দেশ

Railway Rules | ট্রেনে উঠে 'সুখটান' দিলেই বেজে উঠবে অ্যালার্ম! থেমে যাবে ট্রেন! ধূমপান রুখতে বসছে বিশেষ মেশিন!

Railway Rules | ট্রেনে উঠে 'সুখটান' দিলেই বেজে উঠবে অ্যালার্ম! থেমে যাবে ট্রেন! ধূমপান রুখতে বসছে বিশেষ মেশিন!
Key Highlights

রেলওয়ের নিয়ম তোয়াক্কা না করে ট্রেনে আর করা যাবে না ধূমপান। কোচগুলিতে বসতে চলেছে ফায়ার সেন্সর-স্মোক সেন্সর। ধূমপান করলেই তৎক্ষণাৎ ধরবে পুলিশ।

ট্রেনে উঠে জানলার পাশে বসে কিংবা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বা টয়লেটের দরজা আটকে ধূমপানের ঘটনা আজকে নতুন নয়। প্রায়শই দেখা যায় ট্রেনে 'ধূমপান নিষিদ্ধ' লেখা পোস্টার এবং রেলওয়ের নিয়ম (Railway Rules)কে তোয়াক্কা না করেই 'বিশেষ গুণধর'রা সুখটান দিয়ে থাকেন চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই। তবে এবার 'এনাদের' 'সুখময়' অভ্যাসে লাগাম টানতে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)। ট্রেনে বসতে চলেছে স্মোক সেন্সর (Smoke Sensor)! অর্থাৎ এবার ট্রেনে ধূমপান করলেই পুলিশের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া হবে কঠিন। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে ট্রেন!

বর্তমানে এরকম একাধিক প্রযুক্তিগত মেশিন বাজারে এসেছে যার মাধ্যমে বোঝা যায় কেউ ধূমপান করছে কি না বা কোথাও আগুন লেগেছে কি না। এবার রেলের ক্ষেত্রেও এই ধরণের ফায়ার সেন্সর (Fire Sensor) বা স্মোক সেন্সর (Smoke Sensor) ব্যবহার করতে চাইছে রেল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই এই ধরণের মেশিন বসানো শুরু হয়েছে ট্রেনের কোচগুলিতে। রেলের পরিভাষায় এই ব্যবস্থাকে বলা হচ্ছে ‘ফায়ার ডিটেকশন অ্যান্ড ব্রেক অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম’ (Fire Detection and Brake Application System)।  জানা গিয়েছে, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ট্রেনের মধ্যে যে কোনও ধরনের ধোঁয়া দেখা গেলে একটি অ্যালার্ম বেজে উঠবে। কেবল তাই নয়, চলন্ত ট্রেনটিও সেখানেই বন্ধ হয়ে যাবে।

রেলওয়ে সূত্রে খবর, ট্রেনে কেউ ধূমপান করলে বা আগুন লাগলে তা প্রথমে ধরা পড়বে  ফায়ার সেন্সর (Fire Sensor) দ্বারা। এরপর অ্যালার্ম বেজে উঠবে এবং বার্তা যাবে কন্ট্রোল প্যানেলে। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে থেমে যাবে ট্রেন। রেলের এক পদস্থ কর্তা এই প্রসঙ্গে জানান, ট্রেনের মধ্যে যে কোনও উৎস থেকে নির্গত ধোঁয়াকে শনাক্ত করার ক্ষমতা রয়েছে এই প্রযুক্তির। প্রথমে কন্ট্রোল প্যানেলে লাল বাতি জ্বলে উঠবে। সমানে ধোঁয়া নির্গত হতে থাকলে সংশ্লিষ্ট কোচে জ্বলে উঠবে লালবাতি। তারপর ধীরে ধীরে থেমে যাবে ট্রেন। পুরোটাই হবে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে। 

প্রসঙ্গত, প্রায়শই  ট্রেনে আগুনের কারণে দুর্ঘটনার খবর উঠে আসে শিরোনামে। এপ্রকার দুর্ঘটনার কারণে প্রাণনাশের মতোও ঘটনা ঘটেছে। রেলওয়ের নিয়ম (Railway Rules) অনুযায়ী চলন্ত ট্রেনে ধূমপান করা নিষিদ্ধ থাকলেও তা তোয়াক্কা না করেই দরজার সামনে বা টয়লেটে গিয়ে ধূমপান করে থাকেন অনেকে। এই সামান্য 'সুখটান'ই অনেক সময় বড় বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। ফলে এসব ক্ষেত্রে কিছুটা আগে বিপদের আভাস পাওয়া গেলে ক্ষয়ক্ষতি কমানো যায়। যার ফলেই এই বিশেষ মেশিন বসতে চলেছে ট্রেনে। এসি কোচগুলিতে শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা বেশি থাকে বলে আগে সেগুলিতে চালু করা হচ্ছে এই বিশেষ ব্যবস্থা। তবে পরে ধীরে ধীরে সব ট্রেনেই এই মেশিন বসবে। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, বর্তমানে তাদের বিভাগে মোট ১০৯২টি দূরপাল্লার ট্রেন চলে। এর মধ্যে ১৪৩টি ট্রেনে ইতিমধ্যে এই প্রযুক্তি কার্যকর হয়েছে। যাত্রীবাহী সাধারণ কোচের পাশাপাশি প্রযুক্তিটি কাজে লাগানো হচ্ছে  প্যান্ট্রি এবং পাওয়ার কারেও। রেল আধিকারিক জানিয়েছেন, শীঘ্রই এই শাখায়  ১০০ শতাংশ দূরপাল্লার ট্রেনে এই মেশিন বসতে চলেছে।