অন্যান্য

Holi | দোল পূর্ণিমার দিনে পালিত এই বর্ণিল উৎসবের নেপথ্যে রয়েছে একাধিক পৌরাণিক কাহিনী!

Holi | দোল পূর্ণিমার দিনে পালিত এই বর্ণিল উৎসবের নেপথ্যে রয়েছে একাধিক পৌরাণিক কাহিনী!
Key Highlights

ফাল্গুন মাসের পূ্র্ণিমা তিথিতে প্রতিবছর দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। দোল ও হোলি তবে দুটি জিনিস এক হলেও এই উৎসবের নেপথ্যে রয়েছে পৌরাণিক কারণ।

হোলির রং (holi colours) এ মেতে উঠেছে গোটা দেশ। ২০২৪ সালের হোলি (holi in 2024) পড়েছে ২৫ সে মার্চ, সোমবার। হিন্দু ধর্মের কাছে এই উৎসব বর্ণিল ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয়। বাংলা ও ওড়িষা ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন স্থানে দোল উত্‍সব মহাসমারোহে পালিত হয়। দেশের অন্যান্য স্থানে, বিশেষ করে উত্তরভারতে দোল যাত্রা হোলি নামে পরিচিত।

অন্যদিকে, দোল উত্‍সবের অপর নাম হল বসন্তোত্‍সব। ফাল্গুন মাসের পূ্র্ণিমা তিথিতে প্রতিবছর দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। দোল ও হোলি তবে দুটি জিনিস এক হলেও এই উৎসবের নেপথ্যে রয়েছে পৌরাণিক কারণ। 
 কেবল ভারত নয় দেশের বাইরে বিদেশিদের মধ্যেও দোল পূর্ণিমা (Dol Purnima) এর দোল বা হোলি উৎসবের প্রচলন দেখা যায়। তবে এই দোল বা হোলির অর্থ এক হলেও দুটি ভিন্ন অনুষ্ঠান। বৈষ্ণবদের মতে, দোল পূর্ণিমা (Dol Purnima) এর দিন শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে শ্রীরাধা ও অন্যান্য গোপীদের সঙ্গে রঙ খেলায় মত্ত ছিলেন। সেখান থেকেই দোলযাত্রার শুরু। ১৪৮৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, দোল পূর্ণিমা তিথিতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মগ্রহণকে কেন্দ্র করেও এই মহোত্‍সব পালন করা হয়। এই তিথিকে গৌর পূর্ণিমাও বলা হয়। তবে শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর সঙ্গী-সাথীরা গোপীদের সঙ্গে রঙ খেলার অনুষ্ঠানই এই দোলযাত্রার মূল কেন্দ্রবিন্দু। শ্রীকৃষ্ণের লীলা কবে থেকে শুরু হয়েছিল, তা জানা না গেলেও বিভিন্ন পুরাণ ও গ্রন্থে সেই মধুর ও রঙিন কাহিনির উল্লেখ রয়েছে।


এছাড়া হিন্দু পুরাণে প্রায় ২ হাজার বছর আগে, ইন্দ্রদ্যুম্নের দ্বারা গোকুলে হোলি খেলা প্রচলনের উল্লেখ রয়েছে। তবে ইতিহাস বলছে প্রাচীন ভারতে ইন্দ্রদ্যুম্নের নাম একাধিকবার রয়েছে। তাই এই ইন্দ্রদ্যুম্ন আদতে কে ছিলেন, সেই নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।আবার বসন্ত পূর্ণিমার দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, কেশি নামে একজন অসুরকে বধ করেন। কেশি একজন অত্যাচারী এবং নিষ্ঠুর অসুর ছিলেন। এর জন্য এই অত্যাচারী অসুর দমন হওয়ার জন্য এবং অন্যায় শক্তি ধ্বংস হওয়ার জন্য আনন্দ উৎসবে এই দিনটি উদযাপিত হয়ে থাকে।


অন্যদিকে, পৌরাণিক মতে প্রহ্লাদ ধার্মিক ছিলেন। তাই তাকে হত্যা করা সহজ ছিল না। কোনোভাবেই তাকে হত্যা করা যাচ্ছিল না। তখন হিরণ্যকশিপুর তার ছেলেকে পুড়িয়ে মারার নির্দেশ দেন। অন্যদিকে হোলিকা আগুনে কোন দিন ক্ষতি হবে না এই বর পেয়েছিল। তাই প্রহ্লাদকে হত্যা করার জন্য হোলিকা সিধান্ত নেয় সে প্রহ্লাদকে নিয়ে আগুনে ঝাঁপ দেবে এবং সে প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে একদিন আগুনে ঝাঁপও দেয়।কিন্তু হোলিকার বর পাওয়া সত্ত্বেও সেদিন শেষ রক্ষা হয়নি। প্রহ্লাদ বিষ্ণুর আশীর্বাদে বেঁচে যায়। কিন্তু আগুনে ভস্ম হয়ে যায় হোলিকা। সেই দিনটি থেকে পালন করা হয় হোলি বা দোল উৎসব।

হোলিকার এই কাহিনি চাঁচর বা হোলিকা দহন নামে পরিচিত, যা দোলের আগের দিন পালন করা হয়। যা সাধারণত ন্যাড়া পোড়া বলে অভিহিত। অনেক আবার হোলিকার উদ্দেশ্যে মাটির পুতুল বানিয়ে ওই শুকনো ডালপালার ঘরে রেখে জ্বালিয়ে দেয়। ওই দিনটি মানুষ নানা ভাবে পালন করে থাকে এবং পরের দিন পালন করা হয় দোল উৎসব। হিন্দুধর্মের এই গুরুত্তপূর্ণ উৎসবকে ঘিরে অনেক মতামত ও কাহিনী রয়েছে। প্রতিবছরই এই দিনে ছোট থেকে বড় সকলে হোলির রং (holi colours) এ একে অপরকে রাঙিয়ে তোলেন এবং মিষ্টিমুখ করে আনন্দ ভাগ করে নেন।