Migraine : মাইগ্রেনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবেন কিভাবে?

Tuesday, May 24 2022, 10:40 am
highlightKey Highlights

মস্তিষ্কের ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু উত্তেজিত হলে অথবা জিনগত সমস্যা থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা অনুভূত হয়।


গা গোলানো কিংবা মাথার এক পাশ থেকে শুরু হয়ে গোটা মাথায় ছড়িয়ে পড়া সঙ্গে অসম্ভব মাথা ব্যথা এবং হালকা গা গরমভাব; এই সকল উপসর্গগুলো মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে নতুন নয়। একটানা বেশ ক’দিন থাকার কারণে এই ব্যথা শরীর কাবু করে দেয়। গরমের দিনে সূর্যের প্রখর তাপে এমনিতেই মাথা যন্ত্রণার সম্ভাবনা বাড়ে। তার উপর যদি যোগ হয় মাইগ্রেনের কষ্ট, তা হলে তা এক প্রকার অসহনীয় হয়ে ওঠে। চিকিৎসকদের মতে, সেরেটোনিন নামক রাসায়নিকের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেও এই ব্যথা হয়।

শুধুমাত্র ওষুধ বা প্রয়োজনীয় সাবধানতা না নিলেই যে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে, এমনটা নয়। বরং আমাদের দৈনিক অনেক অভ্যাসের উপরেও নির্ভর করে এ ব্যথার প্রকোপ বাড়বে কি না।

ঘুমের অনিয়ম: প্রতিদিন চেষ্টা করুন ঘুমের জন্য অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা বরাদ্দ রাখতে। একান্ত না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে।

আবহাওয়া: চড়া রোদ বা কনকনে ঠান্ডা— দুটোই মাইগ্রেনের জন্য খারাপ। তাই এমন হাওয়ায় একটু সাবধানে থাকতে হবে। এই সময় ব্যায়ামের শরণ নিন, যার প্রভাবে মাইগ্রেন দূরে থাকতে পারে।

মানসিক চাপ: সারা ক্ষণ অফিসের চাপ, পারিবারিক সমস্যা— এই ঘটনাগুলি এখন আমাদের নিত্য সঙ্গী। এর ফলে বাড়তে থাকে মানসিক চাপ। চিন্তা, উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কিন্তু মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ।

খালি পেটে থাকা: দীর্ঘ ক্ষণ না খেয়ে থাকলে অ্যাসিডিটির সমস্যা শুরু হয়। মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়াতে গ্যাসের জুড়ি নেই। তাই কাজের মাঝেও সময় মতো খেতে হবে।

উপরোক্ত নিয়মগুলি মেনে চললে মাইগ্রেনের মত তীব্র যন্ত্রণা থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন। তবে ব্যথার পরিমান বাড়লে সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে একদম ভুলবেন না। 




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File