Devi Kushmanda | চতুর্থী-তে পূজিত হন দেবী কুষ্মাণ্ডা, ওষ্ঠে হাসি নিয়ে মহাবিশ্বের সৃজন করেন দেবী

শারদীয় নবরাত্রি ২০২৫ শুরু হয়েছে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে এবং শেষ হবে ২ অক্টোবর, বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে। আজ চতুর্থী। নবরাত্রির চতুর্থ দিনে ভক্তরা দেবী দুর্গার চতুর্থ রূপ দেবী কুষ্মাণ্ডার আরাধনা করেন। রূপবর্ণনা: শাস্ত্রে দেবী কুষ্মাণ্ডাকে আট হাতে অষ্টভুজা রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁর আট হাতে থাকে কমল, চক্র, গদা, ধনুক-বাণ, অমৃতপূর্ণ কলস, রক্তকমণ্ডলু ও জপমালা। ওষ্ঠে মৃদু হাসি নিয়ে তিনি ব্যাঘ্রের ওপর আরোহীতা। 'কুষ্মাণ্ডা' নামটি এসেছে তিনটি শব্দ থেকে: 'কু' মানে ছোট, 'উষ্মা' মানে শক্তি/উষ্ণতা এবং 'অণ্ড' মানে ডিম বা সৃষ্টির বীজ। অর্থাৎ তিনি হাসি ও শক্তির মাধ্যমে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছিলেন।
শাস্ত্রমতে, আশ্বিন মাসে শারদীয় নবরাত্রি (Navratri 2025) পালিত হয়। এই নয় দিন অর্থাৎ প্রথমা থেকে নবমী অবধি মা দুর্গার (Durga Puja 2025) নয়টি রূপ বা অবতারের পুজো করেন হিন্দু ধর্মবলম্বীরা। এই নয়টি রূপকে একত্রে 'নবদুর্গা' বলা হয়।
শারদীয় নবরাত্রি ২০২৫ শুরু হয়েছে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে এবং শেষ হবে ২ অক্টোবর, বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে। আজ চতুর্থী। নবরাত্রির চতুর্থ দিনে ভক্তরা দেবী দুর্গার চতুর্থ রূপ দেবী কুষ্মাণ্ডার আরাধনা করেন।
রূপবর্ণনা: শাস্ত্রে দেবী কুষ্মাণ্ডাকে আট হাতে অষ্টভুজা রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁর আট হাতে থাকে কমল, চক্র, গদা, ধনুক-বাণ, অমৃতপূর্ণ কলস, রক্তকমণ্ডলু ও জপমালা। ওষ্ঠে মৃদু হাসি নিয়ে তিনি ব্যাঘ্রের ওপর আরোহীতা। 'কুষ্মাণ্ডা' নামটি এসেছে তিনটি শব্দ থেকে: 'কু' মানে ছোট, 'উষ্মা' মানে শক্তি/উষ্ণতা এবং 'অণ্ড' মানে ডিম বা সৃষ্টির বীজ। অর্থাৎ তিনি হাসি ও শক্তির মাধ্যমে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছিলেন।
দেবীর বিস্তৃত ধ্যানমন্ত্র: বন্দে বাঞ্ছিতকামার্থাং চন্দ্রার্ধকৃতশেখরাম্। সিংহস্থাং অষ্টভুজাঞ্চ কুষ্মাণ্ডাং যশস্বিনীম্।। ভাস্বৎভানুনিভাং অনাহতস্থাং ত্রিনেত্রাম্। চতুর্থদুর্গাং কমণ্ডলুচাপবাণং তথাপরম্।। পদ্মং সুধাঘটচক্রগদাং জপবটীধরাম্। পট্টাম্বরপরিধানাং কমনীয়াং সুমন্দস্মিতাম্।।হারমঞ্জীরকেয়ূরকিঙ্কিণীরত্নকুণ্ডলমণ্ডিতাম্। প্রফুল্লবদনাং চারুচিবুকাং কান্তকপোলাং তুঙ্গকুচাম্।। কোমলাঙ্গীং শ্রীকন্ঠীং নিম্ননাভিং নিতম্বিনীম্।।
পৌরাণিক কাহিনী: পুরাণ মতে, দেবী চন্দ্রঘণ্টা রূপে অসুরকে পরাজিত করার পর, দেবী পার্বতী মহাবিশ্বে আলো এবং শক্তি আনার জন্য দেবী কুষ্মাণ্ডায় রূপান্তরিত হন। জনশ্রুতি, যখন মহাবিশ্ব অনন্ত অন্ধকারে ঢাকা ছিল, যখন জীবনের কোনও অস্তিত্ব ছিল না, মহাবিশ্বকে আলোকিত করার জন্য এবং শক্তিতে ভরিয়ে দেওয়ার জন্য, দেবী কুষ্মাণ্ডা হাসলেন। তাঁর হাসি থেকে সূর্যের তেজ তৈরি হলো। মহাবিশ্বকে পূর্ণ হলো ঐশ্বরিক আলোয়। তাঁর ঐশ্বরিক হাসিই প্রাথমিক মহাজাগতিক শক্তি তৈরির জন্য দায়ী যা জীবনের সৃজন করে।
দেবী কুষ্মাণ্ডা অল্প পূজাতেই সন্তুষ্ট হন। দেবীর পূজায় রোগশোক দূরীভূত হয়; ভক্তরা আয়ু, যশ, বল ও আরোগ্য লাভ করেন। তাঁর পূজায় কুষ্মাণ্ড (কুমড়ো) বলি দেওয়ার রীতি আছে। ভক্তদের আজকের দিনে এই দেবীর উপাসনা করলে ভক্তদের জীবন থেকে দুঃখ, হতাশা ও অন্ধকার দূর হয়। পরিবারে আসে শান্তি, কর্মে সাফল্য এবং মনে জাগে নতুন সাহস।
- Related topics -
- পুজো ও উৎসব
- নবরাত্রি
- দুর্গাপুজো
- দূর্গা পুজো ২০২৫
- আজকের খবর
- এক নজরে