লাইফস্টাইল

Hair Mask | রুক্ষ্ম চুলের জেল্লা ফিরিয়ে চুল ঘন করতে সঠিক পদ্ধতিতে মাখুন ডিম! বাড়িতে বানান ডিম দিয়ে হেয়ার মাস্ক!

Hair Mask | রুক্ষ্ম চুলের জেল্লা ফিরিয়ে চুল ঘন করতে সঠিক পদ্ধতিতে মাখুন ডিম! বাড়িতে বানান ডিম দিয়ে হেয়ার মাস্ক!
Key Highlights

ফ্রিজি চুল হোক কিংবা চুল পড়ার সমস্যা, চুলের একাধিক সমস্যা দূর করে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে ডিম দিয়ে তৈরী হেয়ার মাস্ক - চুলের প্যাক। বাড়িতে কীভাবে বানাবেন দেখে নিন।

শুষ্ক চুলের হাল ফেরাতে ডিমের ব্যবহার হয়ে আসছে বহু যুগ ধরে।  চুলের উজ্জ্বলতা এবং সুস্বাস্থ্য ফেরাতে যেসব ঘরোয়া উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সেই তালিকায়  ওপরের দিকেই রয়েছে ডিম। এর গুণে চুল পড়ার সমস্যা তো কমেই, সেই সঙ্গে চুলের জেল্লাও বাড়ায় হু হু করে। চুলে ডিম লাগালে একাধিক উপকারিতা পাওয়া যায় সে সম্পর্কে সকলেই কম বেশি জানলেও, ঠিক কী পদ্ধতিতে ডিম লাগাতে হবে তা জানেন না অনেকেই। দেখে নিন চুলের যত্ন নিতে কীভাবে চুলে মাখবেন ডিম।

ডিম দিয়ে তৈরী হেয়ার মাস্ক বা চুলের প্যাক । Egg Hair Mask or Hair Pack :

রুক্ষ্ম-শুষ্ক হয়ে যাওয়া চুলে ডিম মাখার পরামর্শ পেলে প্রথম যে কথা মাথায় আসে তা হল ডিমের সাদা অংশ না কুসুম মাথায় দেবেন। ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম দুইয়েরই রয়েছে একাধিক গুণ। ডিমের সাদা অংশে রয়েছে রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম এবং পটাসিয়ামের সঙ্গে প্রোটিন। এই উপাদান চুলের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। ডিমের কুসুমে থাকে প্রোটিন ছাড়াও  বি কমপ্লেক্স ভিটামিন এবং ফলিক অ্যাসিড, যা চুল বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডিমের উভয় অংশই ভালো।

ফ্রিজি চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক : 

আবহাওয়া ছাড়াও দূষণ এবগং নানান কারণে কমবেশি সকলেরই চুল শুষ্ক বা ফ্রিজি হয়ে যায়। এক্ষেত্রে চুল মসৃন করতে সাহায্য করে ডিম। ফ্রিজি চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক (Hair Mask for Frizzy Hair) বানাতে প্রথমে  দু থেকে তিনটে ডিমের কুসুম নিয়ে তার সঙ্গে মধু মেশান। এরপর এটি চুল এবং স্ক্যাল্পে লাগিয়ে রাখুন শুকিয়ে যাওয়া অবধি। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে একদিন অন্তত ডিম দিয়ে তৈরী এই ফ্রিজি চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক (Hair Mask for Frizzy Hair) ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে চুল সিল্কি হয়ে উঠবে এবং বাড়বে চুলের জেল্লা।

ডিম ও দইয়ের হেয়ার মাস্ক :

এই হেয়ার মাস্ক (Hair Mask) বানানোর জন্য প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণ মতো টক দই নিন। তার সঙ্গে ২ চামচ আমন্ড অয়েল মিশিয়ে নিন। শেষে ১টি ডিম ফাটিয়ে মিশিয়ে নিন এই মিশ্রণে। এবার চুলে সামান্য পরিমাণে জল স্প্রে করে নিন। তারপর এই হেয়ার মাস্ক লাগান। ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে একবার করে এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।

চুলের বৃদ্ধির জন্য হেয়ার প্যাক :

ডিমে মজুত প্রোটিন  চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করার পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। অন্যদিকে, অলিভ অয়েল চুলকে ময়শ্চারাইজড রাখে। একই সঙ্গে চুলের গোড়া শক্ত করে। এই দুই উপকরণ দিয়ে তৈরী চুলের প্যাক (Hair Pack) তৈরী করতে একটি ডিম ও দু'চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণ স্নানের আগে চুলে লাগিয়ে নিয়ে মিনিট ২০ রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে এবং শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে এক থেকে দুবার এই  হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা যায়।

খুশকির সমস্যা দূর করে কন্ডিশনিং করতে এগ মাস্ক :

যাদের স্ক্যাল্পে চুলকুনির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য  ডিমের কুসুম বেশ উপকারী। এক্ষেত্রে ডিমের কুসুমের সঙ্গে নিম অয়েল মিশিয়ে লাগান। এছাড়া কন্ডিশনিং  করতেও ডিম বেশ উপকারী। এক্ষেত্রে একটা ডিমের কুসুমের সঙ্গে এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এর সঙ্গে হালকা গরম জল মিশিয়ে পাতলা করে নিন। এরপর চুল শ্যাম্পু করার পর এই কন্ডিশনার গোটা চুলে লাগান। চুলের ডগা বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। তাই ডগায় ভাল করে লাগাবেন। কিছুক্ষণ রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এগ হেয়ার মাস্কের উপকারিতা । Egg Hair Mask Benefits :

প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম : ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, মিনারেল এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়। এই পুষ্টিকর উপাদানগুলি চুলের জন্যে যে বেশ উপকারী।

চুলের গোড়া মজবুত করে : ডিমে উপস্থিত বায়োটিন চুলের গোড়া মজবুত করে। চুলের উপর তৈরি করে সুরক্ষা স্তর। ফলে সহজে চুল ঝরে যায় না। চুলের ঘনত্বও বাড়ায়।

প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ডিম : ডিমে উপস্থিত প্রোটিন চুলকে মজবুত করে এবং চুলে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। তাই নিয়মিত ডিমের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে এগ হেয়ার মাস্কের উপকারিতা (Egg Hair Mask Benefits) হিসেবে পাবেন চুলের উন্নত  টেক্সচার।

চুলের জেল্লা বাড়ায় : ডিমের হেয়ার মাস্ক নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল হয় জেল্লাদার। চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি মেটাতেও এই উপাদানের জুড়ি মেলা ভার।

 ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশ বা ডিমের কুসুম। রুক্ষ চুল সিল্কি করতে, ঘন করতে দুটোই দারুণ উপকারী। কেবল চুলের স্বাস্থ্যই নয়, ডিম ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো করে। তবে ডিম চুলে বা ত্বকে লাগানোর সঙ্গে খেতেও হবে। যাদের ডিম খাওয়াতে বারণ নেই তারা রোজ অন্তত একটা করে ডিম খান। এতে যেমন শরীর সুস্থ্য থাকবে তেমনই বাড়বে সৌন্দর্য্যও।