গত ১০ এপ্রিল পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নাটকীয় এক অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান ইমরান খান। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধী রাজনীতিকদের ষড়যন্ত্রের জেরে তাকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছে।
ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের কর্মী-সমর্থকরা সে সময় স্লোগান তুলেছিলেন— ‘আমেরিকা কা যো ইয়ার হ্যায়, গাদ্দার হ্যায়’ ( যারা আমেরিকার বন্ধু, তারা বিশ্বাসঘাতক )।
কিন্তু সেই ইমরান খানই এখন মরিয়া হয়ে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করতে; এবং বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে রীতিমতো লবিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম থিংকট্যাংক প্রতিষ্ঠান আটলান্টিক কাউন্সিলের অধীন সাউথ এশিয়া সেন্টারের পাকিস্তান ইনিশিয়েটিভ বিভাগের পরিচালক উজাইর ইউনুস সম্প্রতি এই চুক্তির তথ্য ফাঁস করেছেন। চুক্তির কাগজপত্র ও নথির ছবি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে প্রকাশও করেছেন তিনি। এদিকে, ইমরানের এই আকস্মিক অবস্থান পরিবর্তনকে ‘ডিগবাজি’ উল্লেখ করে বার্তাসংস্থা এএফপি পৃথক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক লবিং প্রতিষ্ঠান ফেন্টন / আরলক এলএলসির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পিটিআই।
সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, পিটিআই ও তার যুক্তরাষ্ট্রে এ দলের সমর্থকদের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবে ফেনটন/আরলক এলএলসি; এবং তার বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানটিকে আগামী ৬ মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে ২৫ হাজার ডলার দেবে পিটিআই। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ফেনটন/আরলক এলএলসির মূল কাজ— বাইডেন প্রশাসন যেন পিটিআইকে পাকিস্তানের জনগণের প্রধান প্রতিনিধিত্বকারী দল হিসেবে মেনে নেয়— সে ব্যবস্থা করা। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই ‘লক্ষ্য’ পূরণ করতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে।
ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে পিটিআই ও ইমরান খানের যেসব সমর্থক রয়েছেন, তারাই লবিং ফার্মকে দেওয়া অর্থের বেশিরভাগ যোগান আসবে তাদের কাছ থেকে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত ইমরান খান কিংবা তার দল পিটিআই থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
- Related topics -
- আন্তর্জাতিক
- পাকিস্তান
- ইমরান খান
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র