World Telecommunication and Information Society Day | আজ বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবস! জানুন এদিনের ইতিহাস, তাৎপর্য!
বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে গুরুত্ব দিতে প্রতি বছর ১৭ই মে পালন করা হয় বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবস।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের ওপর ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ১৭ই মে পালন করা হয় বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবস (World Telecommunication and Information Society Day)। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন বা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (ITU)-এর পৃষ্ঠপোষকতায় পালন করা হয় এই দিন।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবসের দিন আইটিইউ-র প্রতিষ্ঠাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এবং টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য সমাজের মূল্য সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য, ১৯৬৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (United Nations General Assembly) তরফ থেকে এই দিবস পালনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবসের ইতিহাস | History of World Telecommunication and Information Society Day :
আইটিইউ অর্থাৎ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন-এর প্রতিষ্ঠা দিবসের জন্য ১৯৬৯ সালের ১৭ই মে প্রথম বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস পালন করা হয়। উল্লেখ্য, ১৮৬৫ সালের ১৭ই মে প্যারিসে (Paris) আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন (International Telegraph Union) নাম নিয়ে আইটিইউ-র প্রতিষ্ঠা হয়। পরবর্তীকালে এই সংস্থার নাম পরিবর্তন করে হয়, আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (International Telecommunication Union)। ১৯৪৭ সালে আইটিইউ জাতিসংঘের একটি বিশেষ সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
অন্যদিকে, ২০০৬ সালের মার্চ মাসে ১৭ই মে-কে তথ্য সমাজ দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব তোলে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ (UNGA)। পরবর্তীতে একই বছর নভেম্বর মাসে আইটিইউ প্লেনিপোটেনশিয়ারি সম্মেলনে (ITU Plenipotentiary Conference) বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস ও তথ্য সমাজ দিবস দুটি দিনকে একত্রিত করে পালন করার কথা ঘোষণা করা হয়।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবসের তাৎপর্য | Significance of World Telecommunication and Information Society Day :
সমাজে টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা এবং প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এবং বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর জোড় দিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ব টেলিযোগাযোগ টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সোসাইটি দিবস। এই দিনটিতে অর্থনীতি, সমাজ এবং ব্যক্তিগত জীবন গঠনে ইন্টারনেট (Internet), মোবাইল নেটওয়ার্ক (Mobile Networks) এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তির (Digital Technologies) মতো যোগাযোগ ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ইউটিআই। সামগ্রিকভাবে, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে যা,বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং ডিজিটাল সংযোগ, ইন্টারনেট ব্যবস্থার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করে।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবসের প্রতিপাদ্য | Theme of World Telecommunication and Information Society Day :
প্রতি বছর ভিন্ন ভিন্ন বিষয় বা থিম (Theme) বা প্রতিপাদ্যর ওপর গুরুত্ব দিয়ে পালন করা হয় বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবস। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবসের থিম বা প্রতিপাদ্য হল “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে সক্ষম করা” (Empowering Least Developed Countries through Information and Communication Technologies)।
- Related topics -
- লাইফস্টাইল
- বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবস
- যোগাযোগ ব্যবস্থা
Contents ( Show )
- বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবসের ইতিহাস | History of World Telecommunication and Information Society Day :
- বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবসের তাৎপর্য | Significance of World Telecommunication and Information Society Day :
- বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবসের প্রতিপাদ্য | Theme of World Telecommunication and Information Society Day :
- পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File