MP Benefits | গৃহ-ভ্রমণ ভাতা থেকে মোটা অংকের বেতন! সরকারের তরফ থেকে কী কী সুবিধা পান এমপিরা?
সংসদ সদস্যরা কেবল পদ, দায়িত্বই নয়, পান সরকার থেকে একাধিক সুবিধাও। সাংসদ প্রতি মাসে বেতন পান আনুমানিক ১ লাখ টাকা। সংসদ সদস্যরা গৃহ ভাতাও পেয়ে থাকেন। একজন সংসদ সদস্যকে টেলিফোন লাগানোর জন্য কোনও চার্জ দিতে হয় না। এই বিলের পুরো খরচ সরকার বহন করে। একই সঙ্গে তিনি পান ৫০ হাজার ফ্রি লোকাল কলের সুবিধা। যেখানে একজন সাংসদ প্রতি মাসে অফিস খরচ ভাতা হিসেবে পান ৬০ হাজার টাকা।
ঘোষিত হয়েছে দেশের লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ এর ফলাফল। নির্বাচন কমিশন ৫৪৩ আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে। প্রত্যেক আসনের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন একজন করে সংসদ সদস্য। কেবল পদ, দায়িত্বই নয়, এই ব্যাক্তিগনরা পান সরকার থেকে একাধিক সুবিধাও! কী কী দেখে নিন-
বেতন : সংসদ সদস্য (বেতন, ভাতা এবং পেনশন) আইন ১৯৫৪ এর অধীনে একজন এমপিকে বেতন এবং অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয় সরকারের তরফ থেকে। এক্ষেত্রে সাংসদ প্রতি মাসে বেতন পান আনুমানিক ১ লাখ টাকা।
গৃহ ভাতা : সংসদ সদস্যরা গৃহ ভাতাও পেয়ে থাকেন। একজন সাংসদকে তাঁর দিল্লির বাসভবন, অফিস পেয়ে থাকেন। গৃহ ভাতাএ ছাড়া সংসদ সদস্য প্রতি মাসে নির্বাচনী ভাতা হিসেবে পান ৭০ হাজার টাকা।
অফিসের খরচ : একজন সংসদ সদস্যকে টেলিফোন লাগানোর জন্য কোনও চার্জ দিতে হয় না। এই বিলের পুরো খরচ সরকার বহন করে। একই সঙ্গে তিনি পান ৫০ হাজার ফ্রি লোকাল কলের সুবিধা। যেখানে একজন সাংসদ প্রতি মাসে অফিস খরচ ভাতা হিসেবে পান ৬০ হাজার টাকা।
ভ্রমণ ভাতা : একজন সংসদ সদস্যকে একটি সংসদ অধিবেশন বা কমিটির বৈঠকে যোগদান বা সংসদ সদস্য হওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত যে কোনও কাজে ভ্রমণের জন্য আলাদা ভাতা দেওয়া হয়। যেখানে সংসদ সদস্যরা যখন সড়কপথে যাতায়াত করেন, তাঁরা প্রতি কিলোমিটারে ১৬ টাকা আলাদা ভাতা পান।
ট্রেনের বিশেষ পাস : একজন এমপিকে একটি পাস দেওয়া হয়, যার সাহায্যে তিনি যে কোনও সময় বিনামূল্যে রেলপথে ভ্রমণ করতে পারেন। এই পাস যেকোন ট্রেনের ফার্স্ট ক্লাস এসি বা এক্সিকিউটিভ ক্লাসে ভ্রমণ করতে পারবে। একইসঙ্গে এমপিরা সরকারি কাজে বিদেশ গমন করলে সরকারি ভাতাও দেওয়া হয়।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে সুবিধা : প্রত্যেক এমপি চিকিৎসা সুবিধা পান। রেফারের পর কোনও সংসদ সদস্য যদি কোনও সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বা অপারেশন করান, তাহলে সেই চিকিৎসার পুরো খরচ সরকার বহন করে।
এছাড়াও, ১ এপ্রিল, ২০২৩ থেকে একটি নতুন নিয়ম কার্যকর করা হয়েছিল, যার অধীনে প্রতি পাঁচ বছর পর সংসদ সদস্যদের বেতন এবং দৈনিক ভাতা বাড়ানো হবে। পাশাপাশি সংসদ সদস্যরা সরকারি খরচে নিরাপত্তাকর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক পান।