Gliese 12 B | আবহাওয়া ইংল্যান্ডের মতো, আকারও প্রায় পৃথিবীরই সমান! মানুষের নতুন 'ঠিকানা'র খোঁজ পেল NASA?
![highlight](/img/target.png)
পাওয়া গেল পৃথিবীর মতো গ্রহ। মহাকাশের দূরত্বের হিসেবে এটি এখনও সবচেয়ে কাছের গ্রহ যেখানে মিলতে পারে প্রাণের অস্তিত্ব। এই গ্রহের নাম দেওয়া হয়েছে গ্লিজ ১২।
আকার এবং তাপমাত্রা প্রায় পৃথিবীর মতোই অবিকল! মহাকাশে এরমই নতুন গ্রহ (new planet) এর আবিষ্কার করলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। মহাকাশের দূরত্বের হিসেবে এই নতুন গ্রহটি এখনও সবচেয়ে কাছের গ্রহ, যেখানে মিলতে পারে প্রাণের অস্তিত্ব। জানা গিয়েছে, নতুন গ্রহ (new planet) এর নাম দেওয়া হয়েছে গ্লিজ ১২বি (Gliese 12 b)। তাহলে কি মানুষদের পরবর্তী ঠিকানা হতে চলেছে এই গ্রহ? কী জানা যাচ্ছে এই গ্লিজ ১২বি-র সম্পর্কে?
![পাওয়া গেল পৃথিবীর মতো গ্রহ](https://media.bengalbyte.in/photo/1716905794004-glize 12 the earth-like planet.webp)
পৃথিবীর যমজ গ্লিজ ১২বি?
সংবাদসংস্থার খবর অনুসারে, ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জানান, তারা পৃথিবীর আকারের একটি নতুন বাসযোগ্য গ্রহ আবিষ্কারের জন্য একটি আন্তর্জাতিক দলের অংশ ছিলেন। এর জন্য নাসা (NASA) এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছেন তাঁরা। এই গ্রহ প্রায় অবিকল পৃথিবীর মতোই। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্রহটির পৃষ্ঠের আনুমানিক তাপমাত্রা প্রায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে এর বায়ুমণ্ডল কেমন সে সম্পর্কে তারা এখনও নিশ্চিত নন। এটি প্রতি ১২.৮ দিনে তার সংস্করণের সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে তবে এটি পৃথিবীর সমান আকারের। গ্লিজ ১২ নামের এই গ্রহটি মীন নক্ষত্রপুঞ্জে (Pisces) অবস্থিত একটি শীতল, লাল বামন এবং পৃথিবী সূর্য থেকে যতটা শক্তি পায়, গ্রহটি তার নক্ষত্র থেকে ১.৬ গুণ বেশি শক্তি গ্রহণ করে। দলটি গ্রহটির অস্তিত্ব এবং এর আকার, তাপমাত্রা এবং পৃথিবী থেকে দূরত্বের মতো বৈশিষ্ট্যগুলি নিশ্চিত করতে নাসা এবং ইএসএর উপগ্রহ থেকে ডেটা ব্যবহার করছে।
![এই গ্রহের নাম দেওয়া হয়েছে গ্লিজ ১২](https://media.bengalbyte.in/photo/1716905823789-earth-like planet.webp)
কিন্তু গ্রহটি কাছাকাছি হলেও প্রায় ৪০ আলোকবর্ষ দূরে থাকায় গিয়ে সেখানকার বিষয়ে এখনই বিষদে জানা সম্ভব নয়। ওয়ারউইকের জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী ড. থমাস উইলসন বলেন, এটি সত্যিই একটি চমকপ্রদ আবিষ্কার এবং ছায়াপথে পৃথিবীর মতো গ্রহ নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণায় সহায়তা করবে। তিনি আরও জানান,রোমাঞ্চকরভাবে, এই গ্রহটি পৃথিবীর আকারের এবং তাপমাত্রার সবচেয়ে কাছের গ্রহ। যে আলো আমরা এখন দেখছি তা ১৯৮৪ সালের। গ্লিজ ১২বি এর মতো গ্রহগুলি খুব কম, তাই বর্তমানে বিজ্ঞানীদের পক্ষে এটি নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করতে এবং এর বায়ুমণ্ডল এবং তাপমাত্রা সম্পর্কে জানতে সক্ষম সুযোগ পাওয়াও খুব বিরল।
আরও পড়ুন : চাঁদের মাটিতেই ঘুমোচ্ছে বিক্রম-প্রজ্ঞান! সঙ্গে চাঁদের দুই মেরুতে আরও জলের সন্ধান পেল ইসরো!
![মহাকাশের দূরত্বের হিসেবে এটি এখনও সবচেয়ে কাছের গ্রহ যেখানে মিলতে পারে প্রাণের অস্তিত্ব](https://media.bengalbyte.in/photo/1716905778062-image.webp)
অন্যদিকে, এই গবেষণার সহ-প্রধান এবং এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ডক্টরাল শিক্ষার্থী লারিসা প্যালেথর্প বলেছেন যে, আমাদের নিজস্ব সৌরজগতের বিবর্তনের কিছু দিক উন্মোচন করতে সহায়তা করার জন্য আরও বায়ুমণ্ডলীয় গবেষণার জন্য এই নতুন গ্রহ একটি 'অনন্য প্রার্থী'। পৃথিবী এখনও বাসযোগ্য। কিন্তু পরবর্তীকালে কী হবে তা এখন ধোঁয়াশা। এদিকে নতুন আবিষ্কৃত গ্রহ গ্লিজ ১২ বি এর বায়ুমণ্ডল গ্রহগুলি বিকাশের সাথে সাথে বাসযোগ্যতার পথ সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের অনেক কিছু শেখাতে পারে।