২৮ এপ্রিলের পর থেকে রান্নার তেলের মূল্যবৃদ্ধি! ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি চাইছে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ

পরিবহণের পরে মধ্যবিত্তের রান্নাঘরেও ছ্যাঁকা খাওয়ার সম্ভাবনা। তেল আমদানি বন্ধ হওয়ায় বাড়তে পারে রান্নার তেলের দাম।
চলতি মাস থেকেই ভারতকে পাম তেল রফতানি করা বন্ধ করে দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। দেশের অভ্যন্তরীণ প্রয়োজনের তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় আগামী ২৮শে এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য তেল রফতানিতে নিষেদ্ধাজ্ঞা আরোপ করেছে এই দেশ।
ইন্দোনেশিয়া থেকে তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে তার মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে ভারতে
বণিক সংগঠন সলফেন্ট এক্সট্র্যাকটর্স অ্যাসোসিয়েশনের এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর বিভি মেটা বলেন, ‘‘ইউক্রেনে যুদ্ধ চলায় এমনিতেই সূর্যমুখী তেলের জোগান ধাক্কা খেয়েছে। এখন পাম তেলের জোগান কমে গেলে সার্বিক ভাবে দাম আকাশছোঁয়া হতে পারে। ইন্দোনেশিয়ার সিদ্ধান্ত ভারতের বাজারে বড় প্রভাব ফেলবে।’’
মার্চের শেষেই আন্তর্জাতিক আর্থিক উপদেষ্টা সংস্থা ক্রিসিলের সমীক্ষায় দাবি করা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ভারতে অশোধিত সূর্যমুখী তেলের আমদানি চলতি অর্থবর্ষে ২৫ শতাংশ কমতে পারে। প্রয়োজনের এই তেলের ৯০ শতাংশই ইউক্রেন এবং রাশিয়া থেকে কেনে ভারত। জোগানের ঘাটতি তার দামকে আরও ঠেলে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হয়।
ভারতে ভোজ্য তেলের মধ্যে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত পাম তেলের দাম অবশ্য আগে থেকে অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। এর সঙ্গে সূর্যমুখী তেলের জোগান কমে যাওয়ায় ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা তৈরি হয়। এখন পাম তেলের অভাব সেই সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেবে।
- Related topics -
- অর্থনৈতিক
- রান্নার তেল
- পাম তেল
- মূল্যবৃদ্ধি
- ভারত