Christmas 2023 | বড়দিনে কেক খাওয়ার প্রচলন কীভাবে এলো ভারতে? ক্রিসমাসকে কেনই বা বলা হয় 'বড়দিন'? জানুন ক্রিসমাস সম্পর্কে একাধিক না জানা তথ্য!

Monday, December 25 2023, 9:22 am
highlightKey Highlights

ক্রিসমাস ২০২৩ উপলক্ষ্যে আনন্দে মেতে উঠেছে গোটা পৃথিবী। এ দিন জানুন ক্রিসমাস বা বড়দিন সম্পর্কে বহু যা জানা তথ্য এবং ইতিহাস।


আমরা সবাই জানি বড়দিন মানেই  ক্রিসমাস ট্রি ও সান্তা ক্লজ (Christmas tree and Santa Claus), কেক কাটা, লাল-সাদা সান্তা ক্লজের পোশাক (Santa Claus Dress), ভালোমন্দ খাওয়া দাওয়া। তবে এই দিন সম্পর্কে অনেকের কাছেই অনেক তথ্য অজানা। যেমন- ২৫সে ডিসেম্বরেই কেন ক্রিসমাস পালন করা হয়, কেন এদিন কেক কাটা হয়, কেন এই দিনকে 'বড়দিন' বলা হয়,কেন এদিন সান্তা ক্লোজ এসে উপহার দেবে এই ধারণা রয়েছে ইত্যাদি । চলুন ক্রিসমাস ২০২৩ (Christmas 2023) এ জেনে নেওয়া যাক ক্রিসমাস বা বড়দিন সম্পর্কে না জানা কিছু তথ্য ও ইতিহাস।

'ক্রিসমাস ডে'- হল একটি বার্ষিক খ্রিস্টান উৎসব। ২৫ সে ডিসেম্বর তারিখে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হয়। তবে এই দিনটিই যে যিশুর প্রকৃত জন্মদিন তা নিয়ে নানান বিতর্ক রয়েছে। আদিযুগীয় খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুসারে, এই তারিখের ঠিক নয় মাস পূর্বে মেরির গর্ভে আসেন যীশু। সম্ভবত, এই হিসাব অনুসারেই ২৫সে ডিসেম্বর তারিখটিকে যিশুর জন্মতারিখ ধরা হয়। বিশেষ করে, যিশুর অবতারের মাধ্যমে আমাদের পৃথিবীতে ঈশ্বরের উপস্থিতির স্মৃতি ও আশীর্বাদে বড়দিনের গুরুত্ব প্রকাশ পায়।

উত্তর গোলার্ধের দক্ষিণ অয়নান্ত দিবসের অনুষঙ্গেই ২৫সে ডিসেম্বর তারিখে যিশুর জন্মজয়ন্তী পালনের প্রথাটির সূত্রপাত হয়। খ্রিস্টের প্রকৃত জন্ম তারিখ অজানা, তবে ৪র্থ শতাব্দী থেকে ২৫ সে ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্রিসমাস প্রতীকীভাবে উদযাপন করা হয়েছে। ৩৫০ খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি, পোপ জুলিয়াস প্রথম ২৫ সে ডিসেম্বরকে গির্জা যিশুর জন্মের স্মরণ দিন হিসাবে নির্ধারণ করেছিলেন। যদিও ২৫ সে ডিসেম্বরকে বড়দিন পালন করার প্রথা শুরু করেছিল রোমানরা। রোমের অরেলিয়ান নামের এক রাজা জাঁকজমকের সঙ্গে ২৫ ডিসেম্বরকে বড়দিন হিসাবে পালন করা শুকু করেন। এমনই লেখা রয়েছে 'The Origin Of Christmas' নামের বইয়ে। তবে রাশিয়া, জর্জিয়া মিশর, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন ও সার্বিয়াতে এদিন ক্রিসমাস পালন করা হয় না। এইসব দেশে বড়দিন পালন করা হয় ৭ জানুয়ারি।

'ক্রিসমাস' শব্দটির উৎপত্তি:

‘ক্রিসমাস’ কথাটি এসেছে মাস অফ ক্রাইস্ট।  এর উত্তর নিয়ে তুমুল বিতর্ক রয়েছে। যিশুখ্রিস্টের গোটা জন্মমাসটাকেই খ্রিষ্টমাস বলা হয়। খ্রিষ্টমাস থেকেই এসেছে ক্রিসমাস। মধ্যযুগীয় সময় ইংরেজি Christemasee বা Christes Maesse শব্দ থেকে খ্রিষ্টমাস কথাটি এসেছে। Christes শব্দটি আবার গ্রিক Christos এবং 'maesse' শব্দটি লাতিন শব্দ missa থেকে এসেছে। ১০৩৮-এর একটি রচনা থেকে এমনই জানা গিয়েছে। Christmas কে X-Mas বলারও একটা বিশেষ কারণ রয়েছে। গ্রিক ভাষায় এক্স কথাটির অর্থ হল Christ। তাই ক্রিসমাসকে সংক্ষিপ্ত করতে এক্সমাস লেখা হয়। 

ক্রিসমাসকে 'বড়দিন' কেন বলা হয়?

ভারতে সর্বপ্রথম ক্রিসমাস পালন করা ১৬৬৮ সালে। বলা হয় জব চার্নক প্রথম বড়দিন পালন শুরু করেছিলেন। ২৫সে ডিসেম্বর ভারতে শীতের সময়, অর্থাৎ দিন ছোট এবং রাত বড়। তবুও এই দিনকে 'বড়দিন' বলা হয়। আসলে এদিন সূর্যের উত্তরায়ণ শেষ হয়ে শুরু হয় দক্ষিণায়ন। এদিন থেকে বেলা একটু একটু করে বড় হয়। সেই সঙ্গে শীতের প্রকোপও কমতে শুরু করে। এছাড়াও বিশ্বাস এই দিনেই যাবতীয় দুঃখ থেকে মুক্তি পেয়েছিল বিশ্ব। যে কারণে সবাই একে অপরকে উপহার দিয়ে আনন্দের সঙ্গে দিনটি পালন করেন এবং দিনকে বলা হয় 'বড়দিন'। উল্লেখ্য, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ২৫সে ডিসেম্বর বড়দিন পালন করা হলেও ব্যতিক্রম রাশিয়া, জর্জিয়া, মিশর, আর্মেনিয়া। জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ৭ই জানুয়ারি এখানে বড়দিন পালন করা হয়। 

ক্রিসমাসে কীভাবে কেকের প্রচলন শুরু হলো?

ধারণা করা হয়, শুরুতে হয়তো ক্রিসমাসে কেক খাওয়ার প্রচলন ছিল না তাই সম্ভবত কেকের বদলে আগে প্লাম পরিজ খাওয়ার প্রচলন ছিল। মূলত উপবাস ভাঙার জন্য খাওয়া হতো প্লাম পরিজ। দীর্ঘদিন ধরে প্লাম পরিজের রেসিপিতে বেশ খানিকটা বদল আসে। এই বদলে যাওয়া রেসিপিতে যোগ হয় মধু, শুকনো ফল ও মসলা। এসব নতুন উপাদানের জন্য প্লাম পরিজ ধীরে ধীরে পুডিংয়ের আকার ধারণ করে। ১৬ শতক পর্যন্ত সেই ঐতিহ্য চলতে থাকে। শোনা যায়, প্রাচীন নোরস শব্দ কাকা থেকেই এসেছে কেক শব্দটি। আবার সুইডিশ ভাষায় এর অর্থ মিষ্টি। কেক তৈরির প্রথম নিদর্শন পাওয়া গেছে প্রাচীন গ্রীস সভ্যতায়। আবার শোনা যায় রোমানরা নাকি নানারকমের শুকনো ফল মিশিয়ে প্রথম ফ্রুটকেক তৈরি করে। 

কেক নিয়ে ইউরোপীয়রা যতই মাতামাতি করুক না কেন, কেক বেক করার পদ্ধতি প্রথম আবিষ্কৃত হয় এশিয়া মহাদেশেই। তথ্য অনুযায়ী, প্রাচীন মিশরেই প্রথম কেক বেকিং-এর সন্ধান পাওয়া যায় একেবারে প্রথম দিকে চিনির গুঁড়া, ডিমের সাদা অংশ ও সুগন্ধী দিয়ে তৈরি হত কেক সাজানোর আইসিং। আর বেকিং করার আগে মেশানো হত শুকনা ফল ও লেবু। কেকের বদল আসে উনিশ শতকে। জানা যায়, ১৮৯২-এ আবিষ্কার হয় ইলেক্ট্রনিক ওভেনে। আর ওই সময় থেকেই ধবধবে সাদা ময়দা ও বেকিং পাউডারের ব্যবহার হয়। চিনি আর চকলেটের দাম অনেকটাই বেশি ছিল তখন। তাই দামি খাবার বা ধনীদের খাবার বলে মনে করা হত। অবাক করা বিষয় হলো, বড়লোকদের বাড়ির ক্রিসমাস কেকে যোগ করা হতো ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া বিভিন্ন স্বাদের মসলা। ক্রিসমাস কেকে সেই ঐতিহ্য এখনো চলছে। 

ভারতে ক্রিসমাস কেকের প্রচলন :

ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে দেখা যাবে, বড়দিনের কেক প্রথম তৈরি হয়েছিল দক্ষিণের রাজ্য কেরালায়। উনিশ শতকের শেষদিকে সেখানে এক স্কটিশ সাহেবের উদ্যোগে তৈরি হয় বড়দিনের কেক। সাহেবের নাম নাম মুরডক ব্রাউন। ১৮৮৩-তে ভারতে এসেছিলেন তিনি। এদেশে এসেই দারুচিনির ব্যবসা শুরু করেন। লাভ ভাল হওয়ায় আর দেশে ফিরে যাওয়ার কথা চিন্তা করেননি ব্রাউন। এর মধ্যেই বড়দিন চলে আসায় কেক তৈরির পরিকল্পনা করেন তিনি। স্কটিশ সাহেন ব্রাউন এই কাশ্য সম্পন্ন করতে সাহায্য নিয়েছিলেন স্থানীয় এক বিস্কুট কারখানার মালিকের। ওই ব্যক্তির নাম ছিল মামবলি বাপু। এই দু’জনের হাত ধরে এদেশে প্রথম তৈরি হয় বড়দিনের কেক।

মামবলি বাপুর উত্তরসূরীদের দাবি, কেক তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে একদিন তাঁদের বিস্কুট কারখানায় সটান চলে আসেন ব্রাউন সাহেব। সরাসরি কেক মিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। নতুন ধরনের একটা খাবার তৈরি হবে বুঝতে পেরে তাতে রাজি হয়ে যান মামবলি বাপুও। কেক তৈরীর জন্য মিক্সিংয়ে বিদেশ থেকে আনা ব্র্যান্ডির বদলে কাজু ও আপেলের তৈরি একটি ব্রু মেশান তিনি। এছাড়াও ব্যবহার করেছিলেন মাখন। কেক মিক্সিংয়ে ব্র্যান্ডি মেশানোর পরামর্শ অবশ্য দিয়েছিলেন ব্রাউন সাহেব। তৎকালীন ফরাসি উপনিবেশ মাহে থেকে এই ব্র্যান্ডি আনার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যা পরে বাতিল করে দেন মামবলি বাপু। কেক তৈরিতে নিজের পদ্ধতি ব্যবহার করে সাফল্য পান কেরালার বিস্কুট কারখানার মালিক। কেক তৈরি হয়ে গেলে তা নিয়ে ছুটে যান ব্রাউন সাহেবের কাছে। কেক খেয়ে অভিভূত হয়ে পড়েন সাহেব। সঙ্গে সঙ্গে আরও এক ডজন কেক তৈরির অর্ডার দেন তিনি। ধীরে ধীরে মামবলির তৈরি কেক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে গোটা কেরালায়। উল্লেখ্য, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মামবলি বাপু পরিবারের তরফে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে কেক পাঠানো হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে।

বড়দিনে ক্রিসমাস ট্রি  ও উপহার  :

বড়দিন মানেই ক্রিসমাস ট্রি সাজানো। তবে এই গাছের নেপথ্যেও রয়েছে ইতিহাস। ক্রিসমাস ট্রি হল একটি পাইন, স্প্রুস বা ফার। এই গাছ সাজানোর প্রথা প্রথম জার্মানিতে শুরু হয়েছিল। ক্রমশ তা হয়ে ওঠে বড়দিনের অংশ। ক্রিসমাস ট্রির আবির্ভাব নিয়ে নানা কাহিনি আছে। কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার জেমস এটি ল্যানকাস্টার, ‘দ্য কনভারসেশন’-এর একটি প্রবন্ধে লেখেন, স্ট্রাসবার্গের জার্মান নাগরিকরা ক্রিসমাস পালনের ঐতিহ্যে একটি গাছকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। এর মাধ্যমে অভিভাবকরা তাঁদের শিশুদের সম্পর্কে তাঁদের মনোভাব প্রচার করতেন। ১৭৭০-এর দশকের এই আচার ধীরে ধীরে জার্মানির অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু, ১৮৩০ সাল পর্যন্ত এই প্রচলন তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। এরপর এই রীতি পৌঁছয় ব্রিটেনে। সেখান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই প্রথাটি জনপ্রিয়তা পায়। 

তবে, ক্রিসমাস ট্রির নীচে উপহার রাখার ধারণাটি ১৮৪০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়। এই ধারণা জার্মান নাগরিকদের থেকে আসেনি। বরং বই প্রকাশকদের কাছ থেকে এসেছে, যারা উপহার প্রদানকে একটি বিপণন কৌশল হিসেবে দেখেছিলেন। ল্যানকাস্টারের মতে, বই বিক্রেতারা ছোট গল্প এবং কবিতার সংকলন প্রকাশ করতেন। যেমন ক্রিস ক্রিংলের, ক্রিসমাস ট্রি (১৮৪৫)। যেখানে দেখা গেছে যে শিশুরা বই উপহার পাচ্ছে, তলোয়ার, ড্রাম এবং পুতুলের বদলে। ল্যানকাস্টারের মতে, শিশুদের উপহার দিয়ে তাদের বাড়ির ভিতরে রাখা হত। 

 সান্তা ক্লজ : 

বড়দিনে নানান বিশ্বাস প্রচলনের মতো আরও একটি 'বিশ্বাস' হলো  সান্তা ক্লজ। মানা হয় বড়দিনের আগের রাত অর্থাৎ ক্রিসমাস ইভে বাড়ি বাড়িতে  স্লেজগাড়ি চেপে আসে সকলের প্রিয় সান্টা ক্লজ।  রাত হলেই শুতে যাওয়ার আগেই মোজা ঝুলিয়ে রাখা হয় ঘরের একটি কোণে। ওই মোজাতেই পছন্দের গিফ্টটি দিয়ে যায় সান্তা। সান্তা ক্লজের পোশাক (Santa Claus Dress) লাল-সাদা। এই চরিত্র কাল্পনিক হলেও গল্পটি কিন্তু নয়। বলা হয়, চতুর্থ শতাব্দীর তুরস্কে সেন্ট নিকোলাস নামে এক ধনী অথচ দয়ালু ব্যক্তি ছিলেন। ছোট বেলাতেই তাঁর বাবা-মাকে হারিয়েছিলেন নিকোলাস। তবে দুঃস্থদের জন্য মন কাঁদত তাঁর। কোথাও কেউ বিপদে পড়লে তাকে লুকিয়ে সাহায্য করতেন নিকোলাস। একবার এক ব্যক্তি অর্থাভাবে তার তিন মেয়ের বিয়ে দিতে পারছিলেন না। খবরটি নিকোলাসের কানে যেতেই তিনি গোপনে সে ব্যক্তির বাড়ি যান। বাড়ির ছাদে উঠে চিমনিতে একটি সোনার থলি রেখে আসেন। আর সেদিনই চিমনিতে মোজা শুকোতে দিয়েছিলেন ব্যক্তিটি। এভাবে একবার নয় মোট তিনবার ব্যক্তিটির চিমনিতে উঠে সোনার থলি রেখে আসেন নিকোলাস। তবে শেষবার তাকে দেখে ফেলেন ব্যক্তিটি। এরপর ধীরে ধীরে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়তে থাকে। জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ফাদার নিকোলাস। 

উল্লেখ্য, ক্রিসমাস বা বড়দিন সম্পর্কে নানান বিশ্বাস এবং প্রথা প্রচলন রয়েছে।পৃথিবীর কমবেশি সকলেই সেগুলি মেনে চলেন প্রতি বছর। অন্যদিকে, ক্রিসমাস ২০২৩ (Christmas 2023) নিয়ে মেতে উঠেছে গোটা দুনিয়া। প্রত্যেক বছর ২৫ সে ডিসেম্বর পৃথিবীর কমবেশি সব অঞ্চলেই এদিন ধুমধাম করে পালন হয় বড়দিন। ব্যতিক্রম থাকে না তিলোত্তমাও। বড়দিনের বিশেষ আকর্ষণ হয়ে ওঠে পার্ক স্ট্রিট কলকাতা (Park Street, Kolkata)। আলো ক্রিসমাস ট্রি ও সান্তা ক্লজ (Christmas tree and Santa Claus) এ সেজে ওঠে পার্ক স্ট্রিট কলকাতা (Park Street, Kolkata)। তবে ২০২৩ সালে আলোহীন যীশুর জন্মস্থান। অন্যান্য বছর যেখানে এই সময়ে তিল ধারণের জায়গা থাকে না, সেখানেই এবার খা খা করছে বেথলেহ্যাম (Bethlehem)। বন্ধ হোটেল-রেস্তোরাঁর দরজা। ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধের জেরেই ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের (West Bank) এই শহর ২০২৩ সালের বড়দিনে পর্যটকশূন্য।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File