Navratri 2024 | আজ নবরাত্রির চতুর্থ দিন, এদিন দেবী দুর্গা পূজিত হন ‘কুষমুণ্ডা’ রূপে
নবরাত্রি (Navratri) এর চতুর্থী তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন ‘কুষমুণ্ডা’ রূপে। কুষমুণ্ডা দেবী (Kushmanda Devi) অষ্টভুজা এবং অষ্ট সিদ্ধিদাত্রী। দেবী কুষমুণ্ডা সিংহের উপর উপবিষ্ট। তার ডান দিকের চার হাতে থাকে পদ্ম, বাণ, ধনুক ও কমণ্ডলু। বাম দিকের চার হাতে থাকে যথাক্রমে চক্র, গদা, অমৃতপূর্ণ কলস ও জপমালা। ‘কু’ শব্দের অর্থ কুৎসিত আর ‘উষ্মা’ শব্দের অর্থ ‘তাপ’; ‘কুষ্মা’ শব্দের অর্থ তাই ত্রিতাপ বা দুঃখহরণকারী দেবী।
আজ নবরাত্রি ২০২৪ (Navratri 2024) এর চতুর্থ দিন। নবরাত্রি (Navratri ) জুড়ে দেবী দুর্গাকে পুজো করা হয় নয়টি বিশেষ রূপে। প্রত্যেক তিথিতে, অর্থাৎ প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত এক এক তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন এক এক রূপে। নবরাত্রির চতুর্থ দিনে পূজিত হন কুষমুণ্ডা দেবী (Kushmanda Devi)।
কুষমুণ্ডা দেবী । Kushmanda Devi :
নবরাত্রি (Navratri) এর চতুর্থী তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন ‘কুষমুণ্ডা’ রূপে। কুষমুণ্ডা দেবী (Kushmanda Devi) অষ্টভুজা এবং অষ্ট সিদ্ধিদাত্রী। দেবী কুষমুণ্ডা সিংহের উপর উপবিষ্ট। তার ডান দিকের চার হাতে থাকে পদ্ম, বাণ, ধনুক ও কমণ্ডলু। বাম দিকের চার হাতে থাকে যথাক্রমে চক্র, গদা, অমৃতপূর্ণ কলস ও জপমালা। ‘কু’ শব্দের অর্থ কুৎসিত আর ‘উষ্মা’ শব্দের অর্থ ‘তাপ’; ‘কুষ্মা’ শব্দের অর্থ তাই ত্রিতাপ বা দুঃখহরণকারী দেবী। সেই দেবী যিনি জগতের দুঃখ গ্রাস করে নিজের উদরে ধারণ করেন। তাই দেবীর নাম ‘কুষ্মাণ্ডা’। যেমন মহাদেব সমুদ্রমন্থনের সময় সমস্ত হলাহল পান করে নীলকণ্ঠ হয়েছেন, তেমনই আদ্যাশক্তি জগজ্জননী দুর্গা জগতের সর্বপ্রকার জ্বালা যন্ত্রণার হাত থেকে সন্তানদের সর্বদা রক্ষা করতে করুণায় দ্রবীভূত হয়ে স্বেচ্ছায় সব তাপ নিজের শরীরে গ্রহণ করেন। দূরিতবারিণী, ত্রিতাপহারিণী দেবীর নাম তাই, 'কুষ্মাণ্ডা'। পুরাণে কথিত আছে, দেবী কুষ্মান্ডা, তাঁর হাসি দিয়েই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। তিনি সূর্য দেবতার উপাস্য। দেবী তাঁর হাসি দিয়েই সমস্ত অন্ধকার দূর করে থাকেন।
কাশীতে দেবী কুষ্মাণ্ডার মন্দির অতি বিখ্যাত। দেবী কাশীতে দুর্গা নামেই পরিচিতা। কথিত আছে, তিনি কাশীর দক্ষিণ দিকের রক্ষয়িত্রী। কাশীখণ্ডে অসি নদীর সঙ্গমস্থলে দেবী কুষ্মাণ্ডার অধিষ্ঠান। দেবীর মন্দিরটি বেশ বড় আর বহুচূড়াবিশিষ্ট। লাল পাথরের তৈরি সুদৃশ্য এই মন্দিরের কাছেই রয়েছে কাশীর বিখ্যাত তীর্থ দুর্গাকুণ্ড। মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে দেবী কুষ্মাণ্ডার পশ্চিমমুখী দুই হাত উঁচু বিগ্রহ আছে।
নবরাত্রির চতুর্থ দিনে সাধক নিজের মনকে অনাহত চক্রে রেখে দেবী কুষ্মাণ্ডার পূজা করেন। দেবীর পূজায় রোগশোক দূর হয়। দেবীর আরাধনায় ভক্ত আয়ু, যশ, বল এবং আরোগ্য লাভ করেন। মনে করা হয়, দেবী কুষ্মাণ্ডা অল্প পূজাতেই সন্তুষ্ট হন। এই দেবীর পূজায় কুষ্মাণ্ড (কুমড়ো) বলি দেওয়ার রীতি আছে।
- Related topics -
- উৎসব ২০২৪
- দুর্গাপুজো
- পুজো ও উৎসব