Durga Puja 2024 | কন্যা সন্তানের আশায় শুরু হয় দূর্গাপুজো, পুরুলিয়ার এই গ্রামে দূর্গা মহিষাসুরমর্দিনী রূপে নয় মাতৃরূপে পূজিত হন
পুরুলিয়ার এক গ্রামে মা পূজিত হন মাতৃ রূপে, কোননা সন্তানের আশায়। পুরুলিয়ার (Puruliya) রঘুনাথপুর ১ ব্লকের আড়রা গ্রামে রাজারাম মিশ্র নামে এক জমিদার পরিবারে কন্যা সন্তানের আশায় শুরু হয় দুর্গাপুজো।
বাংলায় অধিকাংশ জায়গায় মা দূর্গা পূজিত হন মহিষাসুরমর্দিনী রূপে। তবে পুরুলিয়ার এক গ্রামে মা পূজিত হন মাতৃ রূপে, কোননা সন্তানের আশায়। পুরুলিয়ার (Puruliya) রঘুনাথপুর ১ ব্লকের আড়রা গ্রামে রাজারাম মিশ্র নামে এক জমিদার পরিবারে কন্যা সন্তানের আশায় শুরু হয় দুর্গাপুজো। প্রতিমার কোলে থাকে গণেশ। তার দুপাশে রয়েছে সিংহ ও ষাঁড়। তবে এই দুর্গাপুজো শুরু হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে ইতিহাস ও পৌরাণিক কাহিনী।
বলা হয়, রাজারাম মিশ্র নামে এক জমিদার বংশে কোনও কন্যাসন্তান ছিল না। তাই কন্যাসন্তানের আশায় বেনারসের অন্নপূর্ণা মন্দিরে পুজো দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছিলেন পঞ্চকোট রাজ পরিবারের এই জমিদার। তার আগেই হঠাৎই ওই জমিদার একদিন নিজের পুকুরে স্নান সেরে বাড়িতে প্রবেশ করছিলেন, সেইসময় পুকুর পাড়ে লাল পাড় সাদা শাড়িতে থাকা এক ফুটফুটে কিশোরীকে দেখতে পান। ওই কিশোরী বলে ওঠে, এখানেই দুর্গাপূজার সূচনা করলে কন্যাসন্তান মিলবে। তার পর পুজো শুরুর ৫ বছরের মধ্যেই ওই জমিদার বংশে কন্যাসন্তান হয়। এরপর থেকেই জমিদার বাড়িতে মাতৃরূপে দুর্গাপুজোর চল শুরু হয়।
বৈষ্ণবী বৃহৎ নান্দীকেশ্বর মতে এই পুজোয় হয় চালকুমড়ো, ইক্ষু, শশা ও কলা বলি।এবারের পুজো ৩২৭ বছরে পড়েছে। ওই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গড় পঞ্চকোটে এই রাজপরিবারের রাজধানী থাকার সময় রাজা গরুড় নারায়ণ সিং দেও (বলভদ্রশেখর সিং দেও) পুজোর জন্য ওই পরিবারকে ৬২ বিঘা জমি দান করেছিলেন। তখন চালার ঘরে পুজো হতো। এখন অবশ্য মন্দির হয়েছে।
- Related topics -
- উৎসব ২০২৪
- পুজো ও উৎসব
- দুর্গাপুজো
- অন্যান্য
- পুরুলিয়া