রাজনৈতিক

Panchayat Election | ব্যালট চুরি, খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ! সাঁকরাইল, হাবড়া-সহ একাধিক জায়গায় ফের নির্বাচন!

Panchayat Election | ব্যালট চুরি, খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ! সাঁকরাইল, হাবড়া-সহ একাধিক জায়গায় ফের নির্বাচন!
Key Highlights

পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকে গোটা রাজ্যে শুরু হয় অশান্তি। ব্যালট খেয়ে নেওয়া, ভোট চুরির মতো অভিযোগ উঠে আসে একাধিক বুথ থেকে। সেই সব বুথ-সহ আরও বুথে আবারও নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি নির্বাচন কমিশনের।

এখনও রাজ্য থেকে সরলো না পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) ছায়া। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই শুরু হয় অশান্তি। ৩৫ দিনে রাজ্যে কেবল ভোটের কারণেই প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪৭ জন। নির্বাচনের দিন ও গণনাতেও দেখা গিয়েছে । ব্যালট ছিনতাই, লুঠ, ব্যালট গিলে নেওয়ার মতো ঘটনা। যার ফলে গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণার পরেও একাধিক জেলায় একাধিক আসনে ভোট বাতিলের ঘোষণা করা হয়েছে। এবার সেইসব কেন্দ্রগুলোতেই নতুন করে নির্বাচন ঘোষণা করলো রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)।

আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়, হাওড়ার সাঁকরাইলের (Sankrail, Howrah) ১৫টি বুথে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার ছিনতাই করা হয়। অভিযোগ,  সাঁকরাইলে তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পাল (Trinamool MLA Priya Pal) লুঠ করেন ব্যালট। পরে ভোট গণনায় দেখা যায় ১৫টি বুথেই শাসক দল তৃণমূল জয়ী হয়েছে। ফলে ওই বুথগুলিতে ভোট গণনার কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে সাঁকরাইলের ১৫টি বুথে ফের নির্বাচন হবে।

পাশাপাশি ফের ভোট হবে সিঙ্গুরের (Singur) ১৩ নম্বর নেতাজি জয়ন্তী পাঠাগারের একটি বুথে, উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার (Habra) পুমলিয়া স্কুলে দুটি বুথে। এই সব বুথেই ব্যালট চুরি হওয়ার অভিযোগ ওঠে। যার ফলে বিডিও-র (BDO) রিপোর্টের ভিত্তিতে ওই সব বুথে নতুন করে ভোটের নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে এই ভোটগুলি কবে কবে হবে তা এখনও অনিশ্চিত।

২৩ এর পঞ্চয়ের নির্বাচনে প্রায় গোটা রাজ্য থেকেই এসেছে অশান্তির অভিযোগ। ফলে শনিবারের পর ফের সোমবার ৬৯৬টি বুথে পুনর্নিবাচনও হয়। এরপর মঙ্গলবার থেকে শুরু হয় ভোটগণনা, যা শেষ হয় গতকাল অর্থাৎ বুধবার। তবে গণনার সময়ও নানা অপ্রীতিকর ঘটনাই উঠে আসে শিরোনামে। বোমাবাজি, গোলাগুলি, খুন, মারধরের অভিযোগ আসে লাগাতার। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বুথ ধরে ধরে বিরোধীদের যে অভিযোগ জমা পড়েছে, তার ভিত্তিতে নড়ে বসেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কারণ, হাইকোর্ট শুধু কমিশনকে দায়ী করছে না, বিডিও ও ভোট কর্মীদের কাছেও কৈফিয়ত তলব করছে। তাই স্বচ্ছতা প্রমাণের জন্য ফের কিছু বুথে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।