Shraddha Walker Murder Case : ২০২০-তে আফতাবের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন শ্রদ্ধা
'আফতাব আমায় টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলবে!' প্রকাশ্যে শ্রদ্ধার বিস্ফোরক চিঠি
একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে ২০১৯ সালে পরিচয় হয় আফতাব-শ্রদ্ধার। ২০২০ সালে দিল্লি পুলিশের কাছে দায়ের করা শ্রদ্ধার একটি অভিযোগ পত্র পাওয়া গেছে, শ্রদ্ধার আফতাবের বিরুদ্ধে মারধর, হুমকি, খুনের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল। এই অভিযোগের পরেও তাঁদের দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল বলে জানতে পেরেছে দিল্লি পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের একটি সূত্রে বলছে, বছর দুয়েক আগেই শ্রদ্ধা তাঁর খুন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে একটি অভিযোগপত্রে জানিয়েছিলেন যে, আফতাব তাঁকে ছ’মাস ধরে মারধর ও ব্ল্যাকমেল করছেন। শুধু তাই-ই নয়, তাঁকে কেটে টুকরো করে ফেলারও হুমকি দিয়েছিল আফতাব। তদন্তে নেমে সেই অভিযোগপত্র দিল্লি পুলিশের হাতে এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাসাই থানায় তাঁর লিভ-ইন সঙ্গীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শ্রদ্ধা। সেই অভিযোগ পাওয়ার পর ভাসাই থানা কী পদক্ষেপ করেছে, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
শ্রদ্ধা হত্যা মামলায় তদন্তে নেমে দিলি পুলিশ জানতে পেরেছে, যে শ্রদ্ধার পরিবারও আফতাবের হিংসাত্মক আচরণ সম্পর্কে অবগত ছিলেন। শ্রদ্ধা শুধু তার পরিবারকে নয় বন্ধুদের কাছে তার মারধরের একটি ছবি পাঠিয়ে তার সাথে কী হয়েছিল তা উল্লেখ করেছেন। এমনকি শ্রদ্ধার হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামে বন্ধুদের সাথে কথোপকথনও পুলিশের রয়েছে।
ইতিমধ্যেই আফতাব তার প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন। যদিও শ্রদ্ধার দেহাংশ এবং কাটা মুন্ডু এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের ২০টি দল, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আফতাব খুনের কথা স্বীকার করলেও, তিনিই যে খুনি এখনও সেই তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি শ্রদ্ধা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও পাওয়া যায়নি।
- Related topics -
- দেশ
- ক্রাইম
- দিল্লি পুলিশ
- দিল্লি হাইকোর্ট
- খুন
- তদন্ত