Earth Hour | পৃথিবীর সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে এক ঘন্টার আঁধার বিশ্বে! শনিবার আপনিও পালন করুন Earth Hour!

Friday, March 22 2024, 1:37 pm
highlightKey Highlights

প্রতি বছর মার্চ মাসের শেষ শনিবার আর্থ আওয়ার পালন করে এক ঘন্টার জন্য বিশ্ববাসীকে আলো নিভিয়ে, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-সহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবহার বন্ধ রাখার আহ্বান দেওয়া হয়।


 জলবায়ু-পরিবেশ সংরক্ষণ সম্পর্কে লাগাতার সতর্কবার্তা দিয়ে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রকৃতির স্বাস্থ্য যে ভালো না তার আভাস দেয় একটার পর একটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ফলে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলি জলবায়ু ও পরিবেশ রক্ষার জন্য নানান কর্মসূচির ব্যবস্থা করে থাকে। এরকমই এক উল্ল্লেখযোগ্য কর্মসূচি হলো আর্থ আওয়ার (Earth Hour)। প্রতি বছর মার্চ মাসের শেষ শনিবার আর্থ আওয়ার (Earth Hour) পালন করে এক ঘন্টার জন্য বিশ্ববাসীকে আলো নিভিয়ে, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-সহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবহার বন্ধ রাখার আহ্বান দেওয়া হয়।

প্রতিবছর এক ঘণ্টার জন্য আলো নিভিয়ে, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-সহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবহার বন্ধ রাখতে আহ্বান জানানো হয় বিশ্ববাসীকে। এবার ১৮তম আর্থ আওয়ার পালন করবে পৃথিবীর ১৯০টি দেশ এবং অঞ্চল। বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ রেখে কিছু ক্ষণের জন্য হলেও পৃথিবীর সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করা হয় বছরের একটি দিন, কয়েক ঘণ্টার জন্য। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ২৩ মার্চ রাত ৮.৩০টা থেকে ৯.৩০টা পর্যন্ত পালিত হবে আর্থ আওয়ার।

সাধারণত, প্রতি বছর মার্চ মাসের শেষ শনিবার আর্থ আওয়ার পালিত হয়। এ বছর এক সপ্তাহ আগে, ২৩ মার্চ দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। গত বছর এই নিয়ে বাড়তি উৎসাহ চোখে পড়ে ভারতেও। ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ ১৫০টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ স্থান, সৌধ এবং সরকারি ভবনের আলো নিভিয়ে রাখা হয় এক ঘণ্টার জন্য। পরিবেশে ডাব্লুডব্লিউএফ পূর্ণ রূপ (wwf full form in environment) ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ -এর তরফে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ওই দিন ১৩টিরও বেশি সাইক্লোথনের আয়োজন করা হয়, গাড়ি-বাইক ছেড়ে সাইকেল চালানোয় যোগ দেন ২০০০-এর বেশি মানুষ।

 বছরে মাত্র এক ঘণ্টা আলো নিভিয়ে রাখলে কী লাভ?

বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই এক ঘণ্টাই বড় পরিবর্তন ডেকে আনতে পারে। এতে আত্মসমীক্ষার অবকাশ তৈরি হয়, নিজেদের আচরণে পৃথিবীর কী ক্ষতি করছি আমরা, তা নিয়ে আলাদা করে ভাবনাচিন্তার সময় মেলে। সার্বিক ভাবে পৃথিবীর কল্যাণে কী কী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনার সুযোগ মেলে। পরিবেশবিদদের মতে, মাত্র এক ঘণ্টা হলেও, পরিবেশের প্রতি ব্যক্তিবিশেষের দায়বদ্ধতা প্রতিফলিত হয় ওই টুকু সময়েই। আর এই এক থেকেই অনেকের সমাবেশ ঘটে।

২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়াতেই প্রথম  আর্থ আওয়ার পালিত হয়। আলো নিভিয়ে সেই প্রথম পৃথিবীর সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। কালক্রমে এই রীতি ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর সর্বত্র। ২০০৮ সালের ২৯ মার্চই কাতারে কাতারে মানুষ যুক্ত হন এই প্রচেষ্টায়। দ্বিতীয় বছরেই লক্ষ লক্ষ মানুষ এক ঘণ্টার জন্য আলো নিভিয়ে পৃথিবীর মঙ্গল কামনা করেন।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File