Key Highlightsকচু (Winter Food) অনেকেই খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু এক কালে কচুর জন্য জিভে জল চলে আসত। কচু কিভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত, জেনে নেওয়া যাক ।
বর্তমানে ধাবমান সময়ের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে আগের মতন আরাম -আয়েশ করে কেউই আর সেভাবে আহার গ্রহণ করতে পারেন না। আগেকার দিনে কচু শাকের ঘন্ট যেখানে শীতের সময় এককালে খাদ্যরসিক বাঙালিদের পাতে প্রায়ই জায়গা করে নিত, সেখানে আজ অনেকেই কচু শাকের নামই জানে না।

এমনকি এককালে ঠাকুমার তৈরি কচু চিংড়ি বা নারকেল দিয়ে কচু বাটার স্বাদ নিমেষেই যেমন আট থেকে আশির জিভে জল এনে দিত , তেমনি শরীরেরও উপকার সাধনে এটি ছিল অদ্বিতীয়। কচুর সাথে শরীরের উপকারের কী সম্পর্ক, বর্তমানকালে আমাদের অনেকেরই অজানা।

পুষ্টিবিদ মুনমুন সকলকে মরশুমী খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। মুনমুনের মতে প্রত্যেকের মরশুমী খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কচুর উপকারিতা | Benefits of Kachu:
- কচুর শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ,বি,সি,ক্যালসিয়াম ও লৌহ।
- ভিটামিন সি শরীরের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন এ (A) জাতীয় খাদ্য রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
- ভিটামিনের পাশাপাশি কচুতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম থাকে।

- কচু রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
- কচুর শাকে পর্যাপ্ত পরিমানে ফাইবার রয়েছে, যা আমাদের হজম প্রক্রিয়ায় বিশেষভাবে সাহায্য করে।
- কচুর শাকে বিভিন্ন ভিটামিন থাকার কারণে শিশুদের ছোট বেলা থেকেই কচুর শাক খাওয়ানো উচিত।
- উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য কচু খুবই উপকারী।
শুধু কচু নয়, মৌরসুমী খাবার সকলের খাওয়া উচিত। তাতে শুধু নানারকম খাবারই থাকে না, স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী।
তাই পরিশেষে একটা কথাই বলার , নিজেকে সুস্থ রাখতে চাইলে হারিয়ে যাওয়া কিছু বাংলা পদকে নিজের খাবারের পাতে ফিরিয়ে আনুন । কেবলমাত্র সুস্থতাই উপহার হিসেবে পাবেন না, তার সাথে হবে আপনার রসনা তৃপ্তি ও ।
- Related topics -
- স্বাস্থ্য
- লাইফস্টাইল
- পেটপুজো








