বয়স ৪০-এর গণ্ডি পেরোলেই ত্বকে শিথিলতা-সহ ব্রণ, দাগ-ছোপ হারাতে শুরু করে। ফলে ত্বককে আরও বিধ্বস্ত দেখায়। কিন্তু নিয়মিত ঘরোয়া টোটকাতেই মিলবে সুরাহা।
সৌন্দর্য শুধুমাত্র বাজারজাত বিভিন্ন পণ্য বা মেকআপ থেকে আসে না। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর জীবনধারা; যেমন - পর্যাপ্ত ঘুম, মরসুমি ফল-সবজি আহার, পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান ইত্যাদি মেনে চললে আপনার ত্বক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য থাকবে ভালো।
সেলেব্রিটিদের মতে, আমাদের ত্বকই হল আমাদের খাদ্যাভাসের প্রতিবিম্ব অর্থাৎ আপনি যা খান তা ত্বকে প্রকাশ পায়। এমন পরিস্থিতিতে খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আপনার ডায়েটে পুষ্টিসমৃদ্ধ জিনিস অন্তর্ভুক্ত করেন তবে আপনি কিছুদিনের মধ্যেই উন্নতি দেখতে পাবেন। শুধু তাই নয়, এই পুষ্টিগুণ বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতেও সহায়ক। নিয়মিত কয়েকদিন খেলে আপনিই নিজের পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
ভেজিটেবল জুস | Vegetable juice:
বিভিন্ন সবজি থেকে তৈরি রস বা জুস আপনার ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। প্রকৃতপক্ষে, এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ফাইবার ইত্যাদি সমৃদ্ধ থাকে, যা শরীর থেকে বিষাক্ত (টক্সিন) পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
বিশেষত, প্রতিদিন খালি পেটে এক গ্লাস সবজির রস খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
খালি পেটে পাকা পেঁপে | Ripe papaya:
ফাইবার সমৃদ্ধ পেঁপে শুধু পরিপাক তন্ত্রকেই পরিষ্কার রাখে, তা নয় বরং শরীরে যথেষ্ট শক্তিও জোগায়। এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, তবে যদি ত্বকের কথা বলা হয়, এই ফল নিস্তেজ ও প্রাণহীন ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করে। সকালে খালি পেটে এটি খেলে একটি নয়, অনেক উপকার পাওয়া যাবে। এটি ত্বকের সমস্যার জন্য দায়ী কোষগুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
আয়ুর্বেদ পানীয় | Ayurveda drink:
সকালে খালি পেটে কুসুম গরম জল খুবই উপকারী, তবে আপনি যদি তারুণ্য ও উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে চান তাহলে বিশেষ কিছু জিনিস অন্তর্ভুক্ত করুন। যেমন জোয়ানের জল, জিরে ভেজানো জল, মৌরি জল। এটি সঠিক হজমশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি শরীরে উপস্থিত টক্সিনকেও দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ঘরোয়া জিনিস থেকে তৈরি এই ওষধি জল খেলে খুব তাড়াতাড়ি পার্থক্য দেখতে পাবেন।
ভেজানো বাদাম | Soaked almonds:
বাদাম সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বাদামে রয়েছে ওমেগা-৩, ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, যা ত্বকের জন্য সেরা কিছু উপাদান। খালি পেটে সীমিত পরিমাণে এটি খেলে ত্বক নমনীয় হয় এবং বলিরেখা ও ফ্রেকলের সমস্যা কম হওয়ার পাশাপাশি এটি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে।
এই খাদ্যগুলি নিয়মিত খেলে আপনিও বলিরেখাহীন উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হবেন।
- Related topics -
- সৌন্দর্য্য
- লাইফস্টাইল
- উজ্জ্বল ত্বক
- ত্বক
- সুষম আহার