Covid-19 and Disease X | নয়া মহামারী নিয়ে সতর্কবার্তা হু-এর! উদ্বেগ বাড়াচ্ছে 'ডিজিজ এক্স'! চীনে ফের করোনার বাড়বাড়ন্ত!

Friday, May 26 2023, 8:13 am
highlightKey Highlights

নতুন মহামারী সম্পর্কে সতর্ক করলেন বিশ্ব স্বাথ্য সংস্থা প্রধান। করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে 'ডিজিজ এক্স'। চীনে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে সাপ্তাহিক মৃত্যু হার পৌঁছতে পারে ৬ কোটিতে।


পরবর্তী মহামারীর জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) তরফ থেকে। দিন কয়েক আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে হু-র প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানান, কোভিড শেষ হয়েছে মানেই বিশ্বে মহামারী চলে গেছে তা নয়। নতুন এক প্রজাতি সংক্রমণ বৃদ্ধি করে মহামারীতে পরিণত হতে পারে বলে সতর্ক করেন হু-র প্রধান।

পরবর্তী মহামারীর জন্য সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে
পরবর্তী মহামারীর জন্য সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে

কোভিড শেষ হয়েছে মানেই বিশ্বে মহামারীতে ইতি পড়েছে তা নয়। আরও একটি প্রজাতি জাল বিস্তার করছে। তাতে নতুন করে বাড়ছে সংক্রমণ এবং মৃত্যু। বরং নতুন যে প্যাথোজেনের হদিশ মিলেছে, তা আরও মারাত্মক।

টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান
সতর্ক করলেন  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস
সতর্ক করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস

সম্প্রতি হু (WHO) এর তরফ থেকে একটি তালিকা প্রকাশ করে জানানো হয়, ভবিষ্যতে কোন কোন ভাইরাস বা রোগ মহামারীর রূপ ধারণ করতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে ইবোলা (Ebola),সার্স (SARS), জ়িকা (Zika)-র পাশাপাশি রয়েছে আরও একটি রোগের নাম। এই রোগের নাম ডিজিজ এক্স (Disease X)।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংহার তরফ থেকে তালিকা প্রকাশ করার পর থেকেই এই অজানা রোগটিকে ঘিরেই শুরু হয়েছে উদ্বেগ,জল্পনা।

ডিজিজ এক্স নামক রোগ পরিণত হতে পারে পরবর্তী মহামারীতে
ডিজিজ এক্স নামক রোগ পরিণত হতে পারে পরবর্তী মহামারীতে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়, 'ডিজিজ এক্স' শব্দটির অর্থ হল এমন কোনও গুরুতর সংক্রমণ, যা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ২০১৮ সাল থেকে এই শব্দটি ব্যবহার করে আসছেন হু বিশেষজ্ঞরা। তবে এই রোগ কোন প্যাথোজেনের (Pathogen) কারণে সৃষ্টি হবে সে সম্পর্কে এখনও কোনও তথ্য মেলেনি। এই রোগের কারণ ভাইরাসও (Virus) হতে পারে আবার ব্যাকটেরিয়াও (Bacteria) হতে পারে, আবার হতে পারে ফাঙ্গাসও (Fungus)। ডিজিজ এক্স রোগের কারণ যেমন জানা যায়নি, তেমনই এর চিকিৎসা সম্পর্কেও এখনও পর্যন্ত জানতে পারেনি হু। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয় যে, করোনার পরবর্তীতে যে মহামারি আসবে তার প্রভাব আরও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে।

এই রোগ হতে পারে ভাইরাসঘটিত বা ব্যাকটেরিয়াঘটিত বা ফাঙ্গাসঘটিত
এই রোগ হতে পারে ভাইরাসঘটিত বা ব্যাকটেরিয়াঘটিত বা ফাঙ্গাসঘটিত

অন্যদিকে, ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে মারণ ভাইরাস করোনা (Corona)। স্থান আবার চীন! জুন মাসেই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট (Covid Varrient) শিখরে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করছে চীন (China) প্রশাসন। সেই মাসেই কোভিড (Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৬ কোটি।

চীনে জুন মাসেই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট পৌঁছতে পারে শিখরে
চীনে জুন মাসেই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট পৌঁছতে পারে শিখরে

২০২০ সাল থেকে গোটা বিশ্বের দুঃস্বপ্নে পরিণত হয় করোনা ভাইরাস। চীন থেকে উৎপাদিত এই ভাইরাসের কোপ ধীরে ধীরে পরে গোটা দুনিয়ায়। মাস কয়েকের মধ্যেই লকডাউনে (Lockdown) চলে যায় বিশ্বের প্রায় সব দেশ। বছর তিনেক পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আবার ভাইরাস ঘুরে আসছে চীনে। সে দেশের প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এক্সবিবি (Corona XBB variant) শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে।

সাপ্তাহিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হতে পারে প্রায় ৬ কোটি
সাপ্তাহিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হতে পারে প্রায় ৬ কোটি

চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকেই ওমিক্রনের ভ্যারিয়্যান্ট (Omicron Varrient) এক্সবিবি-র দাপট বেড়েছে চীনে। যার ফলে মাস দুয়েক ধরেই সাপ্তাহিক সংক্রমণের সংখ্যা ছাপিয়ে যায় ৪ কোটি। কার্যতই প্রবল ভাবে বিপণ্ণ হয়েছিল সেদেশের বিচারব্যবস্থা। এমনকি হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছিলনা বেডও। কিন্তু মারণ ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্টের পরবর্তী ঢেউয়ের জন্য এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, নতুন ভ্যারিয়েন্টের জন্য সাপ্তাহিক আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াতে পারে ৬ কোটি।

ওমিক্রনের ভ্যারিয়্যান্ট এক্সবিবি-র দাপট বেড়েছে চীনে
ওমিক্রনের ভ্যারিয়্যান্ট এক্সবিবি-র দাপট বেড়েছে চীনে

উল্লেখ্য, গত শীতে চিন তাদের কঠোর শূন্য-কোভিড নীতি পরিত্যাগ করার পর নতুন করে ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বড় তরঙ্গ হতে পারে বলে ধারণা। যদিও চিনে সরকারি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক ঢেউ সে অর্থে মারাত্মক হবে না। তবে, সেদেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নয়া ভ্যারিয়েন্টে বয়স্কদের মৃত্যু রুখতে ভ্যাকসিনেশন বুস্টার (Vaccination Booster) কর্মসূচির প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালগুলিতে অ্যান্টিভাইরালের (Antiviral) জোগান প্রয়োজন। চীনে আবার করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের কারণে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File