শহর কলকাতা

Best Restaurants in Kolkata | নতুন বছরের শুরু হোক পেটপুজো দিয়ে! রইলো কলকাতার সেরা কিছু রেস্তোরাঁর খোঁজ!

Best Restaurants in Kolkata | নতুন বছরের শুরু হোক পেটপুজো দিয়ে! রইলো কলকাতার সেরা কিছু রেস্তোরাঁর খোঁজ!
Key Highlights

কলকাতার অলিতে গলিতে রেস্তোরাঁ থাকলেও নিউ ইয়ার সেলিব্রেশন চাই সেরা রেস্তোরাঁতেই। দেখুন নতুন বছরের পেটপুজোর জন্য সেরা হবে কোন রেস্তোরাঁ বা পাব।

উৎসবের মরশুমে, আনন্দের সঙ্গে হাসি মুখে হইহুল্লোড় করতে করতে চলতি বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুনের অর্থাৎ নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সেজে উঠেছে তিলোত্তমা। উৎসব মানেই খাওয়া দাওয়া মাস্ট। ফলে বছর শেষে রেস্তোরাঁয় বাড়তে থাকে ভিড়। তবে বর্তমানে শহরের অলিতে গলিতে নানান রেস্তোরাঁর খোঁজ মেলে। ফলে এই সময়ে নিউ ইয়ার সেলিব্রেশনের জন্য কোন রেস্তোরাঁয় খেতে যাবেন অনেকেই ভেবে উঠতে পারেন না। চিন্তা নেই, আপনার জন্য রইলো কলকাতার সেরা রেস্তোরাঁ (Best Restaurants in Kolkata) এর খোঁজ, যেখানে সুস্বাদু খাবার তো পাবেনই সঙ্গে রেস্তোরাঁর বিশেষ আকর্ষণে আরও লাজবাব হয়ে উঠবে দিন।

ওয়ান সিপ গ্যাস্ট্রোপাব | One Sip Gastropub :

অনেকেই নিউ ইয়ার পাবে সেলিব্রেট করতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে সেরা সন্ধান হবে  রাজারহাট-নিউ টাউনের ওয়ান সিপ গ্যাস্ট্রোপাব। ২০ই ডিসেম্বর থেকে ৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত সেখানে চলছে ‘বিয়ার অ্যান্ড বার্ডি ফেস্টিভ্যাল’। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার আদর্শ স্থান এই পাব। সঙ্গে খানাপিনা তো আছেই। রোস্ট চিকেন উইংগ্‌স উইথ রেড ওয়াইন সস্, স্লাইস্‌ড গ্রিল্‌ড চিকেন উইথ ডিল সস্‌, চিকেন মিটবল, কোরিয়ান ফ্রায়েড চিকেনের মতো এখানে পেয়ে যাবেন নানান সুস্বাদু খাবার। 

ট্রিঙ্কাজ় | Trincas :

কলকাতার বিখ্যাত রেস্তোরাঁ (Famous Restaurants in Kolkata) এর মধ্যে অন্যতম হলো ট্রিঙ্কাজ়। পার্ক স্ট্রিটের অন্যতম আকর্ষণও বলা যেতে পারে এই কলকাতার সেরা রেস্তোরাঁ (Best Restaurants in Kolkata) কে। শুধু বড়দিন বা নতুন বছর নয়, ডিসেম্বরের যে কোনও দিন কিংবা সপ্তাহান্তে পার্ক স্ট্রিটের দিকে গেলেই ঢুঁ মারতে পারেন ট্রিঙ্কাজ়ে। কুইন্‌স পুডিং, বিভিন্ন ধরনের কেক, লেমন পাই, বানোফে পাই ছাড়াও মিষ্টি পদের হরেক সম্ভার রয়েছে এখানে। পাশাপাশি এখানের আমেজ নিয়ে আলাদা করে আর কিছু বলার নেই।

 দ্য ওয়েস্ট ইন | The West Inn :

ভারতীয় খাবারের সঙ্গে ভারতীয় শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছে দ্য ওয়েস্ট ইন কলকাতার বেদিক। ‘লাইভ’ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সঙ্গে মাখমফলম, জপপুষ্প, শকরকান্দি, পুরানপোলি, গাল বেদিক, ব্ল্যাক খিচড়ি, গাজর কা হালুয়া, গুলকন্দের মতো খাবারের স্বাদ চেখে দেখতেই পারেন। এখানে এক জনের জন্য খরচ পড়বে ১৭০০ টাকা।

 ফেয়ারফিল্ড বাই ম্যারিয়ট | Fairfield by Marriott :

কলকাতার বিখ্যাত রেস্তোরাঁ (Famous Restaurants in Kolkata) তালিকার মধ্যে ওপরের দিকেই রয়েছে ম্যারিয়টের রেস্তোরাঁ। ম্যারিয়ট মানেই সেরার সেরা। তার ওপর নিউ ইয়ারে আরও চমক বাড়িয়েছে তারা। পরিবার হোক কিংবা বন্ধুবান্ধব , সব বয়সের মানুষের কথা ভেবে ফেয়ারফিল্ড তাঁদের বিভিন্ন রেস্তরাঁয় খরচ অনুযায়ী বিভিন্ন রকম খাবার, অনুষ্ঠানের পসরা সাজিয়েছে। ১৫০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নানা রকম প্যাকেজ আছে। ২৪, ২৫ এবং ৩১ ডিসেম্বর— যে কোনও দিন যেতে পারেন।

পিটার ক্যাট | Peter Cat : 

পার্ক স্ট্রিটের আরেক আকর্ষণীয় রেস্তোরাঁ পিটার ক্যাট। ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই রেস্তোরাঁ। এই রেস্তোরাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য খাবার হলো চেলো কাবাব। এই চেলো কাবাবের জন্য ষাট, সত্তরের দশকে এখানে প্রচুর ভিড় হত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ভিড় কিন্তু কমেনি বরং বেড়েছে। বিশ্বের সেরা রেস্তোঁরার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত পিটার ক্যাট। নিউ ইয়ার এখানে অনায়াসেই সেলিব্রেট করতে পারেন।

অযোরা | Ozora :

 নিউ ইয়ার যদি কলকাতার রুফটপ রেস্তোরাঁ (Rooftop Restaurants in Kolkata) তে সেলিব্রেট করতে চান তাহলে বেছে নিতে পারেন অযোরা। আক্রপলিস মলের (Acropolis mall) ২০ তলায় অযোরা (Ozora) রুফটপ রেস্তোরার ঠিকানা। নিরিবিলি এলাকায় থাকা এই রেস্তোরা বিশেষত খ্যাত যুবক যুবতীদের মধ্যে। সুন্দর বসার জায়গা ও খাবারের সঙ্গে রয়েছে পুলও। 

কোবো ক্যালকাটা | Cobo Calcutta: 

পার্ক স্ট্রিটের অরিস হোটেলের রুফটপে রয়েছে এই বার কাম নতুন রেস্তোরাঁ। ৬০০০ স্কোয়ার ফুটের এই রেস্তোরাঁ মোট তিনটি সেকশনে ভাগ করা। গ্লাসহাউস, সেমি আউটডোর এবং ওপেন এয়ার। প্রত্যেকটা একে অপরের থেকে আলাদা ভাবে সাজানো। গ্লাসহাউস এবং সেমি আউটডোর এরিয়া একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। বছর শেষে একটা সুন্দর সন্ধ্যা কাটানোর জন্য বেছে নিতেই পারেন এই রুফটপ রেস্তোরাঁ। সুশি থেকে শুরু করে থাই ফুড, নর্থ ইন্ডিয়ান ক্যুইজিন সবই পাবেন এখানে। সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন রকমের মকটেল এবং ককটেলও।

ক্লাব ফেনিসিয়া | Club Fenicia :

 কলকাতার রুফটপ রেস্তোরাঁ (Rooftop Restaurants in Kolkata) এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ক্লাব ফেনিশিয়া। এই রেস্তোরায় আপনি পেতে পারেন আপনার নিজস্ব আলাদা কাবানা অর্থাৎ ঘরের মতো ছোট্ট জায়গা। এই কাবানা পুরোটাই বানানো কাঁচ দিয়ে যার ফলে আপনি ভেতরে বসেও বাইরের আমেজ উপভোগ করতে পারবেন। সুস্বাদু খাবারের সঙ্গে রয়েছে ককটেল ও মকটেলের নানা রকমের চয়েজ।

৬ বালিগঞ্জ প্লেস | 6 Ballygunge Place : 

২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই রেস্তোরাটি নিজেকে কলকাতার সেরা বাংলা রেস্টুরেন্ট (Best Bengali Restaurants in Kolkata) হিসেবে প্রমাণিত করেছে। এই রেস্তোরার মূল উদ্দেশ্য হল খাঁটি বাঙালি খাবারের বিশেষত্ব খাদ্যরসিক বাঙালির কাছে তুলে ধরা। এই রেস্তোরার ভেতরের সাজসজ্জা খুবই সুন্দর। যারা নতুন বছরটা বাঙালি খাবার খেয়ে শুরু করতে চান তাদের জন্য সেরা ঠিকানা এই রেস্তোরাঁ। এখানে আবার সমস্ত রকমের বাঙ্গালি খাবারের সাথে সাথে ঠাকুরবাড়ির কিছু বিশেষ রান্নাও চেখে দেখার সুযোগ পাবেন।

ভজহরি মান্না | Bhojohori Manna : 

এই রেস্তোরার নাম শুনলেই মনে পড়ে যায় প্রখ্যাত গায়ক মান্না দের সেই গান ‘আমি শ্রী শ্রী ভজহরি মান্না’। এই রেস্তরাটিও কলকাতার সেরা বাংলা রেস্টুরেন্ট (Best Bengali Restaurants in Kolkata) হিসেবে বেশ সুখ্যাত। বর্তমানে কলকাতায় এই রেস্তোরার অনেকগুলি শাখা রয়েছে। হিন্দুস্থান রোড, গড়িয়াহাট , হাজরা, সল্ট লেক সেক্টর ১, কসবা-রুবি এবং স্প্লানেডে পেয়ে যাবেন এই রেস্তোরাঁর আউটলেট। এখানে গেলে খেয়ে দেখতে পারেন নারকেলের শাঁস , দুধ ও সর্ষে দিয়ে করা ডাব চিংড়ি এবং কষা মাংস।

কস্তুরী | Kasturi :

১৯৯৪ সালে গড়ে ওঠে এই রেস্তোরাঁটি। কলকাতার বুকে সর্বপ্রথম এই রেস্তোরার মাধ্যমেই ঢাকাই বাংলাদেশী খাবারের রন্ধন প্রণালীর প্রচলন ঘটে। এই রেস্তোরারও কলকাতায় অনেকগুলি শাখা রয়েছে। নিউ মার্কেট, যাদবপুর, বালিগঞ্জ এবং নাগেরবাজারেও এর শাখা রয়েছে। এই রেস্তোরাঁয় গেলে খেতে পারেন কচু পাতায় মোড়ানো ভাঁপা চিংড়ি।

গোটা বছর অনেকেই ডায়েট বা অন্যান্য কারণে খুব একটা রেস্তোরাঁয় গিয়ে খান না। তবে বছরের শেষে আনন্দে - পেটপুজো না হলে যেন নতুন বছরের শুরুটা জমজমাট হয়না। অনেকেই এই সময়ে বাড়িতে পিকনিক করে থাকেন। আবার অনেকেই যান রেস্তোরাঁ - পাবে। এই সময়ে বহু রেস্তোরাঁ পাব নানান অফার দিয়ে থাকে। আয়োজন করা হয় নিউ ইয়ার স্পেশ্যাল আইটেম বা অনুষ্ঠান। তবে যে রেস্তোরাঁ বা পাবেই নিউ ইয়ার সেলিব্রেট করতে যাবেন ভাবছেন সেখানে আগের থেকে বুক করে যাওয়া শ্রেয়। কারণ এই সময় রেস্তোরাঁ বেশ ভিড় থাকে।