Cyber Crime | ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার নয়, কীভাবে হতে হয় সাইবার প্রতারক শেখাচ্ছে একাধিক ইনস্টিটিউট!

Monday, July 17 2023, 2:47 pm
highlightKey Highlights

হরিয়ানায় একাধিক প্রতিষ্ঠানে শেখানো হচ্ছে কীভাবে করতে হয় সাইবার প্রতারণা। শেখানো হচ্ছে গলার স্বর আলাদা করা থেকে মেসেজ তৈরী, ব্যাঙ্কিং প্রতারণা । কোর্স শেষে মিলছে কল সেন্টারে চাকরি।


ছাত্রছাত্রীদের বড় হয়ে শিক্ষক, ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার বা শিল্পী নয়, এই প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষার্থীদের বানানো হচ্ছে সাইবার প্রতারক (Cyber Criminal)। শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। এরকম বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরে শেখানো হচ্ছে কীভাবে সাইবার প্রতারণা করা যায়। বাইরের দেশে নয়, খোদ আমাদের দেশেই সন্ধান মিলেছে একাধিক প্রতিষ্ঠানের।

প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষার্থীদের বানানো হচ্ছে সাইবার প্রতারক 
প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষার্থীদের বানানো হচ্ছে সাইবার প্রতারক 


সূত্রের খবর, হরিয়ানার নুহতে (Nuh, Haryana) রমরমিয়ে চলছে এক গুচ্ছ ইনস্টিটিউট। তবে এখানে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বা বৃত্তিমূলক পঠনপাঠন নয়, সেখান হচ্ছে সাইবার প্রতারণা। এখানে পেশাদারি কায়দায় এবং হাতেকলমে শেখানো হচ্ছে সাইবার প্রতারণার নানা কৌশল। এমনকি আর পাঁচটা সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো এখানেও রয়েছে নির্দিষ্ট কোর্স ফি। পাশাপাশি, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যেমন ভর্তি হওয়ার সময় তথ্যপূর্ণ একটি পুস্তিকা দেওয়া হয়, তেমনই এই কোর্সে আগ্রহীদের শুরুতে দেওয়া হয় একটি প্রসপেক্টাস। সেখানে লেখা থাকে কোন কোর্স কত দিনের, কী কী শেখানো হবে, প্র্যাক্টিকাল ক্লাস ক’দিন হবে ইত্যাদি।

Trending Updates
হরিয়ানার নুহতে হাতেকলমে শেখানো হচ্ছে সাইবার প্রতারণার নানা কৌশল
হরিয়ানার নুহতে হাতেকলমে শেখানো হচ্ছে সাইবার প্রতারণার নানা কৌশল


জানা গিয়েছে, সাইবার প্রতারক তৈরী করার এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে সর্বনিম্ন ভর্তির বয়স ১৪ বছর। কোর্সের শুরুতেই দিতে হবে পুরো ফি। সঙ্গে সাইবার প্রতারণার 'শিক্ষকে'র যোগ্যতা সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন করা যাবে না। ডিগ্রি বা শিক্ষাগত যোগ্যতা নয়, এক্ষেত্রে শিক্ষক কত দেশে কত সাইবার প্রতারণা করেছেন তার নিরিখেই যোগ্যতা যাচাই হয়। যিনি যতটা এগিয়ে, তিনি তত দক্ষ শিক্ষক। তবে সূত্রের খবর, এই সকল প্রতিষ্ঠানে 'শিক্ষক'দের অভিজ্ঞতা ১৫ থেকে ২০ বছর।

প্রতিষ্ঠানগুলিতে সর্বনিম্ন ভর্তির বয়স ১৪ বছর
প্রতিষ্ঠানগুলিতে সর্বনিম্ন ভর্তির বয়স ১৪ বছর


তবে এই প্রতিষ্ঠানের খোঁজ মিললো কীভাবে? জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কয়েক মাস আগে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ও সিআইডির (CID) হাতে একাধিক সাইবার প্রতারক ধরা পড়ে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায়, প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলির সম্পর্কে। এমনকি এই প্রতিষ্ঠান থেকে সাইবার প্রতারণা সেখান হয় বলেও প্রাথমিক অনুমান। কারণ ধৃতরা স্কুলের গন্ডি না পেরিয়েই তাদের রয়েছে ঝরঝরে ইংরেজি দক্ষতা, সফ্টওয়ার-হার্ডওয়ার নিয়ে খুঁটিনাটি জ্ঞান। তারা এরকম প্রতিষ্ঠান থেকে ২ বা ছয় মাসের ট্রেনিংয়ে থিওরি ও প্র্যাকটিকাল ক্লাস করে বর্তমানে সাইবার প্রতারণার কাজে নেমেছিল। 

কোর্স শেষ হলে ট্রেনি হিসেবে কল সেন্টারে চাকরি মেলে নবাগতদের
কোর্স শেষ হলে ট্রেনি হিসেবে কল সেন্টারে চাকরি মেলে নবাগতদের


তদন্তে জানা যায়, এই সকল প্রতিষ্ঠানে কথা বলার কৌশল থেকে শুরু করে ফোনের উল্টো দিকে থাকা ব্যক্তির আস্থা অর্জনের কায়দা, বিভিন্ন সফ্টওয়ার ব্যবহার করে কণ্ঠস্বর বদলানো, প্রতারণার মেসেজ তৈরির পদ্ধতি এবং অনলাইন ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা সব রকম প্রতারণাই শেখানো হয়। এমনকি কোর্স শেষ হলে ট্রেনি হিসেবে সেখানকারই কোনও কল সেন্টারে চাকরি মেলে নবাগতদের।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File