Howrah South Point Foundation | ৫০ বছর ধরে প্রতিবন্ধী ও দুস্থ শিশুদের অভিভাবক হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার আন্ড কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার!

Friday, April 26 2024, 2:31 pm
highlightKey Highlights

১৯৭৬ সালে ফাদার ফ্রাঁসোয়া লাবোর্দের হাত ধরে পথচলা শুরু এইচএসপি সংস্থার। প্রায় ৫০ বছর ধরে এই সংস্থা প্রতিবন্ধী ও দরিদ্রদের জন্য স্কুল, হোম, হাসপাতাল, নারী-শিশু কল্যাণ কেন্দ্র দ্বারা প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষকে উপকৃত করে চলেছে।


প্রতিবন্ধী ও দুস্থ শিশুদের পাশে অভিভাবকের মতো রয়েছে হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থা (Howrah South)। এক ফরাসি যাজক, ফাদার ফ্রাঁসোয়া লাবোর্দের হাতে তৈরী এই সমাজসেবী সংস্থা যেমন সমাজের আড়ালে থাকা বিশেষভাবে সক্ষম ও দরিদ্র বাচ্চাদের ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেয়, তেমনই নানান থেরাপি-শিক্ষা বৃত্তিক ও সমাজ বৃত্তিক কাজের মাধ্যমে তাদের জীবন পরিচালনার দৌড়ে এগিয়ে যেতেও সাহায্য করে থাকে। হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থা কেবল হাওড়াতেই সীমাবদ্ধ নয়, জলপাইগুড়িতে চারটি এবং আসানসোলে একটি কেন্দ্র রয়েছে তাদের। এ ছাড়া, সারা বছর ধরে এখানে স্বেচ্ছাসেবকরা আসেন ফ্রান্সের মতো দেশ থেকে। এইচএসপির প্রতিবন্ধী ও দরিদ্র বাচ্চাদের সাহায্য করার সঙ্গে সঙ্গে এই বিদেশী সমাজসেবীরাও যেন আপন করে নেন এদেশের, বাঙালির কালচার। বলে রাখা ভালো, এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা, অর্থাৎ ফাদার ফ্রাঁসোয়া লাবোর্দ জন্মগতভাবে ফরাসি হলেও, মনে প্রাণে ছিলেন ভারতীয়। এমনকি বিশ্বখ্যাত বই 'সিটি অব জয়' এর নামের পিছনে বড় অবদান রয়েছে ফাদার লাবোর্দের!

'সিটি অব জয়' ও ফাদার ফ্রাঁসোয়া লাবোর্দের হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থা! | 'City of Joy' and Father Francois Laborde's Howrah South Point Foundation!

Trending Updates

ফাদার ফ্রাঁসোয়া লাবোর্দের জন্ম প্যারিসে, ১৯২৭ সালে। দর্শনে স্নাতক হওয়ার পর তিনি ধর্মযাজক হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৬৫ সালে বিশিষ্ট ভারতীয় শিক্ষাবিদ ম্যালকম আদিসেশাইয়ার কাছে জনসংখ্যা বিষয়ে গবেষণা করতে লাবোর্দে চলে আসেন চেন্নাইয়ে। এরপর পিলখানার বস্তিতে প্রতিবন্ধী শিশুদের অত্যন্ত কঠিন অবস্থা এবং তাদের অসুবিধার সমাধানের জন্য এবং তাদের সাহায্যের জন্য হাওড়ার আন্দুল রোডে সাতের দশকে, কলকাতার আর্চবিশপ, কার্ডিনাল লরেন্স পিকাচির সাহায্যে বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের জন্য ফাদার গড়ে তোলেন একটি হোম। এই ভাবেই পথ চলা শুরু হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থার। জন্মগতভাবে তিনি ফরাসি হলেও ভারতে বেশ কয়েক বছর কাটানোর পর মনে প্রাণে ফাদার হয়ে ওঠেন ভারতীয়। এখানকার মানুষগুলোকে যেমন আপন করে নিয়েছিলেন তেমনি আপন করে নিয়েছিলেন এখানকার সংস্কৃতি, থাকা খাওয়া সবটাই। ফলে সাতের দশকেই তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। ২০২০ সালের ২৫সে  ডিসেম্বর ফাদার ফ্রাঁসোয়া লাবোর্দের প্রয়াণ ঘটে। তবে থেমে  থাকেনি হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থা। ১৯৭৬ সাল থেকে দরিদ্র, প্রতিবন্দী বাচ্চাদের সেবা করে চলেছে ফাদার ফ্রাঁসোয়া লাবোর্দের হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থা। আন্দুল রোডে একটা হোম থেকে শুরু করে বর্তমানে হাওড়া ও জলপাইগুড়িতে রয়েছে এঁদের চারটি করে এবং আসানসোলে একটি কেন্দ্র। বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল, দুস্থদের জন্য অপ্রাথমিক শিক্ষা-ব্যবস্থা, হোম, নারী-শিশু কল্যাণ কেন্দ্র থেকে উপকৃত হচ্ছেন প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ। এই পরিষেবা দেওয়ার জন্য রয়েছেন আড়াইশোর উপর কর্মী। এ ছাড়া, সারা বছর ধরে স্বেচ্ছাসেবকরা আসেন ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের মতো দেশ থেকে।

ফাদার ফ্রাঁসোয়া লাবোর্দের প্রসঙ্গত উঠলে মূলত আরও দুটি প্রসঙ্গ উঠে এসেই। একটি অতি অবশ্যই হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থা এবং আরেকটি হলো 'সিটি অব জয়'! হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থা প্রতিষ্ঠা করার সময়কালে ফাদারের আলাপ হয় জনপ্রিয় লেখক দোমিনিক লাপিয়েরের (Dominique Lapierre) সঙ্গে। এই আলাপচারিতায় মুগ্ধ হয়ে লাপিয়ের ফাদারের সংগঠনের জন্য আর্থিক সাহায্যের অঙ্গীকারও করেন। এমনকি লাপিয়েরের বিখ্যাত উপন্যাস 'সিটি অফ জয়' (City of Joy) এর একটি চরিত্র ফাদার লাবোর্দের আদলেই গড়া। পাশাপাশি এই বইয়ের নামকরণের নেপথ্যেও রয়েছেন ফাদার।

হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থার সমাজসেবী কর্মকান্ড । Howrah South Point Foundation's Social Service Activities :

হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থা স্কুল, হোম, নারী-শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে  সমাজসেবী কাজ করে থাকে। এখানে যেমন প্রতিবন্দী ও দুস্থ বাচ্চাদের আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে, তেমনি ব্যবস্থা রয়েছে বিদ্যালয়, চিকিৎসা, সাইকোথেরাপি ও ফিজিওথেরাপির ব্যবস্থাও।

 হোম । Home :

হাওড়া, জলপাইগুড়ি, আসানসোল নিয়ে  হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থার মোট ৯তা হোম রয়েছে।

সেন্ট মেরিজ হোম (Saint Mary's Home)  :

২০০৪ সালে  প্রতিষ্ঠিত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থার সেন্ট মেরিজ হোম। আশানীড় সেন্ট মেরি'জ হোম মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী, অর্থোপেডিকভাবে প্রতিবন্ধী এবং সামাজিকভাবে নিঃস্ব শিশুদের জন্য নির্ধারিত। এখানে প্রায় ৫৫টি শিশু রয়েছে।

লালকুঠি হোম (Lalkuthi Home) :

১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থার লালকুঠি হোম। লালকুঠি হোম ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী অস্থির প্রতিবন্ধী এবং সামাজিকভাবে প্রতিবন্ধী, মানসিক প্রতিবন্ধী, নিঃস্ব মেয়েদের জন্য তৈরী। এখানে প্রায় ৩০জন মেয়ে রয়েছে।

ইপিএন হোম (EPN Home) :

হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থার ইপিএন হোম ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী সামাজিকভাবে নিঃস্ব ছেলে এবং মেয়েদের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

বাকসাড়া হোম (Baksara Home) :

হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থার বাকসাড়া হোম ১৯৯৩ সালে সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে প্রায় ৭০টি শিশু রয়েছে। বাকসাড়া হোমটি পরিবারের জন্য আবাসন এবং একটি স্কুল সহ একটি কমপ্লেক্সের সাথে নির্মিত হয়েছিল। এটি ৮ থেকে ১৮ বছর বয়সী সামাজিকভাবে প্রতিবন্ধী শিশু, ছেলে ও মেয়েদের জন্য প্রতিষ্ঠিত। এখানে কিছু মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুও রয়েছে।

জোড়দিঘি হোম (Jordighi Home) :

হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থার জলপাইগুড়ি শাখার জোড়দিঘি হোমটি ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি দরিদ্র এবং প্রান্তিক পরিবার থেকে আসা ভিন্নভাবে সক্ষম শিশুদের পুনর্বাসন এবং শিক্ষার জন্য তৈরী হয়। এখানে ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলেরা প্রধানত অর্থোপেডিকভাবে প্রতিবন্ধী (সেরিব্রাল পালসি, জন্মগত ত্রুটি) এবং সামাজিকভাবে প্রতিবন্ধী শ্রেণি অনুসারে তিনটি ইউনিটে থাকে।

মারিয়া বস্তি হোম (Maria Basti Home) :

হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থার জলপাইগুড়ি শাখার মারিয়া বস্তি হোম ১৯৮২ সালে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রতিবন্ধী মেয়েদের জন্য তৈরী করা হয়।এদের বেশিরভাগেরই প্রতিবন্ধী, মৃগীরোগ এবং কেউ কেউ গুরুতর প্রতিবন্ধী। এই হোমের বাসিন্দারা ছাগলের মতো প্রাণীর যত্ন নেওয়া, সবজি বাগানে সহায়তা করা, পাটের কাজ, মোমবাতি তৈরি, ধূপ তৈরি এবং সূচিকর্মের মতো বৃত্তিমূলক কাজে অংশ গ্রহণ করেন।

মোগরাডাঙ্গী হোম (Mogradangi Home) :

অর্থোপেডিক এবং সামাজিকভাবে প্রতিবন্ধী ৫৮ জন শিশু, ছেলে এবং মেয়ে কে নিয়ে ১৯৮৩ সালে জলপাইগুড়ি জেলার একটি ছোট গ্রামে হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থার  মোগরাডাঙ্গী হোমের পথ চলা শুরু

বাকুয়াবাড়ি হোম (Bakuabari Home) :

হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থার জলপাইগুড়ি শাখার বাকুয়াবাড়ি হোমে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পলসি, একাধিক অক্ষমতা, অটিস্টিক এবং ধীরগতির শেখার শিশুদের জন্য তৈরী। এটি ১৯৮৬সালে প্রতিষ্ঠিত।এখানে তিনটি সম্প্রদায় রয়েছে: জীবন পথ (১৯৮৬), নির্মলা নিবাস (১৯৮৯) এবং আনন্দ ধারা (২০০০)। আনন্দ ধারা বড় মেয়েদের জন্য আর নির্মলা নিবাস ছোট মেয়েদের জন্য। বিশেষ যত্নের প্রয়োজন শিশুরা বাড়ির সাথে সংযুক্ত মানুস ডোমিনি স্পেশাল স্কুলে যায়।

কালীপাথর হোম (Kalipathar Home) :

হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থার আসানসোল শাখার কালীপাথর হোম ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। হোমটি মূলত মাদার তেরেসার এমসি সিস্টারদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত শান্তিনগর গ্রামের আনন্দভবন হোম কুষ্ঠরোগী কলোনির শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

বিদ্যালয় । School :

হাওড়া, জলপাইগুড়ি, আসানসোল নিয়ে  হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থার মোট ১১টা প্রথাগত ও সাধারণ বিদ্যালয় রয়েছে।

হাওড়া শাখা :

হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থার হাওড়া শাখায় প্রথাগত বিদ্যালয় রয়েছে দুটি-বাকসাড়া বিদ্যালয় (Baksara Vidyalaya) ও ইপিএন স্কুল (EPN School)।  বিদ্যালয় স্কুলে শিক্ষার মাধ্যম হিন্দি, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। ইপিএন স্কুলে শিক্ষার মাধ্যম হিন্দি এবং বাংলা উভয়ই, চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত। এছাড়া হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থার হাওড়া শাখার বিশেষ বিদ্যালযয়ের মধ্যে রয়েছে প্রজ্ঞালয়া, বিশেষভাবে চাহিদা সম্পন্নদের স্কুল (Prognalaya SP School), অঙ্কুরহাটি সুলতানপুর নন ফর্মাল স্কুল (Ankurhati NF School), ইপিএন নন ফর্মাল স্কুল (EPN Non Formal School), বাকসাড়া নন ফর্মাল স্কুল (Baksara NF School)।

 জলপাইগুড়ি শাখা :

হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থার জলপাইগুড়ি শাখায় প্রথাগত বিদ্যালয় রয়েছে একটি-শান্তি রানী স্কুল (Shanti Rani School)। মোগরাডাঙ্গী হোমের প্রতিবন্ধী শিশু এবং স্থানীয় শিশুরা বাংলা মাধ্যমে নার্সারি স্তর থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত এখানে পড়াশোনা করে। এছাড়া জলপাইগুড়ি শাখায় আরও দুটি বিশেষ বিদ্যালয় রয়েছে-অপ্রথাগত শিক্ষার জন্য শিকারপুর এনএফ স্কুল (Shikarpur NF School), বিশেষভাবে চাহিদা সম্পন্নদের মানুস ডোমিনি এসপি স্কুল (Manus Domini SP School)।

আসানসোল শাখা:

হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থার আসানসোল  শাখায় একটিই প্রথাগত বিদ্যালয় রয়েছে-কালীপাথর স্কুল। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত, কালিপাথার স্কুল একটি হিন্দি মাধ্যম স্কুল। শিশুরা প্রাথমিক শ্রেণী

 থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়ন করে এখানে। অন্যান্য শিশুরা অন্যান্য স্থানীয় স্কুলে, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।

স্বাস্থ্য সেবা । Health Care :

হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থা দুস্থ ও বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা, নিরাপদ মাতৃত্ব শিশু নজরদারি, ফিজিওথেরাপি ও সাইকোথেরাপি, বয়স্কদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে থাকে। 

প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য থেরাপি :

প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য আউটডোর ফিজিওথেরাপির ব্যবস্থা করে হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থা। রাজগঞ্জ, লালকুঠি, আশানিরে আউটডোর ফিজিওথেরাপির ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও হাওড়ার আন্দুল রোডে এই সংস্থার মূল ব্রাঞ্চে প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য একাধিক থেরাপির প্রোগ্রাম রয়েছে। ফিজিওথেরাপি, সাইকোথেরাপি, মিউজিক থেরাপির মতো আরও একাধিক থেরাপির সাহায্যে বিশেষভাবে সক্ষম বাচ্চাদের সমাজের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করা হয়।

মাদারহুড অ্যান্ড চাইল্ড সার্ভিল্যান্স :

সেফ মাদারহুড অ্যান্ড চাইল্ড সার্ভিল্যান্স (SMCS) প্রোগ্রামটির উদ্দেশ্য হল সচেতনতা এবং খাদ্য সহায়তা, গর্ভাবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং জন্মের তিন বছর পর্যন্ত শিশুর স্বাস্থ্য সেবা।

বয়স্কদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা :

বয়স্ক ব্যক্তিদের জীবনের শেষ সময়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা প্রয়োজন। উদ্বেগ এবং সমর্থনের অভাবের কারণে বার্ধক্য অন্যান্য ধরণের নিরাপত্তাহীনতার সাথে যুক্ত। যার ফলে প্রতি মাসে হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থা এমন  মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং বয়স্ক বিধবাদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করে।

পুরস্কার ও সম্মাননা । Awards and Honors :

হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থা তাদের সমাজসেবী কাজের জন্য রাজ্য এমনকি জাতীয় স্তরেও পুরস্কার লাভ করেছে। ২০১৯ সালে ফাদার ফ্রান্সিস লেবোর্দ সবচেয়ে দরিদ্রদের প্রতি তার কাজের জন্য ফরাসি প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ সম্মান- লিজিয়ন ডি'অনার ২০১৯ পেয়েছিলেন। তার আগে ২০১৩ সালে জাতীয় পুরস্কার পায় এই সংস্থা। মাননীয়া দেবীদিদি, হাওড়া সাউথ পয়েন্টের হয়ে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি, প্রণব মুখার্জির হাত থেকে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। ২০১১ সালে, হাওড়া সাউথ পয়েন্ট প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি বাধা মুক্ত পরিবেশ তৈরির জন্য একটি রাজ্য পুরস্কার পায়।

 বিদেশী স্বেচ্ছাসেবক :

১৯৭৬ সালে ফাদার ফ্রাঁসোয়া লাবোর্দের হাত ধরে পথচলা শুরু করে হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থা। ক্রমশ বড় হয় এর পরিধি। বাড়ে সেবার কাজও। প্রথম থেকেই এই সমাজসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বিদেশিরা। প্রায় সারা বছরই এখানে ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের মতো দেশ থেকে আসেন স্বেচ্ছাসেবকরা। তারা এখানে কয়েক মাসের বা বছরের জন্য এসে সমাজ সেবামূলক কাজ করে থাকেন। এখানকার মানুষগুলোকে তারা যেমন আপন করে নেন, তেমনই আপন করে নেন এখানকার সংস্কৃতিও। 

১৯৭৬ সাল থেকে প্রায় ৫০ বছর ধরে হাজারো প্রতিবন্ধী শিশু এবং দরিদ্রদের সমাজের দৌড়ে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থা। তবে তাদের সাহায্যের পরিধি আরও বড় করার ইচ্ছা থাকলেও সেই কাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আর্থিক সমস্যা। মূলত দানের ভিত্তিতেই এই সংস্থা সমাজসেবী কাজ করে থাকে। কিন্তু বর্তমানে আর্থিক অনুদানের পরিমাণ বেশ কমে গিয়েছে। ফলে হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থা চাইছে সাহায্যের হাত। আর্থিক সাহায্যের  হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন আপনিও।

 হাওড়া সাউথ পয়েন্টে ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে দান করতে হলে-

অ্যাকাউন্ট নম্বর: 488709952;  IFSC কোড: IDIB000H012 ; শাখা: হাওড়া (413)

 হাওড়া সাউথ পয়েন্টে চেকের মাধ্যমে দান করতে হলে -

চেক এবং ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার উভয়ের জন্য, অনুদান ফর্মটি পূরণ করতে হবে। ইমেলের মাধ্যমে আপনার অনুদানের রসিদ পাঠানো হবে অথবা আপনি হাওড়া সাউথ পয়েন্টে সেটি সংগ্রহ করতে পারেন।

যেকোনো প্রশ্নের জন্য, support@howrahsouhtpoint.org এ হাওড়া সাউথ পয়েন্ট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং https://www.howrahsouthpoint.org/donors লিঙ্কে ক্লিক করে দান সম্পর্কে আরও জানতে পারেন।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File