Electronics | বাজ পড়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে এসি, টিভি, ফ্রিজ এমনকি মোবাইলও! জানুন কীভাবে বিপদ এড়িয়ে সুরক্ষিত রাখবেন বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি!
বাজ পড়ে টিভি, ফ্রিজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বাজের পড়ে বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি নষ্ট হতে পারে। ফলে বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক গেজেটস বাঁচানোর জন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।
প্রচন্ড গরম থেকে বঙ্গবাসীকে স্বস্তি দিয়েছে বৃষ্টিপাত। কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে বিক্ষিপ্ত ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। তবে তাঁর সঙ্গে অনবরত পড়ছে বাজও। ঝড়ো বৃষ্টি বজ্রপাত (windy rain thunder) এমন আবহাওয়া গরম থেকে স্বস্তি দিলেও চিন্তা বাড়ায় বৈদ্যুতিন যন্ত্রগুলির জন্য। কারণ বাজ পড়ে টিভি, ফ্রিজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বাজের পড়ে বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি নষ্ট হতে পারে। ফলে বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক গেজেটস বাঁচানোর জন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।
বজ্রপাতের সময়ে কীভাবে ইলেকট্রনিক গেজেটস রক্ষা করবেন?
- সবার আগে প্রতিটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র থেকে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। সুইচ বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি প্লাগ থেকে তা খুলেও রাখতে পারেন। বাজ পড়ার জন্য অপেক্ষা করবেন না। আকাশে ঘন কালো মেঘ দেখলেই এই কাজটি সবার আগে করে ফেলতে হবে।
- ঝড়ো বৃষ্টি বজ্রপাত (windy rain thunder) আবহাওয়ায় শুধু ফ্রিজ কিংবা টিভি নয়, বজ্রপাতের সময় ওয়াইফাই চালানো থাকলেও সেটা বন্ধ করে দিন। না হলে রাউটার খারাপ হয়ে যেতে পারে।
- আর্থিং (earthing) করা আছে বলে বাজ পড়লেও টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন অক্ষত থাকবে, এ ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। অনেক সময় আর্থিং (earthing) করা থাকলেও বিপদ হতে পারে। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে সবার আগে।
- বাজ পড়ার সময় কোনওভাবেই মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়া যাবে না। ফোনে একেবারে চার্জ না থাকলেও নয়। এমনকি মোবাইল ফোন চার্জে বসানো থাকলে সঙ্গে সঙ্গে প্লাগ থেকে তা খুলে নিন। চার্জ না থাকলেও বজ্রপাতে চার্জ দেওয়ার ঝুঁকি নেবেন না।
- বজ্রবিদ্যুৎ পড়ার সময়ে যদি ঘরে ল্যাপটপ চালাতে হয় তবে তাতে কখনই বিদ্যুৎ সংযোগ করবেন না। এতে ল্যাপটপ খারাপ হয়ে যেতে পারে। যদি একান্তই ল্যাপটপে কাজ করতে হয় তা হলে আগে প্লাগ থেকে খুলে নিতে হবে। ব্যাটারিতে চালাতে হবে ল্যাপটপ।
প্রসঙ্গত, বাড়িতে লাইটনিং অ্যারেস্টার (lightning arrester)-এর ব্যবস্থা করা ভাল। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে বাজ পড়ার প্রবণতা বেড়েছে। এক্ষেত্রে লাইটনিং অ্যারেস্টার (lightning arrester) উপকার দেবে।
আকাশ মেঘলা থাকার কারণে, মেঘের সংঘর্ষে জলের কণাগুলো কিছু মেঘের ধনাত্মক চার্জে এবং কিছু ঋণাত্মক চার্জ আসে। এই দুই ধরনের চার্জযুক্ত মেঘ যখন মিলিত হয়, তখন তাদের মিলনের ফলে লক্ষ লক্ষ ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। আকাশে এই ধরনের বজ্রপাতের পর সেই মেঘের মধ্যবর্তী স্থানে এই বৈদ্যুতিক প্রবাহ প্রবাহিত হতে থাকে। এটি প্রচুর পরিমাণে উজ্জ্বলতা তৈরি করে। এ কারণে আকাশে বিদ্যুৎ চমকাতে দেখা যায়। যেহেতু বৈদ্যুতিক প্রবাহ প্রবাহিত হয়, তাই তাপও ব্যাপকভাবে উৎপন্ন হয়। এটি বাতাসকে প্রসারিত করে এবং এর লক্ষ লক্ষ কণা একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু করে। সেগুলি বজ্রপাতের শব্দ তৈরি করে ।বজ্রপাতের সময়ে আমরা প্রথমে আলো দেখতে পাই। তার কিছুক্ষণ পরে শব্দ হয়। এর কারণ, আলোর গতি শব্দের চেয়ে অনেক বেশি।
বজ্রপাত ইলেকট্রনিক আসবাব খারাপ করার পাশাপাশি প্রাণ পর্যন্ত নিতে পারে। তাই বজ্রপাতের জেরে সতর্ক হতে সকলকে বলা হয়ে থাকে। বজ্রপাতের সময়ে ক্ষেতে কাজ করা, গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া, পুকুরে স্নান করা মানুষরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। তাই যখনই বজ্রপাত দেখবেন, তখন সেই এলাকা থেকে দূরে সরে যান। এছাড়া বজ্রপাতের সময় আপনি যদি বাড়ির ভিতরে থাকেন, তবে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন। বাড়ির বাচ্চাদেরও কাছে যেতে দেবেন না। জানালা এবং দরজা বন্ধ করুন। বারান্দা এবং ছাদ থেকে দূরে থাকুন।
- Related topics -
- অন্যান্য
- বিদ্যুৎ
- বজ্রপাত
- মোবাইল ফোন
- ল্যাপটপ