Agnibaan | ভারতের ‘অগ্নিবাণ’নজির! বিশ্বের প্রথম 3D-প্রিন্টেড ‘সেমি-ক্রায়োজেনিক’ রকেট তৈরী করে সফল উৎক্ষেপণ করলো দেশী সংস্থা!
৩০সে মে শ্রীহরিকোটায় লঞ্চ প্যাড থেকে স্ব-নির্মিত 3D-প্রিন্টেড ‘সেমি-ক্রায়োজেনিক’ অগ্নিবাণ রকেট সফলভাবে উৎক্ষেপণ হয়েছে। কেবল ভারতেরই নয়, বিশ্বের প্রথম 3D-প্রিন্টেড ‘সেমি-ক্রায়োজেনিক’ রকেট তৈরী করে তা উৎক্ষেপণ করলো ভারতীয় এই সংস্থা। চারটি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পরে, বৃহস্পতিবার কোনও লাইভ-স্ট্রিমিং ছাড়াই সফল হয় অভিযান।
মহাকাশ বিজ্ঞানে ফের ইতিহাস সৃষ্টি করলো ভারত! দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মহাকাশযান অগ্নিবাণ (Agniban) এর পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণ করে নজির গড়লো ভারতের বেসরকারি স্টার্টআপ সংস্থা অগ্নিকুল কসমস (Agnikul Cosmos)। ৩০সে মে শ্রীহরিকোটায় লঞ্চ প্যাড থেকে স্ব-নির্মিত 3D-প্রিন্টেড ‘সেমি-ক্রায়োজেনিক’ অগ্নিবাণ(Agnibaan) রকেট সফলভাবে উৎক্ষেপণ হয়েছে। কেবল ভারতেরই নয়, বিশ্বের প্রথম 3D-প্রিন্টেড ‘সেমি-ক্রায়োজেনিক’ রকেট তৈরী করে তা উৎক্ষেপণ করলো ভারতীয় এই সংস্থা। চারটি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পরে, বৃহস্পতিবার কোনও লাইভ-স্ট্রিমিং ছাড়াই সফল হয় অভিযান।
'অগ্নিবাণ' :
মূলত দেশীয় প্রযুক্তির ওপর জোর দিতেই এই মহাকাশ যানটি তৈরী করেছে চেন্নাইয়ের বেসরকারি সংস্থা অগ্নিকুল কসমস (Agnikul Cosmos)। ৩০সে মে, বৃহস্পতিবার সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরি কোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে রকেটের উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। সেমি ক্রায়োজেনিক 3D প্রিন্টেড ইঞ্জিন নির্ভর ওই মহাকাশযানটির উৎক্ষেপণ হয় মাত্র দু’মিনিটে। প্রসঙ্গত, SorRTed অভিযানের আওতায় প্রথমে ৭ এপ্রিল অগ্নিবাণ (Agnibaan) মহাকাশযানটির উৎক্ষেপণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেওয়ায়, বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে রকেটটির উৎক্ষেপণ হয়। এর আগে ৪ বার উৎক্ষেপণের চেষ্টা করা হয়েছিল তবে তা ব্যর্থ হয়। অবশেষে পর পর পঞ্চমবারে উৎক্ষেপণ সফল হয়। এই সফল উৎক্ষেপণের জন্য অগ্নিকুল কসমসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি এক্স বার্তায় ইসরো লিখেছে,’লঞ্চপ্যাড থেকে Agnibaan SorRTed-01-এর সফল উৎক্ষেপণের জন্য Agnikul Cosmos-কে অভিনন্দন। সেমি ক্রায়োজেনিক লিকুই ইঞ্জিন নির্ভর রকেটের প্রথম নিয়ন্ত্রিত উড়ানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক তৈরি হল’।
জানা গিয়েছে, অগ্নিবাণ(Agniban) রকেটটি উৎক্ষেপণের সময়ে দেশের প্রথম বেসরকারি লঞ্চপ্যাড ALP-01 ব্যবহার করেছে অগ্নিকূল সংস্থা। 3D প্রিন্টেড ইঞ্জিন নির্ভর হওয়া ছাড়াও এই অগ্নিবাণ মহাকাশযানটির একটি বিশেষত্ব হলো এর ইঞ্জিনটি তরল এবং গ্যাস প্রপেলেন্টের মিশ্রণ সহ একটি সেমি-ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। যা ওজনের দিক দিয়ে অত্যন্ত হালকা এবং এটি তৈরিতেও খরচও অনেক কম হয়। তাছাড়া এই রকেট ইঞ্জিনে বেশি জ্বালানি খরচ-ও হয় না। এই রকেটের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এটি প্রায় ৭০০ কিলোমিটার কক্ষপথে ৩০০ কেজি পর্যন্ত এটি পেলোড বহন করতে পারবে। এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা ইসরো (ISRO) এখনও তার কোনো রকেটে ব্যবহার করেনি।
সাধারণত, মহাকাশ অভিযানের কথা উঠলেই রকেট উৎক্ষেপণের জন্য খরচ হয় কোটি কোটি টাকা। সেখানে এই বেসরকারি সংস্থাটি একেবারে অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছে। ফলে আগামী দিনে মহাকাশ অভিযানে 3D প্রিন্টেড ইঞ্জিনের ব্যবহার বাড়লে, যথেষ্ট টাকাও বাঁচবে। ইসরোর পাশাপাশি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (IN-SPACE) এর চেয়ারম্যান পবন গোয়েঙ্কাও বলেছেন, অগ্নিকুল কসমসের অগ্নিবাণের উৎক্ষেপণে খুবই খুশি। ভারতের মহাকাশ গবেষণার জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই ঘটনা তরুণ উদ্ভাবকদের প্রতিভা প্রতিফলিত করবে।