SSR Murder case | মৃত্যুর ২৮ মাস পর চাঞ্চল্যকর দাবি হাসপাতালের মর্গের এক কর্মীর
রহস্যে নয়া মোড়! আত্মহত্যা নয়, "খুন করা হয়েছিল" সুশান্তকে! তার দেহ এবং গলায় একাধিক ক্ষতের দাগ ছিল। কর্তৃপক্ষকে জানালেও ‘নীতি’ মেনে কাজ আদেশ।
তারিখটা ছিল ১৪ই জুন, ২০২০,মাত্র ৩৪ বছর বয়সী অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত-কে তার বান্দ্রার বাসভবন থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে গোটা দেশজুড়ে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বাসরোধের কারণে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু হয়।
তাঁর মৃত্যুর পর প্রায় আড়াই বছর কেটে গেছে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে হঠাৎ মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালের মর্চুরি ইউনিটের একজন স্টাফ সদস্য দাবি করেছেন যে তার অভিনেতার মৃত্যু আত্মহত্যা বলে মনে হয়নি। এরকম এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্যের জেড়ে এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালের মর্চুরি সার্ভেন্ট রূপকুমার শাহ বলেন, "আমার ২৮ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা ছিল। যখন আমি সুশান্তের শরীর পর্যবেক্ষণ করি, তখন এমন কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি যা সাধারণত ফাঁসির ক্ষেত্রে পাওয়া যায়। তার শরীরে ফাটলের চিহ্ন ছিল। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট লেখা ডাক্তারের কাজ। কিন্তু, তার ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুকালীন ছবি দেখে সবাই বলতে পারবে যে তাকে খুন করা হয়েছে। যদি তদন্তকারী সংস্থা আমাকে ফোন করে, আমিও তাদেরকেও এই একই কথা বলব।"
When I saw Sushant Singh Rajput’s body, it did not appear to be a case of suicide. Injuries marks were there on his body. I had over 28 years of experience. I went to my senior but he said we will discuss it later.
সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল, আত্মহত্যাই করেছেন সুশান্ত। যদিও তাঁর পরিবার প্রথম থেকেই দাবি করে, খুন করা হয়েছিল তাদের ছেলেকে। মু্ম্বই পুলিশের পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED), নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB) এবং সিবিআই (CBI) সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত করেছিল। এমনকি সুশান্তের জন্য মাদক জোগাড়ের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁর বান্ধবী তথা অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী।
প্রয়াত সুশান্ত সিং রাজপূত, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ড্রপ আউট হওয়ার পর সুশান্ত ২০০৮ সালে টিভি সিরিয়ালে প্রবেশ করার আগে একজন থিয়েটার শিল্পী হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং শেষ পর্যন্ত একজন পূর্ণাঙ্গ বলিউড তারকা হয়ে ওঠেন।
তিনি 'কাই পো চে' (Kai Po Che) দিয়ে তার বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং তার সদয় অঙ্গভঙ্গির জন্য পরিচিত ছিলেন, এবং সর্বদা তার ভক্তদের সাথে অত্যন্ত আনন্দের সাথে আচরণ করতেন, তিনি তার সবচেয়ে বড় সাফল্য 'এমএস ধোনি - দ্য আনটোল্ড স্টোরি' (M.S. Dhoni: The Untold Story) এর পরে প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তার শেষ বড়-পর্দায় উপস্থিতি ছিল 'ছিছোরে' (Chhichhore) যা ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল এবং এটি একটি ব্লকবাস্টার হিট ছিল।