দেশ

দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা আবারও বৃদ্ধি পেল, দূষণের জেরে উদ্বেগজনক একাধিক শহরের পরিস্থিতি

দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা আবারও বৃদ্ধি পেল, দূষণের জেরে উদ্বেগজনক একাধিক শহরের পরিস্থিতি
Key Highlights

শীতকাল যত এগিয়ে আসছে, দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স তত খারাপ হতে শুরু করেছে। রবিবার সকালে দিল্লির AQI ছিল ৩২০।

দিল্লির বাতাসে দূষণের হার গুরুতর পর্যায়ে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, পঞ্জাবের চাষের জমিতে আগুন লাগানোর জেরে দিল্লির বায়ুর দূষণের পরিমাণ নতুন করে বেড়ে গিয়েছে। শনিবার দিল্লির বায়ুর দূষণের পরিমাণ কিছুটা কম ছিল।

দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা AQI অনুযায়ী দিল্লিতে বায়ু দূষণের পরিমাণ যথেষ্ঠ উদ্বেগজনক

শনিবার দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের সামান্য উন্নতি হয়েছিল। শনিবার দিল্লির AQI ৩০৩ ছিল। যেখানে শুক্রবার দিল্লির বায়ুর গুনমান সূচক বা AQI ছিল ৩৪৬।

আবহাওয়া বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার দিল্লিতে বায়ুর গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১৮ থেকে ২০ কিমি বেড়ে যাওয়ার কারণে দূষণের পরিমাণ কিছুটা কম ছিল। পঞ্জাবে ফসল কাটার পর নতুন চাষের আগে জমিগুলোতে এই সময় আগুন লাগানো হয়। উত্তর পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর জেরে সেই ধোঁয়া দিল্লিতে প্রবেশ করছে। যার জেরে নতুন করে দিল্লির দূষণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।পঞ্জাবে চাষের জমিতে খড় পোড়ানো দিল্লির দূষণের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটিওরোলজির তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বায়ু দূষণের প্রধান করান হল পঞ্জাবের চাষের জমিতে আগুন। পঞ্জাব রিমোট সেন্সিং সেন্টারের তথ্য অনুসারে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ৪৩,১৪৪টি চাষের জমিতে আগুন লাগানো হয়েছে। ২০২১ সালের তুলনায় ২৭ শতাংশ কম। ২০২১ সালে এই সময়ের মধ্যে ৭১,০০০ বেশি চাষের জমিতে আগুন লাগানোর ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছিল।

দিল্লির পাশাপাশ বিহারের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দূষণের মাত্রা ছিল উদ্বেগ জনক। রিপোর্ট অনুসারে দেশের তিনটি শহরে বায়ু দূষণের পরিমাণ ছিল উদ্বেগজনক। সেগুলো হল মতিহারি, সিওয়ান ও দ্বারভাঙা। তিনটি শহরই বিহারে অবস্থিত। এই তিনটি শহরে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা AQI ছিল যথাক্রমে ৪১৯, ৪১৭, ৪০৪। এছাড়াও বিহারের বেশিরভাগ অঞ্চলে বায়ু দূষণের পরিমাণ ছিল উদ্বেগ জনক। শনিবার সন্ধ্যার সময় হরিয়ানা ও পঞ্জাবের বাতাসে দূষণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। শনিবার সন্ধ্যায় হরিয়ানার গুরুগ্রামে AQI ছিল ২৮৮ ফরিদাবাদে ছিল ২৭৪ এবং বাহাদুরগড়ে ছিল ২৩৪।

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা AQI ০ থেকে ৫০ থাকার অর্থ হল বাতাসের গুনমান ভালো। বাতাসে দূষণ নেই। এই পরিমাপকে সবুজ রঙের সাহায্যে চিহ্নিত করা হয়। AQI ৫১ থেকে ১০০ থাকার অর্থ বায়ুতে দূষণ থাকলে, উদ্বেগের কারণ থাকলেও তা সামান্য। এই পরিমাপকে হলুদ রঙের সাহায্যে চিহ্নিত করা হয়। AQI ১০১ থেকে ১৫০ হওয়ার অর্থ হল দূষণে সংবেদনশীল সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর সেভাবে প্রভাব পড়ে না এই দূষণ। এই পরিমাপকে কমলা রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ AQI এর অর্থ হল বায়ুর দূষণের পরিমাণ গুরুতর। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যে জন্য এই দূষণ ক্ষতিকর। সংবেদনশীল মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই সূচকে লাল রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। AQI ২০১ থেকে ৩০০ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই পরিমাপকে বেগুনি রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। ৩০১ থেকে AQIকে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলে এই দূষণ। এই পরিমাপকে বেগুনি রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।