Triton | আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে নৌসেনার শক্তি বৃদ্ধি! নয়া সামরিক বাহন ‘ট্রাইটন' আনছে ভারত!

Tuesday, June 18 2024, 12:55 pm
highlightKey Highlights

ভারতের নৌসেনার শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং সামুদ্রিক অঞ্চলে প্রতিরক্ষা মজবুত করতে আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এক নয়া সামরিক বাহন আনা হচ্ছে বলে খবর। নতুন এই সামরিক বাহনটির নাম ‘ট্রাইটন (Triton)’। আমেরিকার সংস্থা ‘ওশেন এয়ারো’র সঙ্গে যৌথ ভাবে এই বাহনটি তৈরি করছে ভারতের ‘অ্যানাড্রোম সিস্টেমস’। এই সংস্থাটি মূলত চালকবিহীন সামরিক উড়ান বানিয়ে থাকে। জলের উপরে তো বটেই, সমুদ্রের নীচ দিয়েও চলতে পারে এই বাহন।


ভারতের নৌসেনার শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং সামুদ্রিক অঞ্চলে প্রতিরক্ষা মজবুত করতে আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এক নয়া সামরিক বাহন আনা হচ্ছে বলে খবর। নতুন এই সামরিক বাহনটির নাম ‘ট্রাইটন (Triton)’। আমেরিকার সংস্থা ‘ওশেন এয়ারো’র সঙ্গে যৌথ ভাবে এই বাহনটি তৈরি করছে ভারতের ‘অ্যানাড্রোম সিস্টেমস’। এই সংস্থাটি মূলত চালকবিহীন সামরিক উড়ান বানিয়ে থাকে। জলের উপরে তো বটেই, সমুদ্রের নীচ দিয়েও চলতে পারে এই বাহন। এটিকে ‘অটোনমাস আন্ডারওয়াটার অ্যান্ড সারফেস ভেহিকল’ও (এইউএসভি) বলা হয়ে থাকে।

ট্রাইটনের বৈশিষ্ট্য :

শুধু সামুদ্রিক অঞ্চলে প্রতিরক্ষার বিষয়টিই নয়, সমুদ্রে কোনও খনিজ পদার্থ বা তেলের ভান্ডারের খোঁজ, নজরদারি চালানো, সামুদ্রিক গবেষণার মতো বহুমুখী কাজও করবে ট্রাইটন (Triton)। জানা গিয়েছে, স্বয়ংক্রিয় এই বাহন সূর্যের আলো থেকে শক্তি সংগ্রহ করে চলবে। কোন দিক থেকে এবং সমুদ্রের কতটা গভীর থেকে আওয়াজ আসছে, কোনও জাহাজ বা ডুবোজাহাজ আন্তর্জাতিক জলসীমা পার করে ঢুকে পড়েছে কি না, তা চিহ্নিত করে তৎক্ষণাৎ নৌবাহিনীকে সতর্ক করে এই জলযান। এছাড়া এই সামুদ্রিক বাহনে রয়েছে ‘আইএসআর’ প্রযুক্তি। এই যান নজরদারি চালানোর পাশাপাশি দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করে এবং বিপদের আঁচ পেলে পাল্টা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে। এই যানটিকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, সমুদ্রের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও এটি কাজ করতে পারবে।

Trending Updates

উল্লেখ্য, আমেরিকার নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর ৫৯ এবং ৬৮ টাস্ক ফোর্স এই যানটি ব্যবহার করে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি দেশকেও এই যান বিক্রি করেছে আমেরিকা। ২০০৪ সালে তৈরি হয়েছিল অ্যানাড্রোন সিস্টেমস। চালকবিহীন সামরিক উড়ান, গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন, লঞ্চারের মতো সামরিক সরঞ্জামের নকশা তৈরি করে থাকে এই সংস্থা। এই সামরিক যান ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হলে সামুদ্রিক প্রতিরক্ষার বিষয় তো বটেই, সামুদ্রিক গবেষণাতেও আমূল পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File