Oommen Chandy | প্রয়াত কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চান্ডি! শোক পালনে কেরলে ছুটি ঘোষণা!
দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন কংগ্রেস নেতা ও কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চান্ডি। মঙ্গলবার সকালে বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে শোকাহত গোটা রাজ্য-সহ রাজনৈতিক মহল।
শোকের ছায়া কেরলে (Kerala)। প্রয়াত কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চান্ডি (Oommen Chandy)। দীর্ঘদিন দিন ধরেই মারণ রোগ ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই শেষ করে পরলোক গমন করলেন কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ওমেন চান্ডির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ।
সূত্রের খবর, বেশ সময় ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি চিকিৎসা করাতেই বেঙ্গালুরুর (Bangalore) হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল চান্ডিকে। তবে সেই হাসপাতালেই এদিন ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ওমেন চান্ডির মৃত্যুর খবর জানান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে নিজেই।
উল্লেখ্য, মৃত্যুকালে কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। ওমেন চান্ডির প্রয়াণে শোকাহত গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতার মৃত্যুতে এদিন রাজ্য জুড়ে ছুটি ঘোষণা করেছে কেরল সরকার (Kerala Government)। দু’দিনের জন্য শোক পালন করবে রাজ্য।
প্রসঙ্গত, দু’বার কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন এই কংগ্রেস নেতা। ১৯৭০ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে কেরল বিধানসভায় পদার্পণ করেন ওমেন চান্ডি। এরপর দ্বিতীয়বার পরাজিত হলেও তৃতীয়বার থেকে টানা ১১ বার বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। কেরলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার বিধায়ক হিসাবে রেকর্ডও রয়েছে ওমেন চান্ডির। অবশেষে ২০০৪ সালে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী হন ওমেন চান্ডি। প্রথম দফায় দু’বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। তবে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে আসীন ছিলেন তিনি। যদিও এরপর ২০১১ সালে ফের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেন চান্ডি। এরপর টানা ৫ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর মেয়াদ পূর্ণ করেন ওমেন চান্ডি।
চান্ডির প্রয়াণে শোকাহত রাজনৈতিক মহল। কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়ানে শোক প্রকাশ করেন সেই রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan)। শোক প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge), কংগ্রেস সভাপতি কে. সুধাকরণও (K. Sudhakaran)। কেরল এবং কংগ্রেস ছাড়াও অন্যান্য রাজ্য ও রাজনৈতিক দলের নেতারাও শোকবার্তা জানিয়েছেন। বিরোধী বৈঠকের মধ্যেই প্রয়াত কংগ্রেস নেতাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কংগ্রেস নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান সোনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi), রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)।