মার্চ পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস।

যাদের ছাড়া জীবনের 'সৃষ্টি'ই সম্ভব হতো না, যাদের ছাড়া দুনিয়াটা অচল, আজ তাদের দিন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস (International Women's Day) প্রতি বছর পালন করা হয় ৮ই মার্চ। সারা বিশ্বে নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক অর্জনকে সম্মান জানাতে এই দিনটি গোটা বিশ্বে উদযাপন করা হয়। এই দিনটি লিঙ্গ সমতা, প্রজননের অধিকার, নারীদের উপর হিংসা ও নির্যাতন, নারীর সমান অধিকার ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। প্রতিটি নারীকে উদযাপন করার জন্য দিনটি পালন করা হয়।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্য । History and Significance of International Women's Day :

এই দিবসটি উদ্‌যাপনের নেপথ্যে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেই মিছিলে চলে সরকার লেঠেল বাহিনীর দমন-পীড়ন। এরপর ১৯০৯ সালের ২৮সে ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হলো।

 ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এই সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বছর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। এরপরই  সিদ্ধান্ত হয় ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। এই দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল। অতঃপর ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার অভীপ্সা নিয়ে। সারা বিশ্বের সকল দেশে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি সরোজিনী নাইডুর (Sarojini Naidu) জন্মদিন উপলক্ষে ভারতে নারী দিবস (Women's Day in India) উদযাপন করা হয়।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের সমস্ত 'প্রথম' মহিলাদের তালিকা । List of All the ‘First’ Females of India In Different Fields :

সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য পথ প্রশস্ত করা পথপ্রদর্শক মহিলাদের কারণেই ভারত আজ তার গৌরব নিয়ে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। ভারতের ইতিহাসে অসংখ্য মহিলার নাম উঠে আসে যারা অগ্রগামীদের দ্বারা পূর্ণ, যারা লিঙ্গ-সহ নানান বাধা ভেঙে তাদের অধিকারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন, রাজনীতি, কলা, বিজ্ঞান, আইন-সহ নানান ক্ষেত্রে অগ্রগতি করেছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে জেনে নেওয়া যাক সেইসব ভারতীয় বীর নারীদের কথা যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে  'প্রথম' মহিলা হিসেবে সম্মান অর্জন করছেন।

আনন্দীবাই গোপালরাও যোশী । Anandibai Gopalrao Joshi :

আনন্দীবাই গোপালরাও যোশী ১৮৮৭ সালে প্রথম ভারতীয় মহিলা চিকিত্সক হিসাবে নিজের পরিচিত স্থাপন করেন। এছাড়াও তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি পাশ্চাত্য চিকিৎসায় প্রশিক্ষিত হয়েছিলেন এবং প্রথম মহিলা যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করেছিলেন।

সাবিত্রীবাই ফুলে । Savitribai Phule :

সাবিত্রীবাই ফুলে ভারতের প্রথম মহিলা শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন ১৮৪৮ সালে। সাবিত্রীবাই তাঁর স্বামী জ্যোতিরাও ফুলের সহায়তায় ১৮৪৮ সালে পুণের ভিড়েওয়াড়ায় ভারতের প্রথম বালিকা বিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটির প্রতিষ্ঠা করেন। পিতৃতন্ত্রের শৃঙ্খল ভেঙে বেরনোর একমাত্র উপায় নারীদের শিক্ষা, এমনটাই মনে করতেন তিনি। যার ফলে তাঁকেই অনেকেই দেশের প্রথম বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের মধ্যে একজন বলে অভিহিত করেন।

কিরণ বেদি । Kiran Bedi :

ভারতের প্রথম মহিলা আইপিএস (I.P.S.) অফিসার কিরণ বেদি (১৯৭২)। ভারতে কারাগারের সংস্কার প্রবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন কিরণ বেদি। ২০০৩ সালে কিরণ বেদি প্রথম মহিলা এবং প্রথম ভারতীয় যিনি জাতিসংঘের বেসামরিক পুলিশ উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি দুটি স্বেচ্ছাসেবী বেসরকারি সংস্থাও প্রতিষ্ঠা করেন, নবজ্যোতি (১৯৮৮) এবং ইন্ডিয়া ভিশন ফাউন্ডেশন (১৯৯৪), যে দুটিই প্রাথমিক শিক্ষা এবং বয়স্ক সাক্ষরতা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এবং মহিলাদের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও কাউন্সেলিং পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশি ওষুধ সরবরাহের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিরণ বেদি ভারতে এবং বিদেশে অসংখ্য পুরস্কার প্রাপক। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ টেনিস খেলোয়াড়ও ছিলেন এবং বেশ কয়েকটি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপও জিতেছিলেন।

সরলা ঠাকরাল । Sarla Thakral :

ভারতবর্ষের প্রথম মহিলা পাইলট ছিলেন সরলা ঠাকরাল (Sarla Thakral)। ১৯৩৬ সালে প্রথম ভারতীয় নারী হিসেবে পাইলটের 'এ' লাইসেন্স পান তিনি। উল্লেখ্য, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর। লাহোর ফ্লাইং ক্লাব থেকে পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ পান তিনি। প্রাথমিক লাইসেন্স পাওয়ার পর, তিনি লাহোর ফ্লাইং ক্লাবের বিমানে হাজার ঘণ্টা আকাশে উড়েছিলেন। শাড়ি পরেই বিমান চালাতেন সরলা।

সুরেখা যাদব । Surekha Yadav :

এশিয়ার প্রথম মহিলা লোকো পাইলট হিসেবে ইতিহাস গড়েন সুরেখা যাদব। ভারত রেলওয়ের প্রথম মহিলা ট্রেন চালক এবং একইসঙ্গে এশিয়ার প্রথম মহিলা ট্রেনচালক হিসি যে ইতিহাস গড়েন তিনি। সুরেখা যাদব বন্দেভারত এক্সপ্রেস চালান সোলাপুর থেকে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস পর্যন্ত। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাসে ট্রেন নিয়ে পৌঁছনোর পর, আট নম্বর প্ল্যাটফর্মে সুরেখাকে দেওয়া হয় সংবর্ধনা।

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শিবাঙ্গী সিং । Flight Lieutenant Shivangi Singh :

ভারতের প্রথম মহিলা রাফাল পাইলট শিবাঙ্গী সিং। ২০১৭ সালে ভারতের প্রথম রাফাল চালক তথা বায়ুসেনার দক্ষ পাইলট লেফটেন্যান্ট শিবাঙ্গী ফ্রান্সে গিয়ে উড়িয়েছেন রাফাল। ফরাসি বায়ুসেনার মহড়া ‘ওরিয়ন’-এ নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশের ‘গোল্ডেন গার্ল’।

ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী সেহগাল । Captain Lakshmi Sahgal :

ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী সেহগাল ভারতের প্রথম মহিলা সেনা অফিসার। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। ডাঃ লক্ষ্মী ছিলেন সিঙ্গাপুরের এক বিশিষ্ট স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ। পরে তিনি তাঁর কর্মজীবন ত্যাগ করে আজাদ হিন্দ ফৌজের রানি ঝাঁসি রেজিমেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই দায়িত্বের পাশাপাশি ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা হিসেবে তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী সংগঠন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। এই সূত্রেই ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী সেহগাল ভারতের প্রথম মহিলা সেনা অফিসার। লক্ষ্মী সেহগলকে ভারতীয় রাষ্ট্রপতি কে. আর. নারায়াণন ১৯৯৮ সালে পদ্মবিভূষণ পদকে ভূষিত করেন।

কল্পনা চাওলা । Kalpana Chawla :

ভারতের প্রথম মহিলা মহাকাশচারী কল্পনা চাওলা। তিনি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নভোচারী এবং মহাকাশ প্রকৌশলী যিনি ভারতের প্রথম মহিলা মহাকাশচারী হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন। তিনি প্রথম স্পেস শাটল কলম্বিয়ায় ১৯৯৭ সালে একজন মিশন বিশেষজ্ঞ এবং STS-87- এ প্রাথমিক রোবোটিক আর্ম অপারেটর হিসেবে উড়েছিলেন। চাওলার দ্বিতীয় ফ্লাইটটি STS-107- এ ছিল।

ইন্দিরা গান্ধী । Indira Gandhi :

ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী (১৯৬৬-১৯৭৭)। ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধী ছিলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী এবং ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধীই হলেন প্রথম মহিলা যিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। পারিবারিক পরিচয়ে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর কন্যা ইন্দিরা ১৯৬৬ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৭৭ সালের মার্চ এবং পুনরায় ১৯৮০ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮৪ সালের অক্টোবরে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ছিলেন।

ললিতা আয়ালসোমায়াজুল । Lalitha Ayyalasomayajula :

ভারতের প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার ললিতা আয়ালসোমায়াজুল (১৯১৯-১৯৭৯)। ললিতা ছিলেন ভারতের একমাত্র মহিলা প্রকৌশলী যিনি ১৯৬৪ সালে নিউইয়র্কে প্রথম আন্তর্জাতিক মহিলা প্রকৌশলী এবং বিজ্ঞানী (ICWES) সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি ১৯৬৫ সালে ব্রিটিশ উইমেন'স ইঞ্জিনিয়ারিং সোসাইটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন এবং ১৯৬৭ সালের জুলাই মাসে কেমব্রিজে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক মহিলা প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানী (ICWES)-এর জন্য অর্গানাইজিং কমিটির ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং নিশ্চিত করেন যে পাঁচজন মহিলা যাতে ভারত থেকে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়।

কর্নেলিয়া সোরাবজি । Cornelia Sorabji :

ভারতে প্রথম মহিলা আইনজীবী কর্নেলিয়া সোরাবজি (১৮৯৪)। তিনিই স্নাতক এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অধ্যয়নকারী প্রথম মহিলা। অক্সফোর্ডে পড়াশুনার পর ভারতে ফিরে সোরাবজি পুরদহনাশিনদের পক্ষে সামাজিক ও পরামর্শমূলক কাজে জড়িত হয়ে পড়েন। সোরাবজি ১৮৯৭ সালে বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি পরীক্ষার জন্য এবং ১৮৯৯ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্লিডার পরীক্ষার জন্য নিজেকে উপস্থাপন করেছিলেন। তিনি ভারতে নারী আন্দোলনের উপর পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গি আরোপ করার বিরোধিতা করেছিলেন এবং দ্রুত পরিবর্তনের বিরোধিতা করে সামাজিক সংস্কারের ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছিলেন।

প্রতিভা প্যাটেল । Pratibha Patil :

ভারতের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি প্রতিভা প্যাটেল (২০০৭-২০১২)। তিনি স্বাধীনতার পর ভারতের ১২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি ভারতের রাজস্থান প্রদেশের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সুচেতা কৃপলানি । Sucheta Kriplani :

ভারতের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী সুচেতা কৃপলানি (Sucheta Kriplani)। তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনিই ভারতের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর রিরল সাহস ও চারিত্রিক দৃঢ়তা ভারতীয় নারীত্বকে যথোপযুক্ত মর্যাদা প্রদান করে।

দূর্গাবাই কামত । Durgabai Kamat :

দূর্গাবাই কামত (Durgabai Kamat) ভারতের প্রথম মহিলা অভিনেত্রী। দূর্গাবাই কামাত ছিলেন একজন মারাঠি অভিনেত্রী, যিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রথম অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত।

ভাবনা কান্ত । Bhawana Kanth :

ভারতের প্রথম মহিলা ফাইটার পাইলট ভাবনা কান্ত (Bhawana Kanth)। তাঁকে তার দুই সহকর্মী মোহনা সিং এবং অবনী চতুর্বেদীর সাথে প্রথম যুদ্ধবিমান চালক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই ত্রয়ীকে ২০১৬ সালে ভারতীয় বিমান বাহিনী ফাইটার স্কোয়াড্রনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ভারত সরকার পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে মহিলাদের জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনীতে ফাইটার স্ট্রিম খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, এই তিনজন মহিলাই প্রথম এই প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত হন।

দূর্বা ব্যানার্জি । Durba Banerjee :

ভারতের প্রথম মহিলা বিমান পাইলট দূর্বা ব্যানার্জি। তিনি ছিলেন ভারতীয় সেনা বিমান সংস্থার প্রথম মহিলা যিনি পরে প্রথম ভারতীয় মহিলা বাণিজ্যিক পাইলট হন।সর্বোচ্চ ৯,০০০ ঘন্টার বিমান চালানোর কৃতিত্ব অর্জনকারী মহিলা পাইলট তিনি।

সরোজিনী নাইডু । Sarojini Naidu :

সরোজিনী নাইডু ভারতের প্রথম মহিলা গভর্নর (১৯৪৭-১৯৪৯)। সরোজিনী নাইডু একজন ভারতীয় রাজনৈতিক কর্মী এবং কবি যিনি ভারতের স্বাধীনতার পর ইউনাইটেড প্রদেশের প্রথম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ছিলেন প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হন এবং একটি রাজ্যের গভর্নর হিসাবে নিযুক্ত হন।

কমলা সোহনি । Kamala Sohonie :

ভারতের প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী কমলা সোহনি (১৯১২-১৯৮৮)। এছাড়াও দেশের প্রথম মহিলা পিএইচডি তিনিই। ভারতীয় বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম মহিলা ছাত্রীও ছিলেন দেশের প্রথম মহিলা গবেষক। শুধু এদেশ নয়, বিশ্বজুড়েও ছড়িয়ে আছে কমলার কৃতিত্ব। কমলা পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও। তাঁর খ্যাতির ঝুলিতে রয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়ার খেতাব। তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তাঁর অভিনব গবেষণার মাধ্যমেই।

চোনিরা বেলিয়াপ্পা মুথাম্মা । Chonira Belliappa Muthamma :

চোনিরা বেলিয়াপ্পা মুথাম্মা ভারতের প্রথম মহিলা আইএফএস অফিসার এবং রাষ্ট্রদূত/হাই কমিশনার। তিনিই প্রথম মহিলা যিনি ১৯৪৮ সালে ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। সিবি মুথাম্মা ভারতীয় ফরেন সার্ভিসে যোগদান করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পরিচালনা পর্ষদ তার সাক্ষাত্কারের সময় তাকে নিরুৎসাহিত করে বলেছিল যে এটি "নারীদের জন্য উপযুক্ত নয়"। তবে তাঁর অদম্য জেদের কারণেই তিনিই হয়েই ওদিন ভারতে প্রথম মহিলা IFS অফিসার।

সাবিত্রীবাই ফুলে । Savitribai Phule :

সাবিত্রীবাই ফুলে ভারতে প্রথম শিক্ষিত মহিলা। এছাড়া সাবিত্রীবাই ফুলে ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা শিক্ষকদের একজন,একজন সমাজ সংস্কারক এবং কবি। মহারাষ্ট্রে তিনি জ্যোতিবা ফুলের সাথে ভারতে  মহিলাদের অধিকারের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁকে ভারতের নারীবাদী আন্দোলনের পথপ্রদর্শক বলে মনে করা হয়। তিনি জাতি ও লিঙ্গের ভিত্তিতে মানুষের প্রতি বৈষম্য ও অন্যায় আচরণের অবসান ঘটাতে সংগ্রাম করেছিলেন। 8১৮৪৮ সালে পুনেতে তাত্যসাহেব ভিড়ের বাসভবন বা ভিদেওয়াড়ায় তারা মেয়েদের জন্য তাদের প্রথম স্কুল শুরু করেন।

নির্মলা সীতারমন । Nirmala Sitharaman :

ভারতের প্রথম মহিলা প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ, যিনি বর্তমানেও অর্থমন্ত্রী এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১২ সাল থেকে ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষের রাজ্যসভার সদস্য। নির্মলা সীতারামান ইন্দিরা গান্ধীর পরে ভারতের দ্বিতীয় মহিলা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং দ্বিতীয় মহিলা অর্থমন্ত্রী। তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে এবং স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন। এর আগে তিনি বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন।

কল্পনা সরোজ । Kalpana Saroj :

কল্পনা সরোজ ভারতের প্রথম মহিলা উদ্যোক্তা। তিনি একজন ভারতীয় নারী উদ্যোক্তা এবং টেডেক্স (TEDx) বক্তা। এছাড়াও তিনি ভারতের মুম্বইয়ের কামানি টিউবসের প্রধান। কামানি টিউবস ১০০ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে।

বিমল সুদ । Vimal Sood :

ভারতে প্রথম মহিলা ডেন্টিস্ট বিমল সুদ। তিনি ১৯৪৪ সালে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকতা লাভ করেন। এছাড়াও সুদ ইন্ডিয়ান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক সিনিয়র সম্মানিত ফ্যাকাল্টি হিসাবে স্বীকৃত। তিনি ২০২০ শিক্ষক দিবসে IDA চণ্ডীগড় কর্তৃক সম্মানিত হন। তিনি ডঃ হারবংশ সিং বিচারক ইনস্টিটিউট অফ ডেন্টাল সায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালের অনুষদ দ্বারা ভারতের প্রথম মহিলা ডেন্টিস্ট হিসাবে স্বীকৃত হন।

অ্যানি বেসান্ট । Annie Besant :

আইএনসি (INC) এর প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট অ্যানি বেসান্ট। তিনি ছিলেন একজন ব্রিটিশ সমাজতান্ত্রিক , থিওসফিস্ট , ফ্রিম্যাসন , নারী অধিকার এবং হোম রুল কর্মী, শিক্ষাবিদ এবং ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রচারক। তিনি আইরিশ এবং ভারতীয় উভয় স্বশাসনের প্রবল সমর্থক ছিলেন। তিনি ১৯১৭ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম মহিলা সভাপতি হন।

রাজকুমারী অমৃত কৌর । Princess Amrita Kaur :

রাজকুমারী অমৃত কৌর প্রথম মহিলা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাজকুমারী বিবিজী অমৃত কাউর ডি সেন্ট জে ভারতের প্রথম স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং দশ বছর কাজ করেন। তিনি একজন বিখ্যাত গান্ধিবাদী, মুক্তিযোদ্ধা এবং সামাজিক কর্মী ছিলেন। যে সংগঠনটি ভারতের সংবিধান প্রণয়ন করেছিল, কাউর তার সদস্য ছিলেন।

রাজিয়া সুলতান । Razia Sultan :

ভারতের প্রথম নারী শাসক রাজিয়া সুলতান। রাজিয়া সুলতানার পুরো নাম সুলতান রাজিয়া-উদ-দুনিয়া ওয়া উদ্দিন ছিলেন সুলতান ইলতুৎমিসের কন্যা ও ভারতবর্ষের প্রথম মহিলা শাসক। তিনি একাধারে একজন ভালো প্রশাসক ও সেনাপতি ছিলেন। তাছাড়া যুদ্ধক্ষেত্রে একজন দক্ষ সৈন্য হিসেবেও তাঁর পরিচিতি ছিল।

নিরজা ভানোট । Neerja Bhanot :

নিরজা ভানোট প্রথম মহিলা যিনি অশোক চক্র পান (১৯৮৭)। নীরজা ভানোট ১৯৮৬ সালে প্যান এম ফ্লাইট ৭৩ বিমানটি ছিনতাই হওয়া বিমানের যাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই নীরজা ৩৬০ জন মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। নীরজা ভানোটকে ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে।

মাদার তেরেসা । Mother Teresa :

মাদার তেরেসা প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি নোবেল পুরস্কার পান। মেরি তেরেসা একজন আলবেনীয়-বংশোদ্ভুত ভারতীয় যিনি ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী এবং ধর্মপ্রচারক ছিলেন। ১৯২৮ সালে তিনি আয়ারল্যান্ড হয়ে তৎকালীন ব্রিটিশ উপনিবেশ ভারতে খ্রিস্টধর্ম প্রচার অভিযানে আসেন। জীবনের বাকি অংশ তিনি ভারতেই থেকে যান। নিজেকে সমর্পণ করলেন আর্তের সেবায়। সেবাধর্ম দিয়ে আজন্ম উচ্চ-নীচ সকলকে আপন করে নিয়েছিলেন মাদার তেরেসা।

লীলা শেঠ । Leila Seth :

লীলা শেঠ ভারতের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি। লীলা শেঠ ছিলেন একজন ভারতীয় বিচারক যিনি দিল্লি হাইকোর্টে প্রথম মহিলা বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং ৫ই আগস্ট হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের একটি রাজ্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক সিনিয়র কাউন্সেল হিসেবে মনোনীত প্রথম মহিলাও ছিলেন। তিনি ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ভারতের ১৫ তম আইন কমিশনের সদস্য ছিলেন এবং হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের সংশোধনের জন্য দায়ী ছিলেন যা যৌথ পারিবারিক সম্পত্তিতে কন্যাদের সমান অধিকার দেয়।

বাচেন্দ্রী পাল । Bachendri Pal :

মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণকারী প্রথম ভারতীয় মহিলা বাচেন্দ্রী পাল। তিনি এভারেস্ট পর্বতশৃঙ্গ বিজয়ী প্রথম ভারতীয় মহিলা ও পঞ্চম মহিলা। ১৯৮৪ সালে এক অভিযানে তিনি এভারেস্ট আরোহণ করেন।

মিস রীতা ফারিয়া । Miss Reita Faria :

প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি মিস ওয়ার্ল্ড এর খেতাব যেতেন মিস রীতা ফারিয়া।ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম নারী হিসেবে ১৯৬৬ সালে মিস ওয়ার্ল্ড নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই বছরের শুরুতেই মিস বোম্বে মুকুট জয় করার পাশাপাশি তিনি ইভ’স উইকলি’র মিস ইণ্ডিয়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।

আশাপূর্ণা দেবী । Ashapurna Devi :

আশাপূর্ণা দেবী জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পাওয়া প্রথম নারী। তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার এবং শিশুসাহিত্যিক। দেড় হাজার ছোটোগল্প ও আড়াইশো-র বেশি উপন্যাসের রচয়িতা আশাপূর্ণা সম্মানিত হয়েছিলেন জ্ঞানপীঠ পুরস্কার সহ দেশের একাধিক সাহিত্য পুরস্কার, অসামরিক নাগরিক সম্মান ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রিতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে প্রদান করেন পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান রবীন্দ্র পুরস্কার। ভারত সরকার তাকে ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান সাহিত্য আকাদেমি ফেলোশিপ ভূষিত করেন।

কমলজিৎ সান্ধু । Kamaljeet Sandhu :

কমলজিৎ সান্ধু এশিয়ান গেমসে সোনা জেতা প্রথম ভারতীয় মহিলা। ১৯৭০ সালের ব্যাংকক এশিয়ান গেমসে ৪০০ মিটার দৌড়ে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন । তিনি ৫৭.৩ সেকেন্ডে দূরত্ব দৌড়েছিলেন। তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলা ক্রীড়াবিদ যিনি এশিয়ান গেমসে স্বতন্ত্র স্বর্ণপদক জিতেছেন। তিনি ১৯৭১ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন । এছাড়া তিনি ১৯৭২ মিউনিখ অলিম্পিকে মহিলাদের ৪০০ মিটারে অংশ নিয়েছিলেন , উত্তাপে মাথা নত করে।

অরুন্ধতী রায় । Arundhati Roy :

বুকার পুরস্কার জয়ী প্রথম ভারতীয় মহিলা অরুন্ধতী রায়। সুজানা অরুন্ধতী রায় একজন ভারতীয় ঔপন্যাসিক এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তাবাদী। তিনি তার উপন্যাস দ্য গড অব স্মল থিংসের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসটির জন্য ১৯৯৭ সালের ম্যান বুকার পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি পরিবেশগত সংশ্লিষ্টতা এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়েও জড়িত।

এম এস সুব্বলক্ষ্মী । Ms Subbulakshmi :

ভারতরত্ন জয়ী প্রথম মহিলা সঙ্গীতশিল্পী এম এস সুব্বলক্ষ্মী। কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সংগীতের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ছিলেন। তিনি ভারতীয় সংগীতকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচার ও প্রসার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালে ভারত সরকার তাকে ভারতের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ভারতরত্ন পুরস্কারে সম্মানিত করেন। শুভলক্ষ্মী একজন প্রখ্যাত অভিনেত্রীরূপেও বিখ্যাত ছিলেন।

সানিয়া মির্জা । Sania Mirza :

প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি WTA শিরোপা জিতেছেন সানিয়া মির্জা। সানিয়া মির্জা একজন ভারতীয় পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়। তিনি ২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এক দশক উপরে ধরে ভারতীয় টেনিস অঙ্গনে এক নম্বর অবস্থান করা সর্বোচ্চ রেকর্ডধারী ভারতীয় খেলোয়াড়।

এখনও সারা পৃথিবীতেই সমাজের বেশির ভাগ জায়গায় লিঙ্গবৈষম্য বর্তমান রয়েছে। পুরুষরা এখনও বহু ক্ষেত্রে বেশি মাত্রায় সুবিধা ভোগ করেন, দেখা যায়। আর সেই কারণেই নারী দিবস অত্যন্ত গুরুত্বৃপূর্ণ। শিল্প-সাহিত্য-সহ সব ধরনের ক্ষেত্রে এবং সমাজের সমস্ত কাজে মহিলাদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই এই দিনটি পালিত হয়। আন্তর্জাতিক নারী দিবস সারা বিশ্বে নারীত্বের একটি মহান উদযাপন। এই দিনটি বিশেষ করে মহিলাদের কৃতিত্বকে সম্মান করে এবং লিঙ্গ বৈষম্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায়। এই দিনে আমাদের সমাজে মহিলাদের কৃতিত্ব উদযাপন করার উপায়গুলি নিয়ে আমাদের সকলের চিন্তা করা উচিত। মেয়েদের শিক্ষার প্রসার ঘটানো এবং সমাজের সকল অংশ থেকে লিঙ্গ পক্ষপাত দূর করা গুরুত্বপূর্ণ।