“করোনা সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়,” এমনটাই জানালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

Friday, January 21 2022, 4:53 pm
highlightKey Highlights

করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা পাবার জন্য এবার আর মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই, এছাড়াও উঠে গেল ওয়ার্ক ফ্রম হোম। আগের তুলনায় কোভিড নিষেধাজ্ঞা আরও শিথিল করল ব্রিটেন সরকার।


জনসমক্ষে বের হতে গেলে আর মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক নয়। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে করোনার নিষেধাজ্ঞা আরও শিথিল করা হল। দেশের বেশিরভাগ অংশে করোনা সংক্রমণের মাত্রা হ্রাস পাবার ফলে সমস্ত বিধিনিষেধে ছাড় দেওয়া হবে বলে জানালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে জারি হওয়া সমস্ত অতিরিক্ত বিধিনিষেধ তুলে নিল ব্রিটিশ সরকার

গত বৃহস্পতিবার থেকে বাইরে বেরোনোর জন্য ইংল্যান্ডবাসীকে আর মাস্ক পরতে হচ্ছে না। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ প্রথমে এই দেশে শীর্ষে উঠে গিয়েছিল তবে বর্তমানে তা নিম্নমুখী হওয়ায় সেই দেশের সরকারের তরফ থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করা হল।

ইংল্যান্ডে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী
ইংল্যান্ডে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী

জারি হওয়া নির্দেশিকার ফলে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে ইংল্যান্ডবাসী। এবার থেকে কোনও বড় জায়গায় যাওয়ার জন্য কোভিড-১৯ শংসাপত্রও আর দেখাতে হবে না। জনতার ‘পরামর্শের’ ভিত্তিতে এই সপ্তাহ থেকে ইংল্যান্ডের স্কুলগুলিতে শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরার নিয়ম বাতিল করা হবে। চলতি সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রিটেনের জরুরি করোনাভাইরাস আইন প্রত্যাহার করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

গতকাল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ক্যাবিনেট এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে বুস্টার ডোজ দেওয়ার ফলে এবং জনসাধারণ যেভাবে প্ল্যান বি পদক্ষেপে সাড়া দিয়েছে, আমরা ইংল্যান্ডের প্ল্যান এ-তে ফিরে যেতে পারি এবং প্ল্যান বি কে বাতিল করতে পারি। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে কোভিড সংশাপত্র বাধ্যতামূলক থাকবে না। সংস্থাগুলি, অবশ্যই, স্বেচ্ছায় এনএইচএস কোভিড পাস ব্যবহার করতে পারে তবে আমরা ইংল্যান্ডে কোভিড শংসাপত্রের বাধ্যতামূলক ব্যবহারে ইতি টানব।”




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File