ভারত সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, আরোগ্য সেতু অ্যাপটি বর্তমানে নিষিদ্ধ। কিন্তু সাধারণ জনগণের প্রশ্ন- সমস্ত তথ্য সুরক্ষিত কি না?
মারণ করোনা ভাইরাস যখন বহাল তবিয়াতে সক্রিয় ছিল, তখন দেশজুড়ে স্মার্ট ফোনে অনিবার্য ছিল কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচিত ‘আরোগ্য সেতু অ্যাপ’ (Aarogya Setu)। বর্তমানে অতিমারীর প্রভাব একটু থিতিয়ে পড়তেই অচল ঘোষণা করা হল সেই অ্যাপকে। নরেন্দ্র মোদির সরকার সম্প্রতি জানিয়েছে, আরোগ্য সেতুর ‘ডেটা অ্যাকসেস ও শেয়ারিং প্রোটোকল’ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ এই যে, এ বার থেকে এই অ্যাপের মাধ্যমে আর কোনও রকম তথ্য লেনদেন করা যাবে না।
তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী এই অ্যাপ নিয়ে জানতে চেয়েছিল ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (IFF)। তার উত্তরে কেন্দ্র জানিয়েছে, ১০ই মে, ২০২২ থেকে আরোগ্য সেতুর ‘ডেটা অ্যাকসেস ও শেয়ারিং প্রোটোকল’ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গিয়েছে।
অনেকেই উদ্বিগ্ন এই ভেবে যে, ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে অ্যাপ ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল, তার নিরাপত্তার কী হবে? সেই ডেটা তাহলে গেল কোথায়? তা কি আদৌ নিরাপদ রয়েছে? দেশজুড়ে বহু মানুষ এই অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন। গত মার্চে আরোগ্য অ্যাপে শামিল হন ১১ লক্ষ মানুষ। মোট ১০ কোটিরও বেশি মানুষ অ্যাপটি ব্যবহার করেছেন।
প্রথম থেকেই অ্যাপটিকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল অ্যাপটির নির্মাতা কারা, তা নিয়ে। আসলে অ্যাপের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় তথ্যবিজ্ঞান কেন্দ্র ও কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এই অ্যাপ তৈরি করেছে। কিন্তু জানা যায়, কেউই বলতে পারেনি অ্যাপটির নির্মাতা কে। এক সমাজকর্মী তথ্য কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রকই অ্যাপটির নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্য দিতে পারেনি। এমনকি কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেনি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকও।
পরে অবশ্য কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপটি তৈরি করার বিষয়ে কোনওরকম অস্বচ্ছতা নেই। বেসরকারি ও সরকারি যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে এই অ্যাপ।
- Related topics -
- দেশ
- করোনা ভাইরাস
- কোভিড ১৯
- ডিজিটাল ইন্ডিয়া
- মোবাইল অ্যাপ
- আরোগ্য সেতু
- নরেন্দ্র মোদি
- প্রধানমন্ত্রী
- স্বাস্থ্য
- লাইফস্টাইল