Immunity Boosting Food | 'রাজ্যে বাড়ছে করোনা'..সতর্ক হওয়ার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর! জানুন এই সময়ে কোন কোন খাবার বাড়াবে ইমিউনিটি ?

Thursday, January 11 2024, 2:41 pm
highlightKey Highlights

পশ্চিমবঙ্গে করোনা কেস ক্রমশ বাড়ছে। এই সময়ে সুস্থ্য সাহায্য করবে কাঁচা হলুদ, আখরোট শুকনো ফলের মতো আরও খাবার।


২০২৪ এর শুরুতেই ফের মাথাচারা দিয়ে উঠেছে করোনা। নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কোভিড ১৯! বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই দেশ জুড়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমত অবস্থায় বাংলাতেও সংক্রমিতের হদিশ মিলেছে। সেই সবদিক মাথায় রেখে রাজ্যবাসী সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গত ২৪ ঘণ্টায় আজ পশ্চিমবঙ্গে করোনা কেস (Last 24 hours corona cases in west bengal today)এর সংখ্যা ৪০। তবে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে করোনা অ্যাকটিভ কেস (Corona cases in West Bengal) ২৪৯। করোনা সংক্রমণ রুখতে যেমন মাস্ক পড়া, স্যানিটাইজ করা প্রয়োজন, তেমনই প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভাস।স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন খাবার খেতে হবে যা শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধি করবে। খোঁজ রইল এমন কিছু খাবারের যা খাদ্যতালিকায় থাকলে ইমিউনিটি বাড়বেই।

আমন্ড, কাঠবাদাম, আখরোট শুকনো ফল (Walnut dry fruits) এ আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিল ই। ভিটামিন ই-ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি এই ধরণের বাদামে থাকা প্রোটিন আর আয়রন শরীরকে দীর্ঘক্ষণ ধরে কর্মক্ষম রাখে।দিনে ১ থেকে ২টি আখরোট ও আমন্ড খাওয়া উচিত। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও পাচন শক্তি দুর্বলতা ঠিক করে। তবে আমন্ড ও আখরোট রাতে ভিজিয়ে পরের দিন সকালে খেতে হবে। ভেজানো আমন্ড ও আখরোট স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশি উপকারী।

লেবু জাতীয় ফল । Citrus Fruits :

পুষ্টির পাওয়ার হাউস হিসেবে বিবেচিত সাইট্রাস বা লেবুজাতীয় ফলগুলো ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানের একটি সমৃদ্ধ উৎস। এতে ভিটামিন 'সি'-সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে। যা কোষের ক্ষতি থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। শরীরের প্রতিটি কোষে থাকা ডিএনএ, ফ্রি র‍্যাডিকেলের সংস্পর্শে এলে ক্ষতি বা পরিবর্তিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। এই পরিবর্তনের ফলে শরীরে ক্ষতিকর কোষের বিস্তার ঘটতে পারে। ভিটামিন 'সি' ফ্রি র‌্যাডিক্যাল থেকে মুক্তি দিয়ে কোষের পরিবর্তন বন্ধ করতে পারে। তাছাড়া সাইট্রাস ফলের মধ্যে প্রচুর ফাইবার থাকে। যা পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং হৃদরোগসহ বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করে। ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং উচ্চ কোলেস্টেরল কমায়। এটি শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করে। এর জন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রোজ কমলালেবু, বাতাবি, মৌসাম্বি, জাতীয় ফল একটা করে খেতে বলেন। গরম জলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়েও খেতে পারেন।

রসুন । Garlic :

কাঁচা রসুন অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিসেপটিকের গুণে সমৃদ্ধ। এটি ঠান্ডা লাগা, কাশি, সর্দি, ভাইরাল ফিভারের থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। রসুনে রয়েছে ভিটামিন সি, বি ১, বি ৬ এবং ফসফরাস ও আয়রন। সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে যায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে রসুন। রোজ যদি কেউ এক কোয়া রসুন খান, তাঁর ডায়াবিটিসের আশঙ্কা কিছুটা কমতে পারে। তাই স্যুপ হোক বা তরকারি, খাবারে রসুন থাকলে থাকবেন সুস্থ্য।

রাঙা আলু । Sweet Potato :

রাঙা আলুতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা পরবর্তীকালে ভিটামিন এ- তে রূপান্তরিত হয়ে যায় এবং আমাদের চোখ ও ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। রাঙা আলু রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে শরীরে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত রাঙা আলু খেলে শরীরে কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, হার্ট ভাল থাকে। রাঙা আলুতে পটাশিয়াল থাকে, যা স্নায়ুতন্ত্রের উপযুক্ত কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া রাঙা আলু কিডনি ভাল রাখে। এতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তবে রাঙা আলু হজম হতে দেরি হলেও, দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। তাই এর থেকে এনার্জিও বেশি পাওয়া যায়।

কাঁচা হলুদ । Raw Turmeric :

প্রাচীন জগ থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য, রোগ নিরাময়ের জন্য কাঁচা হলুদ (Raw Turmeric) ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি নানা ধরনের রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য শরীরকে তৈরি করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে, হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়, শরীরে আয়রনের স্বল্পতা দেখা দিলে এটি আয়রন বাড়াতেও সহায়তায় করে। এমনকি হলুদ ক্যানসার প্রতিরোধে অবদান রাখতে পারে। সুস্থ্য থাকতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে মধু সহযোগে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন। গরম দুধের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন ঘুমোতে যাওয়ার আগে।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে করোনা কেস (Corona cases in West Bengal) ক্রমশ বাড়তে থাকায় আইসিসিইউগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকেও পুরোপুরি প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা, যাতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে দ্রুত সেটাকে কমিয়ে আনা যায় এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। বছর ঘুরে বাড়তে থাকা কোভিড কেসের সময় সুস্থ্য থাকতে খাদ্যাভাসের সঙ্গে মেনে চলতে হবে কোভিড বিধিও।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File