The Kanyashree project: WB| বাংলার মেয়েদের জন্য - "কন্যাশ্রী প্রকল্প"
আসুন জেনে নেওয়া যাক পশ্চিমবঙ্গ সরকার তথা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরেকটি সফল উদ্যোগ যা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলিকে কিভাবে পড়াশুনোর দিক থেকে সাহায্য করেছে।
ভূমিকা | Introduction of Kanyashree
কন্যাশ্রী প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকার তথা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরেকটি সফল উদ্যোগ যা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলিকে নগদ সহায়তার মধ্যে দিয়ে মেয়েদের জীবন ও অবস্থার উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার কথা চিন্তা করে, যাতে অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার কারণবশত কোনো পরিবার আঠারো বৎসর বয়সের আগে নিজেদের কন্যা সন্তানের বিয়ের ব্যবস্থা করার জন্য সচেষ্ট না হন । এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হল, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া গরিব এবং দুঃস্থ মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার সুবিধা প্রদান করা।
প্রকল্পের শুভারম্ভ
কন্যাশ্রী প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে অক্টোবর মাসে যেখানে ঘোষণা করা হয়েছিল যে ৯ লক্ষের বেশি ছাত্রীরা ১০ ম শ্রেণীর গণ্ডি পেরিয়ে উচ্চ স্তরে শিক্ষা অর্জনের জন্য আর্থিক সুযোগ সুবিধা লাভ করতে সক্ষম হবে ।
প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থ:
২০১৩- ২০১৪ সালে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার যে অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন তা হল ২৮৭ কোটি টাকা। অর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের কন্যাদের পরিবর্তে বর্তমানকালে সকল পড়ুয়ারাই এই আর্থিক সুবিধা পাবে; এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের উদ্দেশ্য | Purpose of Kanyashree
- শিক্ষা প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বালিকাদের তালিকাভুক্তি বৃদ্ধি করে পশ্চিমবঙ্গে বাল্য বিবাহ রোধ করা।
- নারী শিক্ষার অগ্রসর ঘটানো।
- শিক্ষার্থীরা যাতে দীর্ঘ সময় ধরে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে সে বিষয়ে সহায়তা করা।
- উচ্চতর পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।
- মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা প্রদান করাই হলো এর মূল উদ্দেশ্য ।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধাসমূহ | Benefits of Kanyashree
কন্যাশ্রী প্রকল্প ১ সুবিধা | K1
সেইসব শিক্ষায় যুক্ত অবিবাহিত মেয়েরা বার্ষিক K1 Prakalpa এর সুবিধা পাবে যারা ২০১৩ সাল থেকে ১৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে পড়ে ।। কন্যাশ্রী প্রকল্প K1 এ স্কুলের মেয়েদের আর্থিক সমস্ত সুবিধা প্রদান করা হবে রাজ্য সরকরের তরফ থেকে ।উক্ত প্রকল্পে সম্ভবত বার্ষিক ৭৫০ টাকা প্রদান করা হয়।
কন্যাশ্রী প্রকল্প ২ এর সুবিধা | K2
অবিবাহিত পড়ুয়া কন্যারা যারা ১৮ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে তারা উক্ত প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা লাভ করতে সক্ষম । 'কন্যাশ্রী প্রকল্প ২' তে রাজ্য সরকার এককালীন ২৫০০০ স্কলারশিপ প্রদান করবে ।
কন্যাশ্রী প্রকল্প ৩ সুবিধা | K3
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী স্কুল–কলেজের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়তে যারা অধ্যয়ন করতে চান তারা কন্যাশ্রী ৩ প্রকল্পের সাথে যুক্ত হতে পারবেন। পড়ুয়ারা বিজ্ঞান নিয়ে অধ্যয়ন করে 45% নম্বর পেয়ে থাকলে ২৫০০ টাকা করে আর্থিক সুবিধা পাবে আর যারা কলা বিভাগে পড়তে চায়, তাদের দেওয়া হবে ২০০০০ টাকা করে আর্থিক অনুদান।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও জানিয়েছেন যে ভবিষ্যতে এ রাজ্যে Kanyashree University গড়ার পরিকল্পনা করা হয়। কলেজের গণ্ডি অতিক্রম করার পর আর্থিক অনটনের কারণে নারীদের যাতে বিশ্ববিদ্যালয় তে অধ্যয়ন করতে অসুবিধে না হয় সেজন্যই এই পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন রাজ্য সরকার ।
কন্যাশ্রী প্রকল্পে কারা নথিভুক্ত করতে পারবেন | Who can enroll in Kanyashree
সরকার উদ্যোগ নিয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের কথা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে যার ফলে জনপ্রিয় এই প্রকল্পটি একটি বয়স পর্যন্ত ছাত্রীদের পড়াশোনায় উৎসাহ প্রদানের ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক।
কন্যাশ্রী ১ প্রকল্পের জন্য যোগ্যতা | Eligibility for K1
- ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সের অবিবাহিত মেয়েদের পড়াশোনায় বাবদ বছরে ১০০০ টাকা ও ১৮ বছরের পর অবিবাহিত মেয়েদের পড়াশোনা বা অন্য কোনও জীবিকায় যুক্ত হওয়ার জন্য এককালীন ২৫০০০ টাকা প্রদান করার ব্যবস্থা করা হয়েছে এই প্রকল্পে। নারীশিক্ষার অগ্রগতি ক্ষেত্রে এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
- যদি কারো পরিবারের বার্ষিক আয় হয় এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা, তাহলে তিনি এই প্রকল্পের জন্য নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন তবে কন্যাকে স্কুল পড়ুয়া হতে হবে।
- শিক্ষার্থীকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
- রাজ্যের অষ্টম ‐ দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য যোগ্য।
কন্যাশ্রী ২ প্রকল্পের জন্য যোগ্যতা | Eligibility for K2
এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১ এপ্রিল ২০১৩ সাল বা তার পরে ১৮ বছর কিন্তু ১৯ বছরের মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয় এবং তাকে অবিবাহিত হতে হবে।
কন্যাশ্রী ৩ প্রকল্পের জন্য যোগ্যতা | Eligibility for K3
- যে শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য ইচ্ছুক তারা এই প্রকল্পের যোগ্য।
- শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে ৪৫ শতাংশ নম্বর সহ স্নাতক ডিগ্রি পাস করতে হবে এবং যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হতে হবে।
- "কন্যাশ্রী কে 3" প্রকাল্পের আবেদনের জন্য কোনও সর্বাধিক বয়সের সীমা ধার্য করা নেই।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য কিভাবে আবেদন করা যাবে | How to apply for Kanyashree project?
কন্যাশ্রী প্রকল্পে আবেদন করার জন্য শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। রাজ্যে যে কোনো মেয়েদের সরকারী স্কুলেই কন্যাশ্রীর জন্য ফর্ম পাওয়া যায়। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত বার্ষিক অর্থ পাওয়ার প্রকল্পটিকে বলা হয়– ‘কে ওয়ান’ ; এবং ১৮ বছর বয়সের মেয়েদের এককালীন টাকা পাওয়ার প্রকল্পটিকে ‘কে টু’ (K-2) বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। দুটির ক্ষেত্রেই আলাদা করে রঙিন ফর্ম সরকারের তরফ থেকে স্কুলগুলিতে দেওয়া হয়ে থাকে। তবে, শিক্ষার্থী যদি এর মধ্যেই কে ওয়ানের জন্য আবেদন করা থাকে, তাহলে তাকে 'কে টু-'র জন্য আলাদা করে ফর্ম নেওয়ার আর প্রয়োজন পড়বে না। এই ফর্মটি সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীকে সেটিকে প্রয়োজনীয় সবরকম তথ্য দিয়ে ভর্তি করে ফেলতে হবে।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা শিক্ষার্থীদের পক্ষে বাঞ্ছনীয় | Bank Account for Kanyashree
শিক্ষার্থীকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রধান করে সঠিক ভাবে যেমন ফর্ম ফিল আপ করতে হবে তার পাশাপাশি ব্যাঙ্কে একটি অ্যাকাউন্ট অবশ্যই তাকে খুলে রাখতে হবে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা সরাসরি পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে। ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা নিয়ে কোনও রকম অসুবিধা হলে রাজ্য সরকার স্কুলকে সবরকম সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছে।শিক্ষার্থীকে ফর্মটি সচেতনভাবে ফিল আপ করতে হবে।
শিক্ষার্থী যখন ফর্মটি ফিল আপ করবে সে সময়ে যে বিষয়গুলি সম্পর্কে তাকে সতর্ক থাকতে হবে, সেগুলি হল-
- নামের বানান সঠিক থাকতে হবে।
- মোবাইল নম্বর সঠিক থাকা বাঞ্ছনীয় । উক্ত প্রকল্প সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য প্রদেয় মোবাইল নম্বরে এস.এম.এস. মারফত শিক্ষার্থী কে জানানো হবে।
- ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর সঠিক থাকা প্রয়োজনীয়।
- ফর্মের এক, দুই ও তিন নম্বর পৃষ্ঠায় নীচের দিকে আবেদনকারীর হস্তাক্ষরে সই থাকতে হবে।
- নথিগুলি জমা দেওয়ার সময় উক্ত প্রমাণপত্রগুলি সঙ্গে রাখতে হবে।
পরবর্তী পদক্ষেপে যখন আবেদনকারী ফর্মটি ভর্তি করার পর যখন জমা দেবে সেই সময় নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলির ফটোকপি অবশ্যই সাথে রাখতে হবে-
- আবেদনকারীর জন্মের প্রমাণপত্র বা বার্থ সার্টিফিকেট।
- আবেদনকারী যে অবিবাহিতা, সেই ব্যাপারে একটি বিবৃতি বা প্রমাণপত্র পেশ করতে হবে আবেদনকারীর বাবা বা মা অথবা অভিভাবকের তরফ থেকে ।
- যে আবেদন করছে তার ব্যাঙ্কের পাসবইয়ের প্রথম পৃষ্ঠার ফটোকপি লাগবে।
- ইনকাম সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে এই প্রমাণ করতে যে আবেদনকারীর পারিবারিক আয় বছরে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকার বেশী নয়।
শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে | Kanyashree for handicapped
আবেদনকারী যদি ৪০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী হন অথবা যদি তাঁর মা বা বাবার কেউই বর্তমান না থাকেন, সে ক্ষেত্রে আবেদনকারীর ইনকাম সার্টিফিকেটের পরিবর্তে যে ফটোকপিগুলি দাখিল করতে হবে সেগুলি হল-
- আবেদনকারী শারীরিক প্রতিবন্ধী হলে তার সার্টিফিকেট।
- আবেদনকারীর পিতা মাতা যদি অবর্তমান হন তাহলে তাদের মৃত্যুর প্রমাণপত্রসহ আবেদনকারীর আইনত অভিভাবকের বিষয়টি জানিয়ে একটি বিবৃতি পেশ করতে হবে।
অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ:
এই স্লিপ টি যত্নে রাখতে হবে আবেদনকারীকে । সে যখন ফর্মটি স্কুলে জমা দেবে, তখন ফর্মের ৩ নম্বর পাতাটি প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর ও স্কুল স্বাক্ষর সহ আবেদনকারীকে দিয়ে দেওয়া হবে। আবেদনকারীকে এটি সযত্নে রেখে দিতে হবে। কন্যাশ্রীর জন্য যে আবেদন করা হয়েছে অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ ই তার একমাত্র প্রমাণ।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য আর ও বিস্তারিত জানতে প্রদেয় লিংক:
লিঙ্কটি হল : https://wbkanyashree.gov.in/kp_4.0/index.php
পুরস্কার ও সম্মাননা | Awards and honours
সরকারি উদ্যোগে তৈরি কন্যাশ্রী প্রকল্প তার নক্সা ও সুশাসনের বৈশিষ্ট্যের কারণে একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে।
২০১৭ সালের জুন মাসে জিতে নিয়েছে ইউনাইটেড নেশন অনার। এছাড়া আর যেসব পুরস্কার এই প্রকল্পটি লাভ করেছে সেগুলি হল:
- ৬২ টি দেশের মধ্যে ৫৫২ টি সোশ্যাল সেক্টর স্কিমগুলির মধ্যে সেরা পুরস্কার ।
- আইটিইউ ও ইউ এন ওমেন সংগঠিত জিইএম-টেক অ্যাওয়ার্ড ২০১৬ সালে চূড়ান্ত পর্যায় নির্বাচিত হয়ে থাকে।
- ইউনাইটেড নেশনস WSIS ২০১৬ এর বিজেতা উক্ত প্রকল্পটি ।
- CSI Nihilent e-গভর্নেন্স পুরস্কার ২০১৪-২০১৫ তে গুণগ্রাহিতা পুরস্কারের প্রাপ্তি ঘটেছে ।
- Skoch SMART গভর্নেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৫ বিজেতা।
- অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস এবং পাবলিক গ্রিভেন্স দ্বারা আয়োজিত ন্যাশনাল e-governance অ্যাওয়ার্ড ২০১৪-১৫ এ পুরস্কৃত হয়েছে।
- ২০১৪ সালে ই-ওমেন ও এমপাওয়ারমেন্ট বিভাগে মন্থন অ্যাওয়ার্ড (সাউথ এশিয়া ও এশিয়া প্যাসিফিক) লাভ করেছে।
কন্যাশ্রী দিবস | Kanyashree Day
সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পটি উন্নীত করার উদ্দেশ্যে প্রত্যেক বছর ১৪ই আগস্ট 'কন্যাশ্রী দিবস' হিসেবে উদ্যাপন করা হয়ে থাকে। কলকাতায় এই অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দোপাধ্যায় সভাপতিত্ব করে থাকেন।
পরিশিষ্ট:
মুখ্যমন্ত্রী ,মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কন্যাশ্রী আজ এক বিশ্ববন্দিত জনকল্যাণমূলক প্রকল্প।সরকার এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রাজ্যের কন্যা সন্তানের প্রতি গুরুত্ব আরােপ করতে সক্ষম হয়েছেন । বাল্যবিবাহ বন্ধ করে কন্যা সন্তানদের বিদ্যালয়মুখী করার ক্ষেত্রে এবং তাদের সুষ্ঠ ও সম্মানজনক পেশায় প্রতিষ্ঠিত করে যোগ্য সামাজিক মর্যাদায় ভূষিত করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ‘কন্যাশ্রী প্রকল্পের যে অবতারণা করেছেন তা যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে।
প্রশ্নোত্তর - Frequently Asked Questions
কন্যাশ্রী প্রকল্প কে এবং কেন প্রচলন করেন?
২০১৩ সালে অক্টোবর মাসে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের কন্যা সন্তানদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে অগ্রগতির উদ্দেশ্যে সরকারি প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’ প্রচলন করেন।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় কারা পড়ে?
এই প্রকল্পের আওতায় সরকার স্কুল ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করে থাকে। এই প্রকল্পের আওতায় নারী শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে নারীর অধিকারও সুরক্ষিত রয়েছে।
কন্যাশ্রী প্রকল্পে অনলাইনে কীভাবে আবেদন করা হয় ?
১) কন্যাশ্রী প্রকল্প ওয়েব পোর্টালের হোম পেজে যেতে হবে। ২) ট্র্যাক অ্যাপ্লিকেশন অপশনে ক্লিক করতে হবে। ৩) ড্রপ-ডাউন মেনু থেকে বছর এবং স্কিমের ধরণটি নির্বাচন করতে হবে। ৪) জন্ম তারিখ এবং অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং ক্যাপচা কোড এন্টার করতে হবে। ৫) শেষে সাবমিট অপশনে ক্লিক করলে, আবেদনের স্ট্যাটাসটি প্রদর্শিত হবে।
- Related topics -
- রাজ্য
- মমতা ব্যানার্জী
- মুখ্যমন্ত্রী
- প্রকল্প
- নারী
- কন্যাশ্রী প্রকল্প