বাণিজ্য

Mutual Fund | মিউচুয়াল ফান্ডে বিনোয়োগ করার আগে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন অবশ্যই! নাহলেই হতে পারে ক্ষতি!

Mutual Fund | মিউচুয়াল ফান্ডে বিনোয়োগ করার আগে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন অবশ্যই! নাহলেই হতে পারে ক্ষতি!
Key Highlights

বর্তমানে অনেকেই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে থাকেন। এক্ষেত্রে সেনসেক্স ও এনএসই নিফটি দুরন্ত গতির সাক্ষী হয়। তবে শেয়ার বাজারের ক্ষেত্রে থাকে ঝুঁকি। ফলে যারা বিনোয়োগ করতে চান তারা এই ঝুঁকির ভয়ে অনেক সময় পিছুপা হন। তবে এক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ড (mutual funds) হতে পারে একটি ভাল বিকল্প। তবে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের আগেও বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। নাহলে সারা জীবনে লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন বিনিয়োগকারীরা।

বর্তমানে অনেকেই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে থাকেন। এক্ষেত্রে সেনসেক্স ও এনএসই নিফটি দুরন্ত গতির সাক্ষী হয়। তবে শেয়ার বাজারের ক্ষেত্রে থাকে ঝুঁকি। ফলে যারা বিনোয়োগ করতে চান তারা এই ঝুঁকির ভয়ে অনেক সময় পিছুপা হন। তবে এক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ড (mutual funds) হতে পারে একটি ভাল বিকল্প। তবে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের আগেও বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। নাহলে সারা জীবনে লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন বিনিয়োগকারীরা।

মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন?

  •  মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির কাজের প্রক্রিয়াটি সবচেয়ে সুনির্দিষ্ট বিষয়। মিউচুয়াল ফান্ডের পছন্দের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যে জিনিসটি দেখা উচিত তা হল সংশ্লিষ্ট তহবিলের কার্যপ্রণালী।
  • মিউচুয়াল ফান্ড বেছে নেওয়ার আগে দেখুন আপনার ফান্ড হাউস কীভাবে ঝুঁকিগুলি পরিচালনা করে।
  •  কোনও বিনিয়োগই অতীতের রিটার্ন দেখে করা উচিৎ না। মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে আলফা, বিটার মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় থাকে যা না জেনে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা বেশ ঝুঁকি সাপেক্ষ।
  • যাঁরা বিনিয়োগ করেন তাঁদের অনেকেই অনেক সময় খেয়াল করেন না তাঁরা তাঁদের লভ্যাংশের কত অংশ মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজারকে বা তাঁর এজেন্টকে ফি হিসাবে দিচ্ছেন। কোনও নিয়মিত বিনিয়োগকারী যদি এই বিষয়ে খেয়াল রেখে বিনিয়োগ না করে থাকেন, তাহলে তিনি অনেক বড় ভুল করছেন।
  • ফান্ড তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাজারের অবস্থা দেখে তারপরই সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।
  • বিনিয়োগ করার আগে পরিকল্পনা করুন বাজারে ইক্যুইটি ফান্ড, ডেট ফান্ড বা হাইব্রিড ফান্ড ইত্যাদির মতো অনেকগুলি মিউচুয়াল ফান্ডের বিকল্প রয়েছে। তবে সেই ক্ষেত্রেও বিনিয়োগের আগে সবকিছু সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেওয়া খুবই জরুরি। আপনার বিনিয়োগের সম্ভাবনা, প্রত্যাশিত রিটার্ন ও বিনিয়োগের সময় এই সব বিষয়গুলি হিসেব করার পরেই বিনিয়োগের বিকল্পটি বাছুন। 
  •  যদি কম ঝুঁকিপূর্ণ ফান্ডে বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে ডেট ফান্ডে আপনার অর্থ বিনিয়োগ করুন। বেশি ঝুঁকি নিতে পারলে হাইব্রিড ফান্ড বেছে নিতে পারেন।
  •  এক বিকল্পে সব বিনিয়োগ করবেন না বিনিয়োগ করার সময় সব লগ্নি এক জায়গায় রাখবেন না। পরিবর্তে আপনার অনেকগুলি বিকল্প (মিউচুয়াল ফান্ড বিকল্প) বেছে নেওয়া উচিত। এরফলে বিনিয়োগের ঝুঁকি কমবে। 
  • মিউচুয়াল ফান্ডে SIP-তে বিনিয়োগ করার আগে স্বল্পমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদী কোথায় বিনিয়োগ করলে বেশি লাভ সেটা জেনে নিন। তবেই আপনি রিটার্ন সম্পর্কে একটা ধারণা পাবেন। এর মাধ্যমে আপনি আপনার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন।

প্রধানত উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়োগকারী হিসাবে মাথায় রাখলেই ঝুঁকি অনেকটা কমবে। তবে মাথায় রখবেন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। ফলে বিনিয়োগ করার আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি অবশ্যই ভাল ভাবে পড়ে নেওয়া উচিত।