পর্যটক

পর্যটকদের জন্য সেজে উঠছে রায়দিঘি, কলকাতা থেকে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টার দূরত্বে ছোট ছুটি কাটানোর উপযুক্ত স্থান

পর্যটকদের জন্য সেজে উঠছে রায়দিঘি, কলকাতা থেকে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টার দূরত্বে ছোট ছুটি কাটানোর উপযুক্ত স্থান
Key Highlights

অল্প সময়ের ছুটি কাটাতে কলকাতা থেকে কাছেপিঠে ঘুরে আসার জন্য আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে রায়দিঘি।

সুন্দরবন এবং উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক বছর ধরে জোর দেওয়া হয়েছে পর্যটন শিল্পে। তারই ফলশ্রুতিতে সেজে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিও। পর্যটক টানতে রায়দিঘি বিধানসভার বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থান নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।

জেনে নিন কোন কোন জায়গা নতুন করে সেজে উঠেছে দর্শনীয় স্থান হিসেবে

রায়দিঘির দিঘি

আনুমানিক দশম শতাব্দীতে চন্দ্র রাজারা বৌদ্ধ মঠের পাশে বিশাল দিঘি খনন করেছিলেন বলে কথিত। পরবর্তী কালে রাজা প্রতাপাদিত্যের কাকা বসন্ত রায়ের হাত ধরে সেই দিঘির সংস্কার হয়। আর সেই থেকেই দিঘির নাম রায়দিঘি। এই নামে গোটা এলাকারও নামকরণ হয়েছে। প্রায় ৩০ একর এই দিঘির চার দিকে রয়েছে সুসজ্জিত বাগান।

জটার দেউল

রায়দিঘি থেকে মণি নদী পেরিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে পূর্বজটা গ্রামে রয়েছে জটার দেউল। ইতিহাসবিদ এবং প্রত্নতাত্ত্বিকেরা মনে করেন, এই দেউল আনুমানিক নবম-দশম শতকে নির্মাণ করেছিলেন চন্দ্র বংশীয় রাজা জয়ন্ত চন্দ্র। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংস্কারের ফলে যেমন মূল কাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে, তেমনই পাল্টেছে দেউলের সংস্কৃতিও। 

বড়াশি শিবমন্দির

রায়দিঘির আর একটি দ্রষ্টব্য জায়গা মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের বড়াশি গ্রামে অবস্থিত শিব মন্দির। অনেকে মনে করেন, এই মন্দির সুন্দরবনের সবচেয়ে প্রাচীন শৈবতীর্থ। কথিত আছে, রাজা শশাঙ্ক এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। 

ছত্রভোগ ত্রিপুরাসুন্দরীর মন্দির

আজও সুন্দরবনের ‘ত্রিপুরাসুন্দরী’ এবং ত্রিপুরার ‘ত্রিপুরেশ্বরী’র নাম উচ্চারিত হয় একসঙ্গে। মথুরাপুর এবং ১ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুরের ছত্রভোগে রয়েছে ত্রিপুরাসুন্দরীর মন্দির। ছত্রভোগের ত্রিপুরাসুন্দরীর সেই মন্দির অন্যতম একটি দ্রষ্টব্য স্থান।

দৈনন্দিন জীবনের যাতাকল থেকে বেরিয়ে অল্প দিনের জন্য মানসিক শান্তি উপভোগ করতে হলে অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন এই দর্শনীয় স্থান থেকে।