Driving Licence | বাড়িতে বসেই আবেদনকারীরা পাবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স! জুন থেকে চালু হবে নয়া ব্যবস্থা!
আবেদনকারীরা এবার বাড়িতে বসেই পেয়ে যাবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স। বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে নয়া ব্যবস্থা আনবে রাজ্য সরকার।
দুয়ারে সরকারের পর এবার দুয়ারে ড্রাইভিং লাইসেন্স! আবেদনকারীরা এবার বাড়িতে বসেই পেয়ে যাবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স (Driving Licence)। বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এবার এই ব্যবস্থা আনতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। পরিবহণ দফতরের (Department of Transport) তরফ থেকে জানানো হয়, চলতি বছর জুন মাস থেকেই এই প্রকল্প শুরু হবে।
রাজ্যের পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলে লাইসেন্স বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে সরকারের তরফ থেকে। সূত্র অনুযায়ী খবর, এই বিষয়ে একটি বেসরকারি সংস্থার সাহায্য নিচ্ছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, এই বেসরকারি সংস্থা এটিএম কার্ডের (ATM Card) আকারের ড্রাইভিং লাইসেন্সে ডেটা (Driving Licence Data) প্রক্রিয়া করা হবে। পাশাপাশি একটি চিপ (Chip) এবং একটি কিউআর কোড (QR Code) দিয়ে প্রার্থীর ঠিকানায় ডেলিভারির জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাক বিভাগের (Postal Office) কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, পরিবহণ দফতরের বেলতলার (Beltala) আঞ্চলিক অফিসে প্রায় ১০ হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং আরসি (RC) ছাপানো হবে। এগুলির প্রত্যেকটিতে একটি চিপ এবং একটি কিউআর কোড লাগানো থাকবে। এছাড়াও ড্রাইভিং লাইসেন্সের চিপে মালিকের নাম, জন্ম তারিখ, রক্তের গ্রুপ, তারিখ এবং লাইসেন্স দেওয়ার স্থান-সহ প্রাসঙ্গিক তথ্য উল্লেখ করা থাকবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্সে থাকা চিপ এবং কিউআর কোড মালিকের পরিচয় সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করা ছাড়াও, কার্ডটি আসল কিনা সেই সম্পর্কেও তথ্য প্রদান করবে। সম্প্রতি পরিবহন দফতরের এক আধিকারিক জানান, একজন ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনকারী লাইসেন্সের অবস্থা সম্পর্কে এসএমএস (SMS)-এর মাধ্যমে সমস্ত আপডেট পাবেন। বাড়ি বসেই আবেদন করা ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে ব্যয় করতে হবে ২০০ টাকা। এই টাকা বিনিময়ে গাড়ির মালিকের ঠিকানায় একই পদ্ধতিতে গাড়ির নিবন্ধন শংসাপত্র অর্থাৎ আরসি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আবেদন করার এক সপ্তাহের মধ্যেই বাড়িতে বসে আবেদনকারী পেয়ে যাবেন তার ড্রাইভিং লাইসেন্স। প্রসঙ্গত, পরিবহন বিভাগ স্পিড পোস্টে (Speed Post) এই কার্ডগুলি সরবরাহ করার জন্য ইতিমধ্যে চুক্তি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রকের (Union Ministry of Communications) অধীনে ইন্ডিয়া পোস্টের সঙ্গে (India Post)।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্সের নিয়মও। যদি আপনার বয়স কম হয় সেক্ষেত্রে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের (Learner Driving License) জন্য আবেদন করতে হবে। তার জন্য আবেদনকারীকে কোনও পরীক্ষায় বসতে হবেনা। এরপর যদি লার্নার লাইসেন্স পেয়ে যান, তাহলে গিয়ারহীন গাড়ি (Gearless Car) বা স্কুটার (Scooter) চালাতে পারবেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার আগে প্রয়োজন একটি লার্নার লাইসেন্স। এই ধরনের লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকার সবথেকে বড় সুবিধা হল, আবেদনকারী গাড়ি চালানো শিখতে পারবেন এবং পরে পরীক্ষা দিয়ে উর্তীর্ণ হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন।
এতদিন পর্যন্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করত আরটিও (RTO)। যদিও লার্নার লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালানোর সময় একাধিক নিয়ম মেনে চলতে হবে। এমনকি লার্নার লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালালে, গাড়ির সামনে এবং পিছনে 'এল' (‘L’) অর্থাৎ লার্নার লিখে রাখতে হবে।
এই ধরণের লাইসেন্স পেতে হলে কোনও আরটিও অফিসে ছুটতে হবেনা। নামজাদা কোনও ড্রাইভিং ট্রেনিং ইনস্টটিউটে (Driving Training Institute) গিয়ে লাইসেন্সের জন্য রেজিস্টার করতে হবে। পরে স্কুল থেকেই আবেদনকারীরা একটি সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন। সেখানেই চালকদের টেস্ট দিতে হবে এবং সেই ড্রাইভিং টেস্টে উত্তীর্ণও হতে হবে। অতঃপর সার্টিফিকেটটির ভিত্তিতেই ওই আবেদনকারীর জন্য ড্রাইভারের লাইসেন্সর ইস্যু করা হবে।
- Related topics -
- লাইফস্টাইল
- রাজ্য
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- রাজ্য সরকার
- পরিবহন দফতর