"সন্তান নেই, তুইই তো পারলৌকিক কাজ করবি!" বারবার বলতেন তনুদা, আবেগঘন অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়
মা বা বাবা সারা শরীরে যন্ত্র লাগিয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে। কোন সন্তান দাঁড়িয়ে দেখতে পারে? তরুণ মজুমদারের মৃত্যুতে গভীর শোকাহত সন্তানতুল্য অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়
আমার সিনেমা দুনিয়ার ‘মা-বাবা’ সন্ধ্যা রায়, তরুণ মজুমদার। সবাই বলেন, ওঁরা আমায় আবিষ্কার করেছেন। আমি জানি, আমি তখন এক তাল মাটির ঢেলা। ওঁরা দু’জনে মিলে সেই মাটি থেকে মূর্তি বানিয়েছেন। তাতে প্রাণ ঢেলেছেন। ‘চুমকি’ থেকে ‘দেবশ্রী’ হয়ে নতুন জন্ম হয়েছে আমার। সেই ‘বাবা’ আর নেই। ওঁর পারলৌকিক কাজ করব।
পিতৃতুল্য তনুদার মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়, তবে পরিচালকের কথা মতোই তাঁর শেষকৃত্যের সমস্ত নিয়ম পালন করবেন
তনুদা সব সময় বলতেন, ‘‘মা রে, আমার তো কোনও সন্তান নেই। তুই, মৌসুমী আর মহুয়া আমার তিন মেয়ে। যখন থাকব না তোরাই শেষ কাজ করবি।’’ বাবার কথা ফেলি কী করে? তবে মুখাগ্নি করতে পারব না। ওই নিষ্ঠুর কাজ আমার দ্বারা হবে না। আমার বাবা, মা, দাদার সময়েও এই কাজ করিনি। আমি দেখতে পারি না। বাকি সব নিয়ম পালন করব।
অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় আরও বললেন, "শেষের দিকে নাকি তনুদা আবারও আগের মতো ছবি করতে চাইতেন। ইচ্ছে থাকলেও পারেননি। শরীরে আগের মতো জোর ছিল। ইন্ডাস্ট্রিও অনেক বদলে গিয়েছে। কিন্তু আমি জানি, ওঁর কাজগুলোই থেকে যাবে। বাংলা এবং ভারতীয় ছবির ইতিহাসে কালজয়ী হয়ে থাকবে ওঁর পরিচালিত সমস্ত ছবি। জানি না, এখনকার ছবি সেই জায়গা নিতে পারবে কিনা।"
- Related topics -
- সেলিব্রিটি
- টলিউড
- তরুণ মজুমদার
- প্রয়াত
- দেবশ্রী রায়