CCHF । উকুনজাতীয় পরজীবীর মাধ্যমে পড়শী দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ভয়াবহ ভাইরাস!এখনও পর্যন্ত এই রোগের নেই কোনও টিকা!
পড়শী দেশ পাকিস্তানে ছড়াচ্ছে ভয়াবহ ভাইরাস। উকুনজাতীয় একটি পরজীবী প্রাণীর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে ক্রিমিয়ান কঙ্গো হেমারেজিক ফিভার বা সিসিএইচএফ ভাইরাস (CCHF virus)। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর নাক থেকে অনর্গল রক্তপাতের কারণে ভাইরাস ঘটিত এই রোগটিকে ‘নোজব্লিড ফিভার’ বা নাক থেকে রক্ত পড়া জ্বরও বলে। এটি কোনোভাবেই যাতে মহামারীর আকার ধারণ না করতে পারে তার জন্য ইতিমধ্যে সর্বস্তরে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। এমনকি এই অবস্থায় একাধিক চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন কেন্দ্রের সীমান্ত এলাকায় প্রহরা বাড়ানোর জন্য।
পড়শী দেশ পাকিস্তানে ছড়াচ্ছে ভয়াবহ ভাইরাস। জানা গিয়েছে, উকুনজাতীয় একটি পরজীবী প্রাণীর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে ক্রিমিয়ান কঙ্গো হেমারেজিক ফিভার (Crimean-Congo Haemorrhagic Fever) বা সিসিএইচএফ ভাইরাস (CCHF virus)। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর নাক থেকে অনর্গল রক্তপাতের কারণে ভাইরাস ঘটিত এই রোগটিকে ‘নোজব্লিড ফিভার’ বা নাক থেকে রক্ত পড়া জ্বরও বলে ডাকা হয়। এটি কোনোভাবেই যাতে মহামারীর আকার ধারণ না করতে পারে তার জন্য ইতিমধ্যে সর্বস্তরে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। এমনকি এই অবস্থায় একাধিক চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন কেন্দ্রের সীমান্ত এলাকায় প্রহরা বাড়ানোর জন্য।
সিসিএইচএফ ভাইরাস কী?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর তথ্য অনুযায়ী, এই রোগ সংক্রমণের দ্বিতীয় সপ্তাহে রোগীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় আশঙ্কা বেড়ে যায় অনেকটাই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগে রোগীমৃত্যুর হার প্রায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি। তবে এখনও পর্যন্ত এই রোগের কোনও টিকা নেই। প্রাথমিক অবস্থায় রোগটিকে চিকিৎসার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে রোগটিকে সামাল দেওয়া দুঃসাধ্য়।আপাতত জেনারেল সাপোর্টিভ কেয়ারের মাধ্যমেই এই ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসা করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথায়, রাইবাভিন নামের অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগও ব্যবহার করা হয় চিকিৎসায়। তবে চিকিৎসার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ বেশি জরুরি বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-র বিশেষ তালিকায় যে যে রোগগুলি রয়েছে, তার মধ্যে এই রোগটিও রয়েছে। মূলত গবাদি পশু বা পোষ্যের ত্বকে থাকা উকুনজাতীয় পরজীবী বা এঁটুলির শরীরে বাসা বাঁধে এই সিসিএইচএফ ভাইরাস (CCHF virus)। এই ধরনের পোকাগুলির কামড় থেকে রক্তের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। পোকার কামড় থেকে বা গবাদি পশুর শ্লেষ্মার সংস্পর্শে এলে মানুষের মধ্যেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
সিসিএইচএফ ভাইরাসের উপসর্গ :
মূলত ডেঙ্গু রোগের সঙ্গে এই রোগের উপসর্গের বেশ মিল রয়েছে। যেমন-
- প্রচণ্ড জ্বর
- গায়ে ব্যথা
- পেশিতে ব্যথা
- মাথা ঘোরা
- নাক থেকে রক্ত পড়া
- লাল টকটকে চোখ
- পিঠে ব্যথা
- পেট ব্যথা ও বমি
- অস্থিসন্ধির ব্যথা
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ইরাক ও পাকিস্তানে এই ভাইরাসের জেরে শতাধিক মৃত্যু হয়। তবে ২০২৪ সালে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এই রোগ। জানা গিয়েছে পাকিস্তানে ইতিমধ্যে ১৩ জনের আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে। যার ফলে এই অবস্থায় একাধিক চিকিৎসক সীমান্ত এলাকায় প্রহরা বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। তাদের মতে বর্ডার পারাপারের সময় প্রত্যেকের স্বাস্থ্যপরীক্ষা জরুরি। হু এবং চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগ যাতে কোনোভাবেই মহামারীর আকার ধারণ না করতে পারে সেই জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।