পরিবর্তন করা হচ্ছে মাঙ্কি পক্সের নাম, নতুন নাম এমপক্স হতে পারে, পরিকল্পনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

Wednesday, November 23 2022, 10:55 am
highlightKey Highlights

চলতি বছরে মাঙ্কি পক্স নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে তৈরী হয়েছিল আতঙ্ক। বিশ্বের একাধিক দেশে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাঙ্কি পক্স নিয়ে জরুরি ঘোষণা করেছিলেন। বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাঙ্কি পক্সের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে একটি ঘোষণায় জানানো হয়েছে, মাঙ্কি পক্সের নাম এমপক্স হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।

মাঙ্কি পক্সের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কী বলছে চিকিৎসকরা জানুন

হুয়ের তরফে জানানো হয়েছে, মাঙ্কি পক্সের জন্য বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা গ্রহণের পরে মাঙ্কি পক্সের নাম পরিবর্তন করার আবেদন করা হয়। বুধবার সকালে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইন্টারন্যাশনাল হেলথ রেগুলেশনসের সঙ্গে তৃতীয়বারের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হুয়ের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছে। এখন মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।

মাঙ্কি পক্স এক ধরনের ভাইরাস। এটি মূলত ইঁদুর বা এই জাতীয় প্রাণীর শরীর থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। মাঙ্কি পক্স মূলত গুটি বসন্তের একটি প্রজাতি। মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার অনেকটাই কম। মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে প্রবল জ্বর দেখা যায়। সারা শরীরে গুটি ওঠে। এমনকী গায়ে হাত পায়ে ব্যথা দেখা যায়। প্রাথমিক ভাবে গুটি বসন্তের সঙ্গে মাঙ্কি পক্সের পার্থক্য করা যায় না। তবে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষায় মাঙ্কি পক্স চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।

আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন ভাইরাসটি ত্বক, চোখ, নাক, মুখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। মূলত শরীরে কোথাও কাটা অংশ থাকলে, সেখান থেকেও মাঙ্কি পক্সের ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে। মাঙ্কি ভাইরাস পশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। যেমন, পশুর আঁচর বা কামড়ের মধ্যে অথবা আক্রান্ত পশুর মাংস রান্না করে খেলে, কোনো কারণে পশুর রক্ত মানুষের শরীরে প্রবেশ করলেও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবানা থাকে।

মাঙ্কি পক্সে মূলত পুরুষদের আক্রান্ত হতে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। হুয়ের তরফে প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে, যে সমস্ত পুরুষরা পুরুষদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, তাঁদের শরীরে মাঙ্কি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখতে পাওয়া গিয়েছে। যদিও এই তথ্য একাধিক চিকিৎসক অস্বীকার করেছেন। কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে যুক্ত হলেও সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়।





পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File