দেশ

IRDA: স্বাস্থ্য বীমার চড়া প্রিমিয়াম থেকে গ্রাহককে রেহাইয়ের উপায়

IRDA: স্বাস্থ্য বীমার চড়া প্রিমিয়াম থেকে গ্রাহককে রেহাইয়ের উপায়
Key Highlights

স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামের অঙ্ক বৃদ্ধি পাওয়ার দরুন ইতিমধ্যেই সমস্যায় পড়েছেন প্রবীন নাগরিকেরা। কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

বর্তমান সময়কালে শুধু যে দৈনন্দিন জীবনে সাধারণভাবে বেঁচে থাকার জন্য জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তা নয়; এর সাথে পায়ে পা মিলিয়ে বাড়ছে স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামের অঙ্ক। যা অনেক গ্রাহকের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে।

বিশেষত প্রবীন নাগরিকেরা স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম বৃদ্ধির জন্য সমস্যায় পড়েছেন। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বয়স্কদের প্রিমিয়াম বেড়েছে বেশি। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয়ে উঠেছে যে, স্বাস্থ্য বিমার খরচ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ-র চেয়ারম্যান দেবাশিস পণ্ডা।

নয়াদিল্লিতে এ সংক্রান্ত এক সম্মেলনে দেবাশিস বলেন, পলিসি কেনার খরচ এত বেড়েছে যে, দেশে বিমার প্রসার বাধা পাচ্ছে। এই পরিষেবা পরিচালনার খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ এখন মাত্রাছাড়া। ফলে বিমা সংস্থাগুলিও প্রিমিয়াম অস্বাভাবিক হারে বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, কোভিড দিয়েছে স্বাস্থ্য বিমার প্রয়োজনীয়তা। কিন্তু প্রয়োজন বুঝলেও অনেকেরই চড়া প্রিমিয়াম গোনার সাধ্য নেই। উল্টে বহু পুরনো গ্রাহক স্বাস্থ্য বিমা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এটা সামাজিক ক্ষতি। এ জন্য বিমা সংস্থাগুলিকে পুরোপুরি ডিজিটাল নির্ভর হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

একই চিকিৎসার খরচ এক একটি হাসপাতালে এক এক রকম। নগদ টাকা দিয়ে চিকিৎসা করালে যা বিল হয়, রোগীর বিমা থাকলে তা হয় অনেক বেশি। স্বাস্থ্য পরিষেবার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ তৈরি না হলে এই অন্যায়গুলি আটকানো যাবে না।

ন্যাশনাল ইনশিয়োরেন্সের অন্যতম প্রাক্তন কর্তা এন বাঞ্চুর

প্রিমিয়ামের হার কমানোর ক্ষেত্রে অভিনব উপায় বার করতে বিমা সংস্থাগুলিকে উদ্যোগী হওয়ার বার্তা দিয়েছেন আইআরডিএ কর্তা। বলেছেন, স্টার্ট-আপগুলি এ ব্যাপারে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই বিষয়টিতে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে বিমা নিয়ন্ত্রক।