জীবন ও জীবনী

শতাব্দীর মহান নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার জীবন ও জীবনী | Biography of Nelson Mandela, the great leader of the century

শতাব্দীর মহান নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার জীবন ও জীবনী | Biography of Nelson Mandela, the great leader of the century
Key Highlights

নেলসন রোলিহ্লাহ্লা ম্যান্ডেলা ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ-বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী, রাজনৈতিক নেতা এবং প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।

প্রাথমিক পরিচয়  | Initial identity of Nelson Mandela

নেলসন রোলিহলাহলা ম্যান্ডেলা ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার একজন বর্ণবাদ বিরোধী বিপ্লবী এবং রাজনৈতিক নেতা। তিনি ১৯১৮ সালের ১৮ই জুলাই উমতাতার এমভেজো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যা তখন দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ প্রদেশের অংশ ছিল। ম্যান্ডেলাকে আধুনিক দক্ষিণ আফ্রিকার জনক বলা হয়।  অত্যাচারী সরকারকে ছিন্নভিন্ন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তিনি ভূমিকা রেখেছিলেন।  ম্যান্ডেলা ১৯৯৩ সালে বর্ণবাদী শাসনকে শান্তিপূর্ণভাবে ধ্বংস করার জন্য এবং গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন।

পরিবার পরিচিতি | Nelson Mandela’s family

ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার ইউনিয়নের এমভেজোতে থেম্বু রাজপরিবারের ছেলে ছিলেন। তার নাম রোলিহলাহলা দেওয়া হয়, যা একটি জোসা শব্দ এবং এর আক্ষরিক অর্থ "সমস্যা সৃষ্টিকারী"। পরবর্তী বছরগুলিতে তিনি তার গোষ্ঠীর নাম, মাদিবা দ্বারা পরিচিত হন। তার পিতৃপুরুষের প্রপিতামহ, এনগুবেংকুকা, দক্ষিণ আফ্রিকার আধুনিক পূর্বের ট্রান্সকিয়ান অঞ্চলের থেম্বু রাজ্যের শাসক ছিলেন। 

নেলসন ম্যান্ডেলার পিতা, গ্যাডলা হেনরি এমফাকানিস্ব ম্যান্ডেলা ছিলেন একজন স্থানীয় প্রধান এবং তৎকালীন শাসেকর পরামর্শদাতা। তিনি ১৯১৫ সালে এই পদে নিযুক্ত হন, যখন তার পূর্বসূরি সেকালের একজন শ্বেতাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হন। ১৯২৬ সালে, গ্যাডলাকেও দুর্নীতির জন্য বরখাস্ত করা হয়েছিল। ম্যান্ডেলার পিতা গ্যাডলার চার স্ত্রী, চার ছেলে এবং নয়টি কন্যা ছিল। তারা ভিন্ন ভিন্ন গ্রামে বাস করতেন। নেলসনের মা ছিলেন গ্যাডলার তৃতীয় স্ত্রী, তার নাম নোসেকেনি ফ্যানি, তিনি এনকেদামার মেয়ে এবং খোসার আমাম্পেমভু গোষ্ঠীর সদস্য। ম্যান্ডেলার বাবা-মা উভয়েই নিরক্ষর ছিলেন, কিন্তু তার মা একজন ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান হওয়ার কারণে পুত্র নেলসনকে স্থানীয় মেথডিস্ট স্কুলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন, তখন তাঁর বয়স ছিল প্রায় সাত বছর। ম্যান্ডেলার এক শিক্ষক দ্বারা তাঁর নতুন নাম "নেলসন" দেওয়া হয়। 

নেলসনের বয়স যখন প্রায় নয়, তখন তার বাবা কুনুতে থাকতে আসেন, যেখানে তিনি একটি অজ্ঞাত রোগে মারা যান । তিনি তাঁর পিতার "বিদ্রোহ" এবং "ন্যায্যতার একগুঁয়ে অনুভূতি" উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন বলে ম্যান্ডেলার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল।

শিক্ষা- দীক্ষা | Educational life of Nelson Mandela

ম্যান্ডেলা প্রতি রবিবার তার অভিভাবকদের সাথে গির্জায় যেতেন। একসময় খ্রিস্টধর্ম তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে। তিনি থেম্বু রিজেন্টদের "গ্রেট প্লেস" প্রাসাদের পাশে অবস্থিত একটি মেথডিস্ট মিশন স্কুলে পড়াশোনা করেন, যেখানে তিনি ইংরেজি, জোসা, ইতিহাস এবং ভূগোল অধ্যয়ন করেন।  প্রাসাদে আসা বয়স্ক দর্শনার্থীদের দ্বারা বলা গল্প শুনে নেলসন নিজের মনে আফ্রিকান ইতিহাসের প্রতি ভালবাসা গড়ে তুলেছিলেন এবং একজন পরিদর্শক প্রধানের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী বক্তব্য দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন।

পরবর্তী সময়ে ম্যান্ডেলা উইটওয়াটারসরান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। সেখানে তিনি ছিলেন একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান ছাত্র ফলে তাকে বর্ণবাদের সম্মুখীন হতে হয়। সেখানে, তিনি উদারপন্থী এবং কমিউনিস্ট ইউরোপীয়, ইহুদি এবং ভারতীয় ছাত্রদের সাথে বন্ধুত্ব করেন, তাদের নাম ছিল জো স্লোভো এবং রুথ ফার্স্ট যার প্রভাবে ধীরে ধীরে তিনি ক্রমবর্ধমানভাবে রাজনীতিক্ষেত্রে পা বাড়ান।

রাজনৈতিক কার্যকলাপ | Nelson Mandela's political activities

উইটওয়াটারসরান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অধ্যয়নকালীন সময় নেলসন ম্যান্ডেলা ঔপনিবেশিক বিরোধী এবং আফ্রিকান জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে জড়িত হন । ১৯৪৩ সালে আফ্রিকান জাতীয়তাবাদের "আফ্রিকানিস্ট" শাখায় যোগদান করেন। শ্বেতাঙ্গ সরকার বর্ণবৈষম্য প্রতিষ্ঠা করে, যা ছিল বর্ণগত বিচ্ছিন্নতামূলক একটি ব্যবস্থা যাতে শ্বেতাঙ্গরা সুযোগ-সুবিধা পায় । ম্যান্ডেলা এবং এএনসি তা উৎখাতের জন্য নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছিল। পরবর্তী সময় তিনি এএনসি-র ট্রান্সভাল শাখার সভাপতি নিযুক্ত হন ।

Do not judge me by my successes, judge me by how many times I fell down and got back up again.

Nelson Mandela

বেশ কিছু সময় কেটে যাওয়ার পর ১৯৫২ সালে ডিফিয়েন্স ক্যাম্পেইন এবং ১৯৫৫ সালের কংগ্রেস অফ দ্য পিপল-এ তাঁর সম্পৃক্ততার জন্য ম্যান্ডেলা বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। তবে তিনি বারবার রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যকলাপের জন্য গ্রেফতার হন । ১৯৫৬ সালের রাষ্ট্রদ্রোহিতা বিষয়ক একটি বিচারে ব্যর্থ হন তিনি । মার্কসবাদে প্রভাবিত হয়ে, তিনি গোপনে দক্ষিণ আফ্রিকান নিষিদ্ধ কমিউনিস্ট পার্টি তে যোগ দেন। যদিও নেলসন প্রাথমিকভাবে অহিংস প্রতিবাদে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন, কিন্তু ১৯৬১ সালে জঙ্গি সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হন এবং সরকারের বিরুদ্ধে "উমখন্ত উই সিজিউই" নামক জঙ্গী দলের একটি নাশকতামূলক প্রচারণার নেতৃত্ব দেন। ১৯৬২ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং কারাবদ্ধ করা হয় ।  

পরে আবার রাষ্ট্রকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রের জন্য ম্যান্ডেলাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। 

ম্যান্ডেলা 27 বছর জেলে ছিলেন। ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপ এবং জাতিগত গৃহযুদ্ধের আশঙ্কার কারণ হেতু, রাষ্ট্রপতি এফ. ডব্লিউ ডি ক্লার্ক তাকে ১৯৯০ সালে মুক্তি দেন।  পরবর্তী সময়ে ম্যান্ডেলা এবং ডি ক্লার্ক বর্ণবাদের অবসানের জন্য আলোচনার প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেন, যার ফলস্বরূপ ১৯৯৪ সালের বহুজাতিক সাধারণ নির্বাচনে ম্যান্ডেলা ANC-কে নেতৃত্ব দেন। সেখানে নেলসন বিজয়ী হন এবং রাষ্ট্রপতি পদে নিযুক্ত হন, যার মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ নিপাত চায় এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আদর্শগতভাবে নেলসন একজন আফ্রিকান জাতীয়তাবাদী এবং সমাজতান্ত্রিক, তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

নেলসনের রাষ্ট্রপতি পদে আসার পর একটি নতুন সংবিধান প্রবর্তিত হয়, যার সাহায্যে  তিনি দেশের জাতিগত গোষ্ঠীগুলির মধ্যে পুনর্মিলনের উপর জোর দেন এবং অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তের জন্য সত্য ও পুনর্মিলন কমিশন গঠন করেন। 

অর্থনৈতিকভাবে, নেলসন প্রশাসনের নিজস্ব সমাজতান্ত্রিক বিশ্বাস থাকা সত্ত্বেও তার পূর্বসূরিদের উদার কাঠামো বজায় রেখেছিল। এছাড়াও ভূমি সংস্কার, দারিদ্র্য মোকাবেলা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্প্রসারণকে উৎসাহিত করার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন ম্যান্ডেলা। তিনি ১৯৯৮ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের সেক্রেটারি-জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ম্যান্ডেলা ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ছিলেন দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপ্রধান এবং সম্পূর্ণরূপে নির্বাচিত প্রথম প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক প্রতিনিধি। তাঁর সরকার প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদের মোকাবেলার মাধ্যমে জাতিগত পুনর্মিলনকে উত্সাহিত করে বর্ণবাদের উত্তরাধিকারকে ধ্বংস করার দিকে মনোনিবেশ করেছিল। 

রাজনৈতিক জীবনের শেষ দিকে ম্যান্ডেলা একজন প্রবীণ রাষ্ট্রনায়ক হয়ে ওঠেন এবং দাতব্য নেলসন ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দারিদ্র্য এবং এইচআইভি/এইডস মোকাবেলায় মনোনিবেশ করেন।

পুরস্কার ও সম্মাননা | Awards & honours of Nelson Mandela

জীবৎকালেই কিংদন্তীতুল্য স্বনাম হয়ে গিয়েছিল নেলসন ম্যান্ডেলার। সারা বিশ্বে খ্যাতি ছিল তাঁর। জীবনকালের কৃত কর্মের ফলস্বরূপ পেয়েছিলেন বেশ কিছু পুরস্কার এবং উপাধি।

    • ভারতরত্ন ( ১৯৯০ সালে)

    • নোবেল শান্তি পুরস্কার (১৯৯৩ সালে)

    • ডিলিট উপাধি ( কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা সম্বর্ধনা)]

মৃত্যু | Death of Nelson Mandela

বিশ্বখ্যাত নেলসন ম্যান্ডেলা শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগেছিলেন। কারাবদ্ধ থাকাকালীন যক্ষ্মা রোগে বেশ কিছু বছর কষ্ট পান, ফলে ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা লেগেই থাকত তাঁর। ২০১৩ সালে জুন মাসে তিনি ফুসফুস জনিত সমস্যার কারণে দীর্ঘ সময় যাবৎ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন । সেপ্টেম্বরের দিকে একটু সুস্থ হয়ে উঠার তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

এর কয়েক সপ্তাহ পরে, ২০১৩ সালের ৫ই ডিসম্বর  নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিনবদন্তি নেতা। 

উপসংহার | Conclusion

ম্যান্ডেলা ছিলেন একজন বহুচর্চ্চিত এবং বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব । যদিও সমালোচকরা তাকে একজন কমিউনিস্ট সন্ত্রাসবাদী হিসেবে নিন্দা করেছিলেন এবং কট্টর বামপন্থীরা মনে করতেন যে তিনি বর্ণবাদের সমর্থকদের সাথে আলোচনা এবং পুনর্মিলনের বিষয়ে খুব আগ্রহী ছিলেন, তিনি তার সক্রিয়তার জন্য আন্তর্জাতিক প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের আইকন হিসাবে বিবেচিত, তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার সহ ২৫০ টিরও বেশি সম্মান পেয়েছেন। এই অনমনীয় ব্যক্তিত্বকে সমগ্র দক্ষিণ আফ্রিকায় গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়, এবং তাঁকে "জাতির পিতা" হিসাবেও মান্য করা হয়।

প্রশ্নোত্তর - Frequently Asked Questions

নেলসন ম্যান্ডেলা কে ছিলেন ?

নেলসন ম্যান্ডেলা ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ-বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী, রাজনৈতিক নেতা এবং প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি।

নেলসন ম্যান্ডেলার জন্ম কবে হয় ?

নেলসন ম্যান্ডেলার জন্ম হয় ১৮ জুলাই ১৯১৮ সালে ।

নেলসন ম্যান্ডেলা কবে ভারত রত্ন পান ?

নেলসন ম্যান্ডেলা ১৯৯০ সালে ভারত রত্ন পান ।

নেলসন ম্যান্ডেলা কত সালে অবসর নেন ?

নেলসন ম্যান্ডেলা ২০০৪ সালে অবসর নেন ।

নেলসন ম্যান্ডেলা কবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান ?

নেলসন ম্যান্ডেলা ১৯৯৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান ।


West Bengal Weather | তীব্র দাবদাহ থেকে অবশেষে স্বস্তি! আগামী সপ্তাহে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস!
Detox Water | তীব্র তাপদাহে বাড়ির বানানো ডিটক্স ওয়াটার খেয়ে চাঙ্গা করুন শরীর! কমবে ওজনও!
Short Trip in West Bengal | পকেটে কম চাপ দিয়ে কমদিনেই ঘুরে আসতে পারেন এইসব জায়গায়! পাহাড় থেকে সমুদ্র, সেরা অফবিট ডেস্টিনেশনের খোঁজ থাকলো এখানে!
Acharya Prafulla Chandra Ray | বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়! জানুন তাঁর সম্পর্কে নানান তথ্য!
১০০ টি প্রয়োজনীয় ফ্যাক্ট| 100 interesting life hack in Bengali
পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের নাম ও ছবি | 7 wonders of the world in Bengali | পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য
২১ টি সেরা যোগাসন এবং তাদের উপকারিতা সঙ্গে ছবি ও ভিডিও | Best Yoga Poses With Photo & Videos in Bangla