লাইফস্টাইল

Akshay Tritiya: অক্ষয় তৃতীয়াতে পঞ্চগ্রহী যোগ, জানুন এইদিনের মাহাত্ম্য

Akshay Tritiya: অক্ষয় তৃতীয়াতে পঞ্চগ্রহী যোগ, জানুন এইদিনের মাহাত্ম্য
Key Highlights

এই বছর অক্ষয় তৃতীয়াতে হতে পারে অর্থলাভ। বিশেষ রাশি পাবে সুখবর। এই দিনের বিশেষত্ব জানলে হবেন অবাক।

বাংলার বৈশাখ মাসের অন্যতম শুভ ক্ষণ বা তিথি হল অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Tritiya) । এই মাসের শুক্লা পক্ষের তৃতীয়া তিথিতে পালন করা হয়ে থাকে এই শুভ ক্ষণ। পৌরাণিক কালপ্রবাহ থেকে মনে করা হয়, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন যা কাজ করা হয় তা অক্ষয় থেকে যায় গোটা বছর। যার ফলে অনেকেই মনে করে থাকেন এদিন সোনা কিনলে আসবে অর্থ সুখ - সমৃদ্ধি। তবে অন্যবারের থেকে এই বছরের অক্ষয় তৃতীয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একই দিন তৈরি হবে পঞ্চগ্রহী যোগ। এই বছর অক্ষয় তৃতীয়ায় কখন কি করলে আপনার বছর শুভ যাবে,কখনই বা কিনবেন সোনা আর কেনই বা পালন করা হয় এই তিথি, জানুন সবই।

এই বছর অক্ষয় তৃতীয়া শুরু হবে ২২ এপ্রিল  ৮ টা ১৫ মিনিট ১১ সেকেন্ড থেকে ২৩ এপ্রিল ৮ টা ১৭ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড পর্যন্ত। এই তিথিতে সোনা কেনার শুভ সময় ২২ এপ্রিল সকাল ৭ টা ৪৯ মিনিট থেকে বিকাল ৫টা ৪৮ মিনিটের মধ্যে। 

বাংলায় অক্ষয় শব্দের অর্থ, যার ক্ষয় হয়না। অর্থাৎ যা অক্ষত থেকে যায়। তাই পুরাণ মতে মনে করা হয় থাকে, এদিন যে কাজ করা হয় তা অক্ষত থেকে যায় গোটা বছর। এছাড়াও শাস্ত্র মতে, অক্ষয় তৃতীয়া পাপ নাশ করে সুখ প্রদান করে। যার ফলে এই শুভ তিথিতে হিন্দু ব্যবসায়ীরা পুজো করে থাকেন লক্ষ্মী - গণেশের। অনেকে দোকানে হালখাতাও করে থাকেন এইদিন। মন্দিরে মন্দিরেও পুজো দিতে ভিড় করেন ভক্তরা।

 পুরাণ মতে মহাভারতে কৌরবদের কাছে পাশা খেলায় পরাজিত হয়ে ১২ বছরের জন্য বনবাস ও এক বছরের জন্য অজ্ঞাতবাসে যেতে হয়েছিল পাণ্ডবদের। বনবাসে থাকাকালীনই ফের কৌরবদের চক্রান্তে মুনি দুর্বাসা তার শিষ্যদের নিয়ে এক রাত আশ্রয় গ্রহণ করতে যান পাণ্ডবদের কাছে। কিন্তু সেই সময় ঘরে অন্ন না থাকায় ক্ষুধার্থ মুনি দুর্বাসা অভিশাপ দেবেন ভেবে ভয় পান পাণ্ডব ও দ্রৌপদী। ঠিক সেই সময়ই শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদে হাড়িতে থাকা একটি চাল খেয়েই পেট ভরে যায় মুনি দুর্বাসা ও তার শিষ্যদের। পাণ্ডব ও দ্রৌপদীকে অভিশাপ থেকে রক্ষা করেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। তারপর থেকেই এই দিন পালন করা হয় অক্ষয় তৃতীয়া হিসেবে।

অন্যদিকে আরেক পৌরাণিক কাহিনী বলে, যখন নবম অবতার কৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন তখন তার সুদামা নামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ বন্ধু ছিলেন। যিনি একদিন ভুলবশত কৃষ্ণের সব খাবার খেয়ে ফেলেন। কিন্তু কৃষ্ণ কী খাবেন এই চিন্তায় সুদামা ঘর থেকে এক মুঠো চাল নিয়ে আসেন কৃষ্ণের জন্য। এই বন্ধুপরায়নতা জয় করে নেয় কৃষ্ণের মন। এরপরেই কৃষ্ণের আশীর্বাদে সুদামার সমস্ত দরিদ্রতা ঘুচে যায়। যেদিন এই ঘটনা ঘটে সেই দিনই ছিল বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। যার জন্যই মনে করা হয় এইদিন শুভ এবং দুর করতে পারে জীবনের সমস্যা। এছাড়াও অক্ষয় তৃতিয়ার দিনই জন্মগ্রহণ করেছিলেন পরশুরাম।

হিন্দু ধর্মে অক্ষয় তৃতীয়াকে শুভ মনে করে অনেকেই করে থাকেন পুজো, সারা বছর অর্থ সুখের জন্য কিনে থাকেন সোনা। তবে জ্যোতিষ মতে এই বছর অক্ষয় তৃতীয়া বেশি শুভ ও গুরুত্বপূর্ণ। ১২৫ বছর পর এইদিন তৈরি হচ্ছে পঞ্চগ্রহী যোগ। যার ফলে রাশির জাতকরা অর্থ ও চাকরির ক্ষেত্রে পাবেন সুখবর। 

এইদিন সূর্য, বৃহস্পতি, বুধ , রাহু এবং ইউরেনাস মেষ রাশিতে পঞ্চগ্রহী যোগ তৈরি করবে। পাশাপাশি, অক্ষয় তৃতীয়াতে সূর্য মেষ রাশি এবং চন্দ্র বৃষ রাশিতে অর্থাৎ উভয় গ্রহই তাদের উচ্চ রাশিতে অবস্থান করবে। এইদিন বৃষ রাশিতে চন্দ্র ও শুক্র উভয়ই থাকার জন্য অনেক রাশিকেই পেয়ে দেবে সুবিধা, সুখ। অর্থ সুখ পাবেন বৃষ, মেষ, বৃশিক, কর্কট রাশির ব্যক্তিরা।