Buddhadeb । বুদ্ধদেবের কর্নিয়া দৃষ্টি ফেরাল দু’জনের! কেন বুদ্ধদেব, জ্যোতি বসু, শ্যামল চক্রবর্তীর মতো একাধিক CPIMনেতা দেহদান করেন?
প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর কর্নিয়া দৃষ্টি ফেরাল দু’জনের। আরআইও-র ডিরেক্টর অসীমকুমার ঘোষ জানিয়েছেন, বুদ্ধদেবের কর্নিয়া দু’জনের চোখে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, যাঁরা কর্নিয়াজনিত অন্ধত্বে ভুগছিলেন। চোখই নয়, দেহবানের অঙ্গীকার করে গিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো শুক্রবার বিকেলে নীলরতন সরকার হাসপাতালে তাঁর দেহ চিকিৎসা গবেষণার জন্য দান করা হবে। বুদ্ধদেবের আগে দেহ দান করে গেছেন জ্যোতি বসু, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, মানব মুখোপাধ্যায়, শ্যামল চক্রবর্তী, সমর মুখোপাধ্যায়, অনিল বিশ্বাস, বিনয় চৌধুরীর মতো সিপিআইএম-এর অনেক নেতাই।
প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর (Buddhadeb Bhattacharjee) কর্নিয়া দৃষ্টি ফেরাল দু’জনের। আরআইও-র ডিরেক্টর অসীমকুমার ঘোষ জানিয়েছেন, বুদ্ধদেবের কর্নিয়া দু’জনের চোখে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, যাঁরা কর্নিয়াজনিত অন্ধত্বে ভুগছিলেন। চোখই নয়, দেহবানের অঙ্গীকার করে গিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো শুক্রবার বিকেলে নীলরতন সরকার হাসপাতালে তাঁর দেহ চিকিৎসা গবেষণার জন্য দান করা হবে। বুদ্ধদেবের আগে দেহ দান করে গেছেন জ্যোতি বসু, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, মানব মুখোপাধ্যায়, শ্যামল চক্রবর্তী, সমর মুখোপাধ্যায়, অনিল বিশ্বাস, বিনয় চৌধুরীর মতো সিপিআইএম-এর অনেক নেতাই। কিন্তু কেন কমিউনিস্ট নেতারা প্রায় সকলেই দেহ দান করেন?
'কমরেড'দের এই দেহদানের প্রথার পিছনে রয়েছে এক সামাজিক আন্দোলন এবং একটি বেসরকারি সংগঠন। যার নাম গণদর্পণ এবং এই সংগঠনের সঙ্গে ওতোপ্রোত জড়িয়ে থাকা ব্রজ রায়। জানা যায়, ১৯৫৭ সালে মাত্র একুশ বছর বয়সে অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হয়েছিলেন ব্রজ রায়। তিন দশক পর তিনিই মরণোত্তর দেহদানের আন্দোলন শুরু করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে কুসংস্কার প্রতিরোধে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গণদর্পণ সংস্থার। ব্রজ রায়-সহ এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আরও অনেকেই এই সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে আরও ছড়িয়ে দিতে চাইছিলেন। তারা প্রশ্ন তোলেন, একজন মানুষের মৃত্যুর পর তার জন্মসূত্রে পাওয়া ধর্মীয় পরিচয় অনুযায়ী অন্তিম সংস্কার করা হয়। কিন্তু, যারা বস্তুবাদী, তাদেরও ধর্মীয় পরিচয় মেনে কেন শেষকৃত্য হবে? মৃত্যুর পর তাঁর দেহটি সমাজের হবে না কেন? পরিবারের হতে তুলে দেওয়া মানেই তো তা ব্যক্তিগত মালিকানাকে স্বীকৃতি দেওয়া।
১৯৮৫ সালে ব্রজ রায়-সহ গণদর্পনের পাঁচজন সদস্য চিকিৎসা গবেষণার জন্য মরনোত্তর দেহ দানের অঙ্গীকার করেন। তারপর, ১৯৮৬ সালের ৫ নভেম্বর, বিজ্ঞানী জেবিএস হলডেনের ৯৫তম জন্মদিবসে আরও ৩৪ জনের মরনোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এক সামাজিক আন্দোলন। এই ব্রজ রায়ের সামাজিক আন্দোলনেই পরবর্তীকালে প্রায় সকল কমিউনিস্ট নেতাই দেহদানের অঙ্গীকার করেছেন। ২০২১-এ ব্রজ রায়ের মৃত্যু হয়। কিন্তু তাঁর আন্দোলন এখনও চলছে। তাই দেহদান করেন জ্যোতি বসু, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, মানব মুখোপাধ্যায়, শ্যামল চক্রবর্তী, সমর মুখোপাধ্যায়, অনিল বিশ্বাস, বিনয় চৌধুরীর মতো সিপিআইএম নেতারা। দেহদানের অঙ্গীকার করে গিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও (Buddhadeb Bhattacharjee)। সেইমতো ৯ই আগস্ট, শুক্রবার বিকেলে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে বুদ্ধবাবুর দেহদান করা হবে।
- Related topics -
- রাজনৈতিক
- রাজনীতি
- সিপিএম
- বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
- জ্যোতি বসু