যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারত সরকার! কয়েক দশক পুরনো টেলিকম আইন বদলে সেক্টরে আমূল পরিবর্তন আনছে কেন্দ্র।
দেশের উন্নয়নের মেরুদণ্ড হিসেবে টেলিকমিউনিকেশন সেক্টর যথেষ্ঠ পরিচিত। কিন্তু টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত কিছু পুরোনো আইন কয়েক দশক পুরনো আইনের জন্য দেশের উন্নয়নের মেরুদণ্ডের বড় ব্যথা হয়ে উঠেছিল।
সম্প্রতি ভারত সরকার সেই পুরনো আইন বদলানোর পরিকল্পনা করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য হল, কোম্পানিগুলো একে অপরের সঙ্গে বিলীন হোক, বিস্তার আর ব্যবসা করার জন্য আমলাদের থেকে অজস্র অনুমতি নেওয়ার দরকার না পড়ুকএবং ভবিষ্যতে তাঁদের আদালতে যেন মামলা লড়ার কোনো প্রয়োজন না হয়।
সংবাদসংস্থা 'দ্য মিন্ট'-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় দূর সঞ্চার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২১ নয়া দিল্লিতে নিজ কার্যালয়ে একটি সাক্ষাৎকারে সরকারের এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনার কথা জানান।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকেই ভারত সরকার জনস্বার্থে এমন রাস্তা খুঁজছে, যাতে টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরের ব্যবসা করতে সহজ হয়, আর কোনো জটিলতা না থাকে। দেশের টেলিকম এখনও ১৮৮৫ সালের আইনেই চলছে। সমস্ত কিছুর পরিবর্তন হলেও টেলিকম ৬০-৭০ বছরের পুরনো রেগুলেশনেই শাসিত। পুরোনো আইনকে নতুনভাবে আর উন্নত করতে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার।
দূর সঞ্চার মন্ত্রীর মতে, ভারতের কোটি কোটি মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য একটি সম্পত্তিশালী টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির দরকার। প্রসঙ্গত, সাউথ কোরিয়া এবং চীনের মতো দেশগুলি অনেক আগে থেকেই ফাইভ-জি (5G) নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে। আশা করা যায়, আগামী বছরের (২০২২) অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ভারতেও 5G পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে।
- Related topics -
- দেশ
- প্রযুক্তি
- আইন
- ভারতবর্ষ
- নরেন্দ্র মোদি
- প্রধানমন্ত্রী