স্বাধীনতার মুক্তিযোদ্ধা মহারানা প্রতাপ | Biography of Maharana Pratap, a king of Mewar
মহারাণা প্রতাপ বা প্রতাপ সিং মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা। মেবার উত্তর পশ্চিম ভারতের একটি প্রদেশ, বর্তমানে এই প্রদেশ রাজস্থান রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। তিনি ছিলেন রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক।
ভূমিকা | Introduction to Maharana Pratap
মহারানা প্রতাপ ছিলেন মেওয়ারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা। মেওয়ার ছিল উত্তর পশ্চিম ভারতের অন্যতম একটি প্রদেশ ,বর্তমানে যেটি রাজস্থান রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। মহারাণা প্রতাপ ছিলেন রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। চিতোর দূর্গের রাজ বংশের রাজারা ছিলেন বীর ও প্রজা দরদি শাসক যাঁরা প্রাণ হাতে নিয়ে যুদ্ধ করতো , রাজ্যকে মাতৃভূমি মনে করে মায়ের মর্যাদা দিতো এবং এই মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য শরীরের শেষ রক্ত বিন্দুটি দিয়ে লড়াই করতো ।এই রাজাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। তিনি "মেওয়ারি রানা" র উপাধি লাভ করেছিলেন এবং মুঘল সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে সামরিক প্রতিরোধের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন।মহারাণা প্রতাপ সম্পদ অপেক্ষা শ্রদ্ধার প্রতি বেশি যত্নবান ছিলেন।
এই পৃথিবীতে সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।” সম্পদ শেষ হয়ে যাবে তবে একজন মহান ব্যক্তির গুণাবলী সর্বদা জীবিত থাকবে। তিনি হলেন মহারানা প্রতাপ।
জন্ম ও প্রথম জীবন | Birth & Early life of Maharana Pratap
মহারাণা প্রতাপ ১৫৪০ সালের ৯ ই মে,একটি হিন্দু রাজপুত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি দ্বিতীয় উদয় সিং এবং জয়ওয়ন্ত বাই এর পুত্র ছিলেন। তাঁর ছোট ভাইরা ছিলেন শক্তি সিং, বিক্রম সিং এবং জগমল সিংহ; এছাড়া ও প্রতাপেরও দু'জন সৎ ভাই ছিল: চাঁদ কানওয়ার এবং মন কানওয়ার।
বিবাহ ও পারিবারিক জীবন | Family & Married life of Maharana Pratap
রাজকীয় গুণাবলি কোনো অংশে কম ছিল না মহারাণা প্রতাপের। ঘোড়সওয়ারী, অস্ত্রচালনা ও যুদ্ধনীতিতে পারদর্শী ছিলেন কারণ জীবনের একদম গোড়া থেকেই এসব বিষয়ে শিক্ষাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন প্রতাপ। একই সাথে উদারতা ও নির্ভয়তার এক অনন্য সন্নিবেশ ঘটেছিল তাঁর মধ্যে। রাজ্য সভাসদগণ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবাই তাঁর গুণগ্রাহী ছিল। ১৭ বছর বয়সে প্রতাপ বিয়ে করেন বিজোলিয়ার সামন্ত বংশীয় আজাদবে পানওয়ারকে। মহারানী আজাদবের পাশাপাশি তাঁর আরও দশজন রানী ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে ১৭ পুত্র ও ৫ কন্যার পিতা ছিলেন প্রতাপ সিং। রাণা প্রতাপ ছিলেন মেওয়ারের রাজপরিবারে অন্তর্ভুক্ত। ১৫৭২ সালে উদয় সিংহের মৃত্যুর পরে, রানী ধীর বাই তাঁর পুত্র জগমলকে তাঁর উত্তরসূরী করতে চেয়েছিলেন। তবে রাজ্যের প্রবীণ দরবারীরা উদয় সিংয়ের বড় ছেলে হিসাবে রানা প্রতাপ কেই পছন্দ করেছিলেন। এবং তাই উদয় সিংয়ের মৃত্যুর পর রাজকুমার প্রতাপ সিসোদিয়া রাজপুতদের বংশের রীতি মেনে এবং মেওয়ারের ৫৪ তম শাসক রূপে মহারাণা প্রতাপ হিসাবে সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন। অসন্তুষ্ট জগমাল এই ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ নেন ও আকবরের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে আজমিরের উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং তাঁর সাহায্যের বিনিময়ে উপহার হিসাবে জাহাজপুর শহরকে জাগির হিসাবে অর্জন করেছিলেন।
আকবরের সাথে শত্রুতার সূত্রপাত | Maharana Pratap's feud with Akbar started
সম্রাট আকবর ১৫৬৭ সালে ৬০,০০০ সৈন্যের একটি বাহিনী নিয়ে চিতোরের দুর্গ অবরোধ করতে অগ্রসর হন । রাণা প্রতাপের পুরো পরিবার তাঁদের নগর ত্যাগ করে গোগুন্ডার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ৫৯০ ফুট উঁচু পাহাড়ের উপর অবস্থিত ছিল এই বিশেষ দুর্গটি যার দেয়ালগুলো ছিল অনেক প্রশস্ত। পূর্বে বহু বিদেশী আক্রমণকারী এই দুর্গ দখল করার চেষ্টা করে তবে ব্যর্থ হয়। অবশেষে আকবরের হাতেই এই দুর্গটির পতন ঘটেছিল । এই দুর্গে পরপর তিনবার 'জওহর' সংঘটিত হয়েছিল যেখানে শত্রু সেনাদের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাবার উদ্দেশ্য নিয়ে এক বিশাল সংখ্যক নারী একত্রিত হয়ে আগুনে ঝাঁপ দেয় এবং তাঁরা সর্বশেষ পথ হিসেবে আত্মহননের দ্বারা স্বেচ্ছা মৃত্যুবরণ করেন । চিতোর দুর্গে প্রথম জওহর সংঘটিত হয়েছিল রানী পদ্মাবতীর সময়ে, দ্বিতীয়বার রানী কর্নাবতীর সময়, আর তৃতীয়বার প্রতাপ সিং এর আমলে চিতোরের পতনের সময়।
সেই সময় ৬০,০০০ মোঘল সৈন্যের বিপরীত দুর্গে ছিল মাত্র কয়েক হাজার রাজপুত সেনা, যারা আপ্রাণ যুদ্ধ করেও দুর্গটি বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছিল। নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে ৫,০০০ নারী আগুনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথটি বেছে নিয়েছিল আর সেই মর্মান্তিক দৃশ্য নিজের চোখে দেখে ২৭ বছরের যুবক প্রতাপ সিং তীব্রভাবে মর্মাহত হয়েছিলেন। সম্রাট আকবরের সাথে তাঁর পিতা উদয় সিং এর চলমান বহুদিনের শত্রুতা এই ঘটনাটির পর থেকেই মহারাণা প্রতাপের নিজেরও শত্রুতায় পরিণত হয়েছিল। আর সেই সময় থেকেই নিজের দেশকে মোঘল আগ্রাসন থেকে মুক্ত করা তার একমাত্র লক্ষ্য ও পণ হয়ে দাঁড়ায়।
সামরিক কর্মকাণ্ড | Military activities of Maharana Pratap
মহারাণা প্রতাপের সময়কালে দিল্লিতে মুঘল শাসক আকবরের রাজত্ব ছিল। আকবরের রাজত্বকালে রাজপুত রাজাদের মধ্যে একমাত্র মহারাণা প্রতাপ ছিলেন যিনি মুঘল সম্রাটের দাসত্ব কখনও মেনে নেননি আর সেই কারণেই আমেরের মানসিংহের সাথে রানা প্রতাপের বিচ্ছেদ ঘটে। এর ফলস্বরূপ মানসিংহের প্ররোচনাতে আকবর নিজেই মানসিংহ এবং সেলিমের (জাহাঙ্গীর) সভাপতিত্বে মেওয়ারকে আক্রমণ করার জন্য একটি বিশাল সেনা বাহিনী প্রেরণ করেন। ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুন, আকবর ,মহারাণা প্রতাপের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অপরদিকে রাজা মানসিংহ এবং আমের আসফ খানের নেতৃত্বে মোগল সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করার জন্য প্রেরণ করা হয়। গোগুড়ার নিকটে আরবল্লি পাহাড়ের হলদিঘাটি শাখার মধ্যে এই দুই বাহিনীর তুমুল লড়াই হয়েছিল।মোগল সেনাবাহিনীর ছিল ২ লক্ষ সৈন্য যেখানে রাজপুতদের ছিল মাত্র ২২ হাজার। হলদিঘাটের এই বিখ্যাত যুদ্ধে মহারাণা, গেরিলা যুদ্ধের কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এই মহা সমর ।মহারাণা এই যুদ্ধে আহত হন ।পরাজিত হলেও আকবরের বশ্যতা তিনি স্বীকার করে নেননি । রানা প্রতাপ পাহাড়ে ফিরে যেতে সক্ষম হন এবং আরও একটি দুর্বার লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেবার জন্য নিজেকে তৈরি করতে থাকেন ।
নৈতিক দিক দিয়ে এই যুদ্ধে আকবর বা রাণা উভয়ের মধ্যে কেউই পরাজিত হননি। মোঘলদের কাছে সৈন্য শক্তি অধিক ছিল এবং রানা প্রতাপের যুদ্ধ কৌশমূলক শক্তির অভাব ছিল না। প্রতাপ শেষ সময় অবধি আকবরের সাথে চুক্তি স্বীকার করেন নি এবং সম্মানের সাথে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন । হালদিঘাটির যুদ্ধ মুঘলদের জন্য একপ্রকার নিরর্থক বিজয় ছিল, কারণ তারা উদয়পুরে রাণা প্রতাপ সিং বা তার নিকটতম পরিবারের কোনও সদস্যকে হত্যা করতে বা ধরতে সক্ষম হতে পারিনি ।
রাণা প্রতাপের পরাক্রমে মেবারের পুনর্বিজয় | Re-conquest of Mewar by the power of Maharana Pratap
হলদিঘাটির যুদ্ধের পর অক্টোবর ১৫৮২ সালে সংঘটিত হয় দিবের ( Battle of Dewair) যুদ্ধের। বিজয়া দশমীর দিন আরম্ভ হয় এই ভীষণ যুদ্ধের । মা দুর্গার আশীর্বাদ নিয়ে ও মা ভবানীকে স্মরণ করে শুরু হয় মুঘল বিনাশের মহাপর্ব। মহারাণা প্রতাপের ছেলে অমর সিং মুঘল সেনাপতির উপর এক মারাত্মক শক্তি প্রয়োগ করেন যার ফলে ঘোড়াসহ সেনাপতির বুক চিরে যায় এবং তাঁর শরীর মাটিতে গেঁথে যায়। অন্যদিকে মুঘলদের নেতৃত্বকারী বেহলল খানকে ঘোড়া সমেত দু-টুকরো করে ছিন্নভিন্ন করে দেন মহারাণা প্রতাপ।
মহারাণা প্রতাপের সাহসীতার যতটা প্রশংসা করা হয় ততটাই প্রশংসার যোগ্য তাঁর সাহসী ঘোড়া 'চেতক' ও। শোনা গেছে যে চেতক বেশ কয়েক ফুট উঁচু একটি হাতির মাথা অব্দি লাফাতে সক্ষম ছিল ।
অবশেষে ১৫৮২ সালে, মেওয়ারের এই যুদ্ধে মহারাণা প্রতাপের সেনাবাহিনী মোগল দের পরাজিত করতে সক্ষম হয় যার পর রাণা প্রতাপ চিতোর ছাড়া মেওয়ারের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর পুনরায় দখল করতে সক্ষম হন । সম্রাট আকবর, মহারাণা প্রতাপকে পরাস্ত করার জন্য সমস্ত রণকৌশল ই অবলম্বন করেছিলেন, কিন্তু মহারাণা প্রতাপ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে গিয়েছিলেন।
যুদ্ধ পরবর্তী সময় | The post-war period
হলদিঘাটের যুদ্ধের পরবর্তীকালে আকবর আরও বহুবার মেবার দখল নেবার চেষ্টা করেন তবে প্রতিবারই তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন আর অন্যদিকে সেই সময়ে রাণা প্রতাপও চিতোর পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু মোঘল বাহিনীর লাগাতার প্রহারে রাজপুত বাহিনী এক সময় দুর্বল হয়ে পড়ে আর তার সাথে সেনা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থেরও অভাব দেখা দেয়। এমন দুরবস্থায় ভামা শাহ এগিয়ে আসেন এবং রানা প্রতাপকে বিশাল পরিমাণ অর্থ দান করে সাহায্য করে থাকেন । সেই অর্থ সাহায্যই ১২ বছর ধরে মেবারের ২৫,০০০ সৈন্য বাহিনীকে চালিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল।
মহারাণা প্রতাপের মৃত্যু | Death of Maharana Pratap
মহারানা প্রতাপ ১৫৯৭ সালে এক শিকার অভিযানের সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন এবং যার ফলে তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন এবং এই দুর্ঘটনাই মহারাণস প্রতাপের মৃত্যুর কারণ হয়েছিল। ২৯ জানুয়ারী, ১৫৯৭ সালে মেবারের এই পরাক্রমশালী যোদ্ধা ও ভারতবর্ষের স্বাধীনতার অন্যতম কাণ্ডারি পরলোকগমন করেন।
বীর যোদ্ধা মহারাণা প্রতাপ | Maharana Pratap, the heroic warrior
মহারাণা প্রতাপ ৭ ফুট ৫ ইঞ্চি লম্বা ছিলেন। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় প্রায় ১১০ কেজির কবচ পরতেন। তিনি ২৫-২৫ কেজির ২টি তলোয়ারের কে সঙ্গী করে যে কোনও শত্রুর বিরুদ্ধে অনায়াসে যুক্ত করতে পারদর্শী ছিলে। বর্তমানে তাঁর কবচ ও তরোয়ালগুলি রাজস্থানের উদয়পুরের একটি যাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। মহারাণা ছিলেন ভারতের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা কারণ তিনি কোনো পরিস্থিতিতেই আকবরের কাছে আত্মসমর্পণ করেননি । তিনি ছিলেন অকুতোভয় এক রাজপুত যিনি প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে থেকেও আকবরের মতো পরাক্রমশালী সম্রাটের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করার সাহসিকতা দেখিয়েছিলেন।
পরিশিষ্ট | Conclusion
সৌর্যে এবং বীরত্বের এক মূর্ত প্রতীক ছিলেন রাজপুত রাজা মহারাণা প্রতাপ।যাকে দেখে ভয়ে সামাজ্রবাদী মুঘলরাও ভয়ে কাঁপত, যিনি আমৃত্যু শত্রুর বশ্যতা স্বীকার করেননি, স্বাধীনতার জন্যেই যিনি বেঁচেছেন, লড়াই করে গেছেন এবং স্বাধীনতার স্বপ্ন দু’চোখে নিয়েই যিনি নিজের জীবনকাল পূর্ণ করে পৃথিবী ছেড়েছেন; সেই বীর হিন্দু রাজা মহারানা প্রতাপ ভারতের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম ।
মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন প্রেরণার উৎস হয়ে মেয়রের মহানায়ক মহারানা প্রতাপ চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন।
প্রশ্নোত্তর - Frequently Asked Questions
মহারাণা প্রতাপ কে ছিলেন ?
মহারাণা প্রতাপ ছিলেন মেওয়ারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা।
মহারাণা প্রতাপের প্রাপ্ত উপাধিটির নাম কী ?
"মেওয়ারি রানা"
মহারাণা প্রতাপ কবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ?
মহারাণা প্রতাপ ১৫৪০ সালের ৯ ই মে,একটি হিন্দু রাজপুত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
মহারাণা প্রতাপের ঘোড়ার নাম কী ছিল ?
চেতক
মহারাণা প্রতাপের মৃত্যু কী ভাবে ও কবে হয়েছিল?
মহারানা প্রতাপ ১৫৯৭ সালে এক শিকার অভিযানের সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন এবং যার ফলে তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন এবং এই দুর্ঘটনাই মহারানা প্রতাপের মৃত্যুর কারণ হয়েছিল। ২৯ জানুয়ারী, ১৫৯৭ সালে মেবারের এই পরাক্রমশালী যোদ্ধা ও ভারতবর্ষের স্বাধীনতার অন্যতম কাণ্ডারি পরলোকগমন করেন।
- Related topics -
- জীবন ও জীবনী
- জীবনী সাহিত্য
- মহারানা প্রতাপ
- ইতিহাস
Contents ( Show )
- ভূমিকা | Introduction to Maharana Pratap
- জন্ম ও প্রথম জীবন | Birth & Early life of Maharana Pratap
- বিবাহ ও পারিবারিক জীবন | Family & Married life of Maharana Pratap
- আকবরের সাথে শত্রুতার সূত্রপাত | Maharana Pratap's feud with Akbar started
- সামরিক কর্মকাণ্ড | Military activities of Maharana Pratap
- রাণা প্রতাপের পরাক্রমে মেবারের পুনর্বিজয় | Re-conquest of Mewar by the power of Maharana Pratap
- যুদ্ধ পরবর্তী সময় | The post-war period
- মহারাণা প্রতাপের মৃত্যু | Death of Maharana Pratap
- বীর যোদ্ধা মহারাণা প্রতাপ | Maharana Pratap, the heroic warrior
- পরিশিষ্ট | Conclusion
- প্রশ্নোত্তর ( Frequently Asked Questions )
- পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File