আমেরিকা-কানাডায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে জনসন বেবি পাউডারের বিক্রি! ভারতে এখনও চালু থাকায় প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল

Sunday, August 28 2022, 5:45 pm
highlightKey Highlights

ইতিমধ্যেই আমেরিকা এবং কানাডায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জনসন বেবি পাউডারের বিক্রি। তবে ভারতে এই পণ্যের প্রাপ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিশু অধিকার গোষ্ঠী থেকে অভিভাবক এবং চিকিৎসকরা।


ভারতে এই মুহূর্তে ট্যাল্ক ভিত্তিক জনসনের বেবি পাউডার পাওয়া গেলেও ২০২৩ সাল নাগাদ তা বিশ্বব্যাপী বন্ধ হয়ে যাবে। দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে জনসনের বেবি পাউডারের প্রাপ্যতা এবং বিক্রয়ের অনুমতি দেওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। যদিও সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের পণ্য নিরাপদ এবং উৎপাদন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা ভারতে পাওয়া যাবে। আপাতত তা ভারত থেকে তুলে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেও বলেও জানানো হয়েছে।

জনসনের পণ্যটি নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা হয়েছে। এই পণ্য মহিলাদের ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের কারণ বলে দাবি বহু মগিলার। এই পণ্যে বিষাক্ত অ্যাসবেস্টস রয়েছে বলেও অভিযোগ। পাল্টা কোম্পানির দাবি তাদের পণ্য নিরাপদ। এতে অ্যাসবেস্টস সেই এবং তা ক্যান্সার সৃষ্টি করে না বলেও সংস্থার তরফে মন্তব্য করা হয়েছে।


এদেশের অনেক শিশু চিকিৎসক প্রশ্ন তুলেছেন, যদি কোনও পণ্যের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তা কেন বিক্রি করা হবে। কেন সেই পণ্য বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে না। শিশু চিকিৎসকরা বলছেন, পাউডার থেকে শ্বাসকষ্ট হয়। সেই কারণে চিকিৎসকরা শিশুদের ওপর পাউডার ব্যবহার না করতে বলেন বছরের পর বছর ধরে। চিকিৎসরা বলছেন পাউডারে থাকা অ্যাসবেস্টস ফুসফুসের রোগ এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। প্রাপ্ত বয়স্কদের থেকে শিশুদের পাঁচগুণ বেশি অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


ভারতে ন্যাশনাল কমিশন অফ প্রোটেকশন ফর চাইল্ড রাইটসের তরফ থেকে জনসনের বেবি শ্যাম্পু এবং ট্যালকম পাউডারে ফর্মালডিহাইড এবং অ্যাসবেস্টস থাকার অভিযোগ করেছে। তবে এ ব্যাপারে দেশে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া আপাতত মুলতুবি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক কর্তা।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File